বীমার ক্ষতিপূরণ-ব্যাংক ঋণ থেকে রেহাই পেতে ১২ বাসে আগুন

| আপডেট :  ২১ মার্চ ২০২২, ১০:৫৬ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২১ মার্চ ২০২২, ১০:৫৬ অপরাহ্ণ

ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির কাছ থেকে ক্ষ’তিপূরণ ও ব্যাংক ঋ’ণের দায় থেকে রেহাই পেতে ফরিদপুরে দুই হাজার কোটি টাকা অর্থপা’চারের মা’মলায় জ’ব্দ করা ১২টি বাসে আ’গুন দেয়া হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রে’প্তার করা হয়েছে। সোমবার বিকালে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অ’পরাধ ও ত’দন্ত) জামাল পাশা। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শহরের গোয়ালচামটে হেলিপোর্ট বাজার থেকে ৩ জনকে গ্রে’প্তার করা হয় বলে জানান তিনি।

জামাল পাশা জানান, বাস পোড়ানোর ঘটনার সঙ্গে জ’ড়িত থাকার স’ন্দেহে তাদের গ্রে’প্তার করে জি’জ্ঞাসাবাদ করা হয়। জি’জ্ঞাসাবাদে আ’সামি জহুরুল ইসলাম জনি ও মোহাম্ম’দ আলী ঘটনার সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জ’ড়িত বলে স্বীকার করেন। বিকালে স্বী’কারোক্তিমূলক জ’বানব’ন্দি দেয়ার জন্য তাদের ১ নম্বর আমলি আ’দালতে পাঠানো হয়।

গ্রে’প্তারকৃতদের মধ্যে জহুরুল ইসলাম জনি পু’ড়ে যাওয়া বাসগুলো দেখাশোনা করতেন। মোহাম্ম’দ আলী সেখানকার নাইটগার্ড ছিলেন বলেও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।গত ১২ই মার্চ রাত সোয়া ১টার দিকে বাসগুলোতে র’হস্যজনক অ’গ্নিকাণ্ডেের ঘটনা ঘটে।

মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে ১২টি বাস পু’ড়ে যায়। ঢাকার কাফরুল থানায় সিআইডির করা দুই হাজার কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের মা’মলায় জ’ব্দ করা বাসগুলো কোতোয়ালি থানা পুলিশের হেফাজতে ছিল।

এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানার ইন্সপেক্টর এসআই মো. আব্দুল গাফফার বা’দী হয়ে একটি মা’মলা করেন। অ’গ্নিকাণ্ডেের পর ঘটনা ত’দন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইম’দাদুল হককে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি ত’দন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ত’দন্ত কমিটির বাকি দুই সদস্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন কর ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেলাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।