আদালতপাড়া থেকে তরুণীকে তুলে নিয়ে দলবেঁধে ধ’র্ষণ

| আপডেট :  ১৬ মার্চ ২০২২, ১১:২১ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৬ মার্চ ২০২২, ১১:২১ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজারের আ’দালতপাড়ার অ্যাডভোকেট একরামুল হুদার চেম্বারের সামনে থেকে তুলে নিয়ে এক ত’রুণীকে দলবেঁ’ধে ধ”ণের অ’ভিযোগ উঠেছে।মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) বিকেলে এ ঘটনায় ভু’ক্তভোগী ত’রুণী বা’দী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মা’মলা করেছেন।

মা’মলার আ’সামিরা হলেন, কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজে’লার পোকখালী ইউনিয়নের মধ্যম পোকখালীর রমজান আলী মেম্বারের ছেলে বর্তমানে ফকিরাবাজার এলাকায় বসবাসকারী ফিরোজ আহম’দ (৪৭), লোদা মিয়ার দুই ছেলে রাসেল উদ্দিন (৩৮) ও নুরুল ইসলাম এবং ঈদগাঁও ইসলামপুর ইউনিয়নের ফকিরা বাজার এলাকার মৃ’ত আব্দুল গণির ছেলে মো. শরীফ। তাদের সহযোগী হিসেবে আরও ৪ থেকে ৫ জন এ ঘটনায় অংশ নেয়।

মা’মলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ঈদগাঁও ঢালার দুয়ার এলাকার ভক্তভোগী ত’রুণীকে এজাহার আ’সামি ফিরোজ আহম’দ ও মো. শরীফ উ’ত্ত্যক্ত করছিল। তারা তাদের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ভু’ক্তভোগী ত’রুণীকে ধ”ণ ও হ’’ত্যার হু’মকি দিয়ে আসছিল নিয়মিত।

সর্বশেষ গত সোমবার (১৪ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে কক্সবাজার আ’দালতপাড়ার অ্যাডভোকেট একরামুল হুদার চেম্বার থেকে বের হলে আ’সামিরা ভু’ক্তভোগী ত’রুণীকে ঘিরে ফে’লে। একপর্যায়ে ফিরোজ ও শরীফ তাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বা’ধা দিলে অ’জ্ঞাতনামা পরিচয়ে আরও কয়েকজন এসে তার হাত-পা ও মুখ চে’পে ধরে একটি নোহা গাড়িতে তুলে নেয়।

এ সময় পথচারীরা বাঁচাতে এগিয়ে এলে তারা গাড়ি নিয়ে কক্সবাজার ল্যাবরেটরি স্কুল সংলগ্ন (বাহারছড়া) ফিরোজের আত্মীয় জনৈক ফজল কাদেরের সেমিপাকা টিনশেড বাসায় নিয়ে একটি রুমে তাকে আ’টকে রাখে। তারপর ফিরোজ ও শরীফ তাকে ধা’রালো অ’স্ত্র দিয়ে হ’’ত্যার হু’মকি ও ভ’য় দেখিয়ে ধ”ণ করে। একইভাবে নুরুল ইসলামও তাকে ধ”ণ করে।

কিছুক্ষণ পর ২ নম্বর আ’সামি রাসেল উদ্দিন রুমে এসে নিজেকে পুলিশ অফিসার পরিচয় দিয়ে বি’ষয়টি কাউকে জানালে এবং বাড়াবাড়ি করলে মানবপা’চার মা’মলায় চালান করে দিবে বলে হু’মকি দেয়। একপর্যায়ে রাসেল উদ্দিনও তাকে ধ”ণ করে। পরে দলবেঁ’ধে ধ”ণের কারণে ভুক্তভোগী ত’রুণী জ্ঞান হা’রান। এরপর রাসেল ও শরীফ তাকে টেনে-হিঁচড়ে এনে গেট বন্ধ করে দেয়। রাস্তায় থাকা এক ব্যক্তি তাৎক্ষণিক জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে আ’সামিরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে তাকে উ’দ্ধার করে।

কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-ত’দন্ত) সেলিম উদ্দিন জানান, সোমবার (১৪ মার্চ) বিকেলে শহরের শহীদ সরণি সড়কে ভু’ক্তভোগী ত’রুণী এক ব্যক্তির সঙ্গে ঝ’গড়া ও মা’রামারি করছিলেন। এ সময় এক পথচারী ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে বি’ষয়টি জানান। পুলিশ গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং ওই নারীকে থানায় অ’ভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে ভু’ক্তভোগী ত’রুণী মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) দুপুরে থানায় ধ”ণ মা’মলা করেন।