পিঠা খেতে ডেকে জামাইকে হাত-পা বেঁধে মারধর

| আপডেট :  ২২ ডিসেম্বর ২০২০, ০৫:৪৪ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২২ ডিসেম্বর ২০২০, ০৩:৪৯ অপরাহ্ণ

জামাইকে দাওয়াত দেয়া হয়েছিলো শীতের পিঠা খাওয়ানোর জন্য। কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার পর পিঠা খাওয়ানোর পরিবর্তে জামাইকে শারিরীকভাবে নির্যাতন করা হয়।

ঘটনাটি ঘটেছে তাড়াশ উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে। নির্যাতনের শিকার রাকিবুল ইসলাম পার্শ্ববর্তী পাবনার চাটমোহর উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে। ২০০৮ সালে কৃষ্ণপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের মেয়ে জুলেখা খাতুনের সাথে তার বিয়ে হয়। রাকিবুলের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই জুলেখা কারণে-অকারণে তার সাথে খারাপ ব্যবহার করে। এ নিয়ে তাদের দুজনের মাঝে মধ্যে মারধরের ঘটনাও ঘটে। আর এর জেরে প্রতিশোধ নিতেই তার শ্বশুর সোমবার পিঠা খাওয়ানোর জন্য দাওয়াত করে রাত ১১টার দিকে তিন সন্তানকে দিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা করেন। কিন্তু তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে প্রাণে বেঁচে যান তিনি।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) নির্যাতনের শিকার রাকিবুল ইসলাম নিজেই মারধরের ঘটনার ধারণকৃত একটি ভিডিও দেখিয়ে অভিযোগ করেছেন। গোপনে ধারণকৃত ওই ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, রাকিবুলের মুখে বালিশ চাপা দেওয়া ও হাত-পা বাঁধার চেষ্টা করছেন তার স্ত্রী জুলেখা খাতুন, শ্যালিকা জায়দা খাতুন ও শ্যালক শামীম হোসেন। আর এসময় রাকিবুল ভয়ে চিৎকার করছেন।

ভিডিওটি ধারণকারী রাকিবুলের শ্যালিকা জায়দা খাতুনের স্বামী মেরাজ উদ্দিন বলেন, ঘটনার সময় তিনি পাশের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ রাকিবুলের চিৎকার তার কানে যায়। তাড়াতাড়ি তিনি উঠে এসে প্রথমে জানালা দিয়ে গোপনে ভিডিও করেন। পরে প্রতিবেশীদের সাথে নিয়ে তাকে উদ্ধার করেন।

এ বিষয়ে রাকিবুলের স্ত্রী জুলেখা খাতুন বলেন, রাকিবুল তাকে মারধর করতেন। তাই একটা উচিত শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। আর রাকিবুলের শ্বশুর আব্দুল জলিল ও শাশুড়ি ছানোয়ারা বেগম বলেন, এমন ঘটনার জন্য তারা নিজেরাও অনুতপ্ত এবং এজন্য তারা সন্তানদের যথেষ্ট শাসন করেছেন।