‘তুমি’ সম্বোধন করায় জুনিয়রকে পেটালেন ছাত্রলীগ নেতা

| আপডেট :  ২২ মার্চ ২০২২, ০১:০৮ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২২ মার্চ ২০২২, ০১:০৮ অপরাহ্ণ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) হল শাখা ছাত্রলীগ নেতাকে চিনতে না পেরে তুমি বলে সম্বোধন করায় মা’রধরের শি’কার হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জুনিয়র শিক্ষার্থী। সোমবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ মা’রধরের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তম ব্যাচের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী ও শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াকিল আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের সেলিম মিয়ার দোকানে চা পান করতে গেলে ১৩তম ব্যাচের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী আনিছুর রহমানকে পরিচয় জিজ্ঞেস করেন। পরিচয়ের একপর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতাকে চিনতে না পেরে ‘তুমি’ সম্বোধন করেন আনিছুর।

এ ঘটনায় ওয়াকিল আহমেদ এবং তার বন্ধুরা আনিছুরকে দোকানের পেছনে নিয়ে বে’ধড়ক মা’রধর করেন। মা’রধরের একপর্যায়ে ভু’ক্তভোগী কাকুতি-মিনতি করলে মা’রধরের মাত্রা আরও বাড়িয়ে চোখে আ’ঘাত করেন ছাত্রলীগ নেতা ওয়াকিল। একপর্যায়ে তার চোখে আ’ঘাত করলে সে কিছু দেখতে না পেয়ে চি’ৎকার করতে থাকে। ভু’ক্তভোগীর চি’ৎকার শুনে সহপাঠীরা এসে তাকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে হাসপাতালে ভর্তির নির্দেশনা দেন।

এ বি’ষয়ে ভু’ক্তভোগী আনিছুর রহমান বলেন, আমাকে ওয়াকিল ভাই পরিচয় জিজ্ঞেস করলে আমি আমার পরিচয় দেই। পরে মিরাজ নামের একজনের নাম জিজ্ঞেস করলে, আমি বলি মিরাজ কী তোমার বন্ধু? এতে আমার সাথে কথা কা’টাকাটি শুরু হয়। পরে আমাকে দোকানের পিছনে নিয়ে মা’রধর শুরু করে।অ’ভিযুক্ত ওয়াকিল আহমেদ বলেন, ঐ ছেলে সিগারেট খেয়ে আমার মুখের ও’পর ধোঁয়া ছেড়েছিল। আমি এর প্র’তিবাদ করলে আমাকে এবং আমার মা-বাবাকে গালি দেয়। এ সময় তার সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

মা’রধরের বি’ষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারপরে কী হয়েছে আমি জানি না। সে হয়তো দৌড়ে পালাতে গিয়ে চোখে ব্য’থা পেয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, একজন সাধারণ শিক্ষার্থীকে মা’রধর করা অন্যায়। বি’ষয়টি জেনে আমরা সাংগঠনিকভাবে ক’ঠোর ব্যবস্থা নিব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্ম’দ কামাল উদ্দীন বলেন, বি’ষয়টি আমি জানতে পেরেই ভু’ক্তভোগীকে হাসপাতালে দেখতে এসেছি। অবস্থা গু’রুতর হওয়ায় ডাক্তার হাসপাতালে ভর্তির নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা আগামীকাল প্রক্টরিয়াল টিম বসে এ বি’ষয়ে ব্যবস্থা নিব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপা’চার্য অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম. আবদুল মঈন বলেন, আমি প্রক্টরের সাথে কথা বলেছি। প্রক্টর রিপোর্ট দিলে ত’দন্ত সাপেক্ষে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা: কৌশিক সেন গুপ্ত বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে দেখে চিকিৎসা দিয়েছি, চোখের পেছনের অংশ আ’ঘাত কতটা গু’রুতর তা নির্ণয়ে আমরা মেডিক্যাল বোর্ড বসব।