সব
কি’শোরীকে ‘ধ”ণের পর’ মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ঘটনা ধা’মাচা’পা দিতে চেয়েছিল গ্রাম্য মাতব্বর। কিন্তু প্রভাবশালীদের চা’প বা হু’মকিতে দমে যাননি মা। অ’পরাধীদের সমুচিত শা’স্তির দাবিতে তিনি গেলেন আ’দালতে। আ’সামিদের র’ক্তচক্ষু বা হু’মকি উপেক্ষা করে সাহসী মা আ’দালত প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে যেকোনো সমঝোতা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। আ’দালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বিচারককে প্রশ্ন করেছেন ‘মেয়ে ধ”ণের মূল্য কি ৯০ হাজার টাকা?’
গত ৭ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারী শি’শু আ’দালতে এমন ঘটনায় জে’লার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও বিচার ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে ভাবাচ্ছে।ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় সীমান্তবর্তী বড়ঠোটা গ্রামে গত বছর কি’শোরীকে ‘অ’পহরণের পর ধ”ণের শি’কার’ হয় বলে জানান তার মা।সেই ঘটনায় স্থানীয় মাতব্বরদের কথামত আপোষ-মীমাংসায় না গিয়ে কি’শোরীর মা কসবা থানায় মা’মলা দা’য়ের করেন।
মা’মলার আ’সামিরা হলেন, কসবা উপজে’লার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের নোয়াগাও গ্রামের সাইফুল মিয়া (২২), খোকন মিয়া (৩৫) ও হরিয়াবহ গ্রামের শামিম মিয়া (৩২)। এ ঘটনার পর আ’সামিরা পা’লিয়ে যান। পুলিশও ত’দন্তের পর এই তিনজনের নামে আ’দালতে চার্জশিট দেয়।
মা’মলার প্রধান আ’সামি সাইফুল সাত মাস প’লাতক থাকার পর গত ৭ মার্চ আ’দালতে আত্মসমর্পণ করে। সাইফুলের পক্ষ নেওয়া গ্রাম্য মাতব্বররা সেদিন সেই মাকে ‘জো’রপূর্বক’ আ’দালতে নিয়ে যান। মায়ের অ’ভিযোগ, মাতব্বর মোর্শেদ মিয়া, আবদুল হান্নান তাকে ৯০ হাজার টাকা নিতে বা’ধ্য করেন।
এরপর মা’মলার বা’দী কি’শোরীর মাকে আ’দালতের কাঠগড়ায় আনা হলে তিনি বিচারককে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘হুজুর আমার মেয়ের ধ”ণের মূল্য কি ৯০ হাজার টাকা ? আমার ব্যাগে এই টাকা আছে। আমি ধর্ষনের বিচার চাই, টাকা চাই না ‘
এসময় আ’সামি পক্ষের ৭-৮ জন আইনজীবী হৈচৈ শুরু করেন। কি’শোরীর মা সেই টাকা আ’সামি পক্ষের আইনজীবীদের দিয়ে দেন। পরে শুনানি শেষে আ’দালত আ’সামি সাইফুলকে জে’ল হাজতে পাঠান। সেই মা পরে সমকালকে বলেন, ‘প্রধান আ’সামি সাইফুল ইসলাম আমার মেয়ের স’র্বনাশ করে পা’লিয়ে আমাকে নানা ভাবে হ’য়রানি করেছে। আমি ওদের টাকা ফেরত দিয়েছি। আমি আ’দালতে বিচার চেয়েছি।
‘এরা কেন টাকার বিনিময়ে মীমাংসা করতে আসে। আ’সামি পক্ষের লোকজন ও সর্দাররা আমাকে আ’দালতেই হু’মকি দিয়েছে।’ বলে অ’ভিযোগ করেন তিনি।ধ”ণের শি’কার সেই কি’শোরী সমকালকে বলেন, ‘আমি টাকা চাই না । আমার ইজ্জত ন’ষ্ট করেছে। আমি আ’দালতের মাধ্যমে এর বিচার চাই।’
বা’দীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফেরদৌস ভূইয়া সমকালকে বলেন,‘ ধ”ণ মা’মলা আপোষযোগ্য নয়। বা’দী অ’ভিযোগ করলে ওই সকল মাতব্বরদের আ’দালতে হাজির হতে হবে। সেই মা আ’দালতের কাছে তার মেয়ের ধ”ণের বিচার চেয়েছেন।’
গনকমুড়া গ্রামের অ’ভিযুক্ত মাতব্বর মোর্শেদ সর্দার বলেন, ‘ধ”ণের শি’কার কি’শোরীর মায়ের সম্মতিতেই আমি হান্নান ও কবির মিয়াকে নিয়ে এর মীমাংসা করেছিলাম। কারণ মেয়েটি সুন্দরী এবং তার ভবি’ষ্যত চিন্তা করে এমনটি করেছিলাম। কিন্তু আ’দালতে গিয়ে ধ’র্ষিতার মা কথা রাখেননি। মেয়েটির মা প্র’তারণা করেছে।’
কসবা উপজে’লা নাগরিক সমাজের সাধারন সম্পাদক নেপাল চন্দ্র সাহা বলেন, ‘গ্রাম্য সর্দারদের কে এই ক্ষমতা দিয়েছে অ’সহায় নারীকে বল প্রয়োগ করে নব্বই হাজার টাকার বিনিময়ে ধ”ণের মীমাংসা করতে ? এ সমস্ত সর্দারদের বিচারের আওতায় আনা প্রয়োজন।’