তিন কন্যার মাকে বিয়ে করলেন ২০ বছর বয়সের যুবক

| আপডেট :  ২১ মার্চ ২০২২, ০৮:০৮ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২১ মার্চ ২০২২, ০৮:০৮ অপরাহ্ণ

তিন সন্তানের জননীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছেন মো. আশরাফুল ইসলাম (২০) নামে এক যুবক। শুক্রবার গভীর রাতে ওই নারীর সঙ্গে তাকে হাতেনাতে আটক করেন এলাকাবাসী। এরপর তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়।

আশরাফুল মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঢুষরাইল গ্রামের আনিচ মোল্যার ছেলে। ওই গৃহবধূর বাড়ি পাশের গ্রামে। তার তিন কন্যাসন্তান রয়েছে। তাদের একজনের বয়স ১৮ বছর, একজন ১০ বছরের, অপরজনের বয়স ৫ বছর। মহম্মদপুর থানার এসআই মোক্তার হোসেন ও স্থানীয়রা জানান, ওই গৃহবধূর বাড়িতে আশরাফুল দীর্ঘদিন ধরে গভীর রাতে গোপনে আসা-যাওয়া করে।

বিষয়টি জানতে পেরে এলাকাবাসী ও গৃহবধূর স্বামীর স্বজনরা আশরাফুলকে একাধিকবার নিষেধ করেন। কিন্তু তাদের কোনো বাধাই আটকাতে পারে না। নিষেধ না মানায় স্থানীয় কয়েকজন ওতপেতে থেকে শুক্রবার গভীর রাতে গৃহবধূর ঘর থেকে আশরাফুলকে হাতেনাতে আটক করেন। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে জনতার হাত থেকে তাদের উদ্ধার করে।

এসময় স্থানীয় মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে তারা দুজন বিয়ে করবেন বলে জানান। মেয়েদের কাছে জানতে চাইলে তারাও ওই যুবকের সঙ্গেই তার মায়ের বিয়ে হোক বলে জানায়। পরে পুলিশ স্থানীয় মেম্বারের জিম্মায় দিয়ে লিখিত নিয়ে যায়। তারা রোববার কোর্টে গিয়ে আগের স্বামীকে তালাক দিয়ে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হবেন।

ওই গৃহবধূর স্বামী বলেন, আমি ঢাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করি। আমার তিনটি মেয়ে আছে। তার মধ্য বড় মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। ব্যস্ততা থাকায় ঢাকা থেকে বাড়িতে কম আসা পড়ে। আমার ছেলে না থাকায় আমার স্ত্রীকে আশরাফুল মা বলে ডাকতো। এজন্য আমি তাকে সন্দেহ করতাম না। এ সুযোগ নিয়ে আশরাফুল প্রায়ই আমার বাসায় এসে স্ত্রীর সঙ্গে আড্ডা দিত।

বিষয়টি এলাকাবাসী ভালো চোখে না নিলে আশরাফুলকে আমার বাসায় আসতে নিষেধ করেছি। কিন্তু তারা আমার কথা অমান্য করে আমার বাড়িতে গভীর রাতে আসা যাওয়া করত। তিনি আরও বলেন, ঘটনার দিন সকালে আমি স্ত্রীকে ফোন করেছিলাম পরে সে আমাকে বলেছে- আমি তোমার সংসার করব না।