মাদরাসার সাত ছাত্রকে পিটিয়েছে সেই ইসলামিক বক্তা

| আপডেট :  ২২ মার্চ ২০২২, ০১:৫৩ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২২ মার্চ ২০২২, ০১:৫৩ অপরাহ্ণ

বহুল আলোচিত-সমালোচিত ইসলামিক বক্তা আবদুর রাজ্জাক বিন ইউসুফের নাতির বি’রুদ্ধে টাকা চু’রির অ’ভিযোগ করায় চতুর্থ শ্রেণির মাদরাসার এক শিক্ষার্থীকে নি’র্যাতনের অ’ভিযোগ উঠেছে আবদুর রাজ্জাক বিন ইউসুফের মেজো ছেলে ইসলামিক বক্তা আবদুর রহমানের বি’রুদ্ধে।বর্তমানে নি’র্যাতনের শি’কার ওই শিক্ষার্থীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় থানায় অ’ভিযোগ করা হলেও এখনও কাউকে গ্রে’প্তার করতে পারেনি পুলিশ।

নি’র্যাতনের শি’কার ওই শি’শুটির পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, ১২ বছর বয়সী রামিম ইসলাম রিফাতকে কোরআনের হাফেজ করার স্বপ্ন নিয়ে রাজশাহী পবার ডাংঙ্গীপাড়া এলাকার আল-জামিআহ আস সালাফিয়া মাদরাসায় ভর্তি করেন তার পরিবার।

কিন্তু মাদরাসাটির অধ্যক্ষ আবদুর রাজ্জাক বিন ইউসুফের নাতির বি’রুদ্ধে টাকা চু’রি অ’ভিযোগ করায় পাশবিক নি’র্যাতনের শি’কার হয়েছেন রামিম। বর্তমানে ওই শি’শুটি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৪নং ওয়ার্ডে অসহ্য ব্য’থার য’ন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন।

নি’র্যাতনের রামিমের বাবা মেরাজুল ইসলাম রিন্টু আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, ১৬ মার্চ মাদরাসার দুই শিক্ষার্থীর টাকা হা’রানোর ঘটনা ঘটে। এ সময় আবদুর রহমানের ভাইয়ের ছেলে এবং ওই মাদরাসার চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীর বি’রুদ্ধে টাকা চু’রির অ’ভিযোগ তোলেন রামিম। এতেই ক্ষি’প্ত হয়ে পাইপ দিয়ে বে’পরোয়া পে’টাতে থাকেন আবদুর রহমান। এ সময় বেশ কয়েকবার রামিম জ্ঞান হা’রিয়ে ফে’লেন। পরে পরিবারের সদস্যরা রামিমকে উ’দ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

আল-জামিআহ আস সালাফিয়া মাদরাসার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহিদুল আলম মাহির আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, ওইদিন রামিম ছাড়া আরও ছয় ছাত্রকে পে’টানো হয়েছে।এ বি’ষয়ে নগরীর শাহমখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান আরটিভি নিউজকে জানান, মাদরাসায় শি’শু নি’র্যাতনের অ’ভিযোগ পাওয়া গেছে। ত’দন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।