সব
মায়ের মৃ’ত্যু পরে বাবা আরও একটা বিয়ে করেন। চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকেই তার সঙ্গে ‘উল্টোপাল্টা’ কাজ করতে শুরু করে বাবা। কাউকে বললে ‘মা’রধরের’ ভ’য় দেখান। রোববার সহ্যের সীমা ভে’ঙে যাওয়ায় প্র’তিবাদ করে সেই কি’শোরী। কাঁদতে কাঁদতে প্রতিবেশীদের কাছে গিয়ে বাবার সমস্ত ‘কুকীর্তির’ কথা জানায় ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রী।
প্রতিবেশীদের সাহায্যেই থানায় গিয়ে বাবার নামে অ’ভিযোগ দা’য়ের করে সে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জে’লার কৃষ্ণনগরে। জানা গেছে, অ’ভিযুক্ত কলকাতার কোনো একটি রেস্তোরাঁয় কাজ করে। সপ্তাহে দুদিন বাড়িতে যায়। ভি’কটিমের অ’ভিযোগের ভিত্তিতে অ’ভিযুক্তের খোঁজ শুরু করেছে কোতয়ালি থানা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, কলকাতার শেক্সপিয়ার সরণি থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে নদিয়ার কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার পুলিশ। আ’টক করা হয়েছে অ’ভিযুক্তের মা এবং দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীকে। কি’শোরীর অ’ভিযোগ, চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ার সময় প্রথম তার ও’পর নি’র্যাতন করে বাবা। ভ’য়ে বাবার এই কুকাজের কথা সে কাউকে বলতে পারেনি। তবুও স্কুলের বান্ধবী এবং প্রধান শিক্ষিকাকে জানিয়েছিল।
কিন্তু বাবার সম্মানহানির ভ’য়ে এবং বাবাকে বাঁচাতে কাউকে সে কথা প্রকাশ্যে আনতে দেয়নি। সপ্তাহে দুদিন বাড়িতে এলে ম’দ খেয়ে বাবা অ’ত্যাচার করত বলে অ’ভিযোগ। একপর্যায়ে প্রতিবেশীদের সমস্ত কথা জানায় কি’শোরী। তাদের সাহায্যেই থানায় যায় এবং অ’ভিযুক্ত বাবার নামে অ’ভিযোগ দা’য়ের করে।
নি’র্যাতিত ছাত্রী জানিয়েছে, বাবার কাছে থাকবে না। সে দাদুর কাছে থাকতে চায়। এদিকে ছেলের ‘কুকীর্তির’ বি’ষয় নিয়ে কথা বলতে এড়িয়ে গিয়েছেন অ’ভিযুক্তের মা। স্বামী যে এমন কাজ করতে পারে, তা মানতে চাননি বর্তমান স্ত্রীও। সূত্র: জি ২৪ ঘণ্টা।