বিয়ের পরেই জানতে পারেন স্ত্রীর ‘পুরুষাঙ্গ’ রয়েছে, বিচ্ছেদের আর্জি নিয়ে আদালতে স্বামী

| আপডেট :  ১৪ মার্চ ২০২২, ০৪:৫০ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৪ মার্চ ২০২২, ০৪:৫০ অপরাহ্ণ

বিয়ের আগে দেখা, কথা-বার্তাও হয়েছিল। সেই সময় কোনো স’মস্যাই ছিল না। কিন্তু বিয়ের পরই স্বামী বুঝতে পারলেন তিনি ‘প্র’তারিত’ হয়েছেন। সেই অ’ভিযোগেই তিনি বিবাহ বিচ্ছেদের আর্জিও জানালেন সুপ্রিম কোর্টে। ওই ব্যক্তির দাবি, তার স্ত্রী আসলে নারীই নন। কারণ তার যৌ’নাঙ্গ পরিপূর্ণ নয়, যোনীর বদলে রয়েছে ছোট্ট শি’শুর মতো পু’রুষাঙ্গ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিয়ের আগে এই কথা লুকানোয় প্র’তারণার অ’ভিযোগে তিনি সুপ্রিম কোর্টে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন জানান। এবার শীর্ষ আ’দালত থেকে ওই ব্যক্তির অ’ভিযোগের ভিত্তিতে তার স্ত্রীর প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হল।

বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কৌল ও বিচারপতি এমএম সুন্দ্রেশ শুক্রবার ওই মহিলাকে তার স্বামীর দা’য়ের করা আর্জির জবাব দিতে বলা হয়। গতবছর ২৯ জুলাই এই মা’মলায় মধ্য প্রদেশ হাইকোর্টের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই ওই ব্যক্তি মেডিকেল রিপোর্টের ভিত্তিতে প্র’তারণার অ’ভিযোগ এনে বিবাহবিচ্ছেদের দাবি জানান।

ওই মহিলার মেডিকেল ইতিহাসে বলা হয়েছে যে, ওই মহিলার পু’রুষাঙ্গ রয়েছে। একইসঙ্গে অপরিণত যোনীও রয়েছে। চিকিৎসাশাস্ত্র অনুযায়ী, তাকে মহিলা হিসাবে গণ্য করা যায় না। সুপ্রিম কোর্টের তরফে এই তথ্য তুলে ধরেই ওই মহিলাকে নোটিস পাঠানো হয়েছে এবং আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বামীর অ’ভিযোগের ভিত্তিতে তাকে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে মধ্য প্রদেশ হাইকোর্টে ওই ব্যক্তি বিবাহ বিচ্ছেদের আর্জি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আ’দালত থেকে জানানো হয়, কেবলমাত্র মৌখিক প্রমাণের ভিত্তিতে এটিকে প্র’তারণা হিসাবে গণ্য করা সম্ভব নয়। ওই ব্যক্তি তার পিটিশনে জানিয়েছিলেন, ২০১৬ সালে তাদের বিয়ে হয়। প্রথম কয়েকদিন স্ত্রী জানিয়েছিলেন যে, ঋতুচ’ক্র (পিরিয়ড) চলায় তিনি আপাতত যৌ’নসম্পর্কে লিপ্ত হতে পারবেন না। এরপরে ওই মহিলা বাপের বাড়ি চলে যান এবং ছয়দিন বাদে ফিরে আসেন।

পরবর্তী সময়ে যৌ’ন সম্পর্ক স্থাপন করতে গিয়ে তিনি বুঝতে পারেন যে, স্ত্রীর যোনী নেই, বরং ছোট্ট একটি পু’রুষাঙ্গ রয়েছে। তিনি স্ত্রীকে নিয়ে স্বা’স্থ্যপরীক্ষা করাতে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা জানান, এটিকে চিকিৎসা পরিভাষায় ‘ইমপারফোরেট হাইমেন’ বলে। চিকিৎসকরা অ’স্ত্রোপচারের পরামর্শ দিলেও, জানিয়ে দেন পরবর্তী সময়ে তার গর্ভবর্তী হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই-ই।

মা’মলাকারীর দাবি, তার সঙ্গে প্র’তারণা করা হয়েছে। তিনি তার শ্বশুরকেও জানান যে তার মেয়েকে ফেরত নিয়ে যেতে। পিটিশন অনুযায়ী, পরে ওই মহিলা অ’স্ত্রোপচার করিয়েছিলেন। অন্যদিকে, তার শ্বশুরও বাড়িতে চড়াও হয়ে চি’ৎকার-চেচামেঁচি করে হু’মকি দিয়েছেন বলে অ’ভিযোগ জানিয়েছেন।