সব
বিবাহের ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়া যেখানে ছেলেরা যৌতুক নিয়ে থাকে সেখানে দক্ষিন সুদানের বিয়ের রীতিনীতি্ ও অন্য অঞ্চল থেকে বেশ কিছুটা ব্যাতিক্রম। এই দেশে বিয়ে করতে হলে মেয়েকে যৌতুক দিতে হয়।
আর এই বিয়েও নির্ভর করে গরুর ওপর। এক্ষেত্রে একটা বিয়ে করতে হলে কমপক্ষে পাঁচটা গরু থাকতে হবে। তবে অনেকে গরু জোগাড় করতে না পেরে সারাজীবন বিয়ে করতে পারে না। কেউ কেউ এজন্য গরু জোগাড়ে অবৈধপন্থা অবলম্বন করে। এরপর ১০০ গরু থাকলে আরেকটা বিবাহ করতে পারবেন। এই দেশটিতে যৌতুক প্রথা একেবারেই উল্টো। সেখানে বিয়ে করতে হলে কনেকে যৌতুক দিতে হয়।
এবার দেশটিতে এক তরুণীকে সর্বোচ্চ যৌতুকের প্রস্তাব দিলেন এক যুবক। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে গালফ নিউজের খবরে বলা হয়েছে, এক তরুণীকে বিয়ে করতে ৩০০টি গরু ও ২০০টি ষাঁড় যৌতুক দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন আশুল ওয়াল নামের এক যুবক, যা দেশটিতে রেকর্ড ভেঙেছে।
এর আগে, দক্ষিণ সুদানে সর্বোচ্চ রেকর্ডটি ছিল নিলং নামের এক তরুণীর, যিনি যৌতুক হিসেবে ১০০টি গরু এবং একটি সিক্স-সিলিন্ডার গাড়ি পেয়েছিলেন। দক্ষিণ সুদানে যেসব রীতিনীতি, ঐতিহ্য ও আচার-অনুষ্ঠান রয়েছে, এর মধ্যে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার জন্য যৌতুক হিসেবে প্রচুর পরিমাণে গরু দেওয়া অন্যতম।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ সুদানের মানুষের জীবন-জীবিকা গরু লালন-পালনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। ১ হাজার কিংবা ২ হাজার গরু যার আছে, তিনিই প্রভাবশালী।