মেয়ের জামাইকে তুলে নেয়ার ৩ ঘণ্টা পর লাশ বাড়িতে পাঠালো শ্বশুর

| আপডেট :  ১৩ মার্চ ২০২২, ০৯:৩৮ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৩ মার্চ ২০২২, ০৯:৩৮ পূর্বাহ্ণ

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে মেয়ের জামাইকে তুলে নেয়ার ৩ ঘণ্টা পর হ’’ত্যা করে লা’শ ছেলের বাড়িতে পাঠানোর অ’ভিযোগ উঠেছে শ্বশুরের বি’রুদ্ধে। তবে তাৎক্ষণিক পুলিশ এ ঘটনায় জ’ড়িত কাউকে আ’টক করতে পারেনি। নি’হত মো. মোবারক হোসেন শাওন উপজে’লার ১৪ নম্বর হাজীপুর ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের হাজীপুর গ্রামের চিরাম বাড়ির শাহাব উদ্দিনের ছেলে।শনিবার (১২ মার্চ) বিকেলে বেগমগঞ্জ উপজে’লায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে একই দিন রাত ১০ টার দিকে পুলিশ লা’শ উ’দ্ধার করে।

নি’হতের চাচাতো ভাই মাস্টার সিরাজুল ইসলাম অ’ভিযোগ করে বলেন, শাওন উপজে’লার চৌমুহনী বাজারের হকার্স মার্কে’টের তাহেরা ট্রেডার্সের মালিক হাজী আব্দুল মালেকের দোকানে প্রায় ২ যাবত চাকরি করেন। দুই মাস আগে আমরা জানতে পারি শাওনের সঙ্গে মালেক তার পালক মেয়েকে বিয়ে দেন। শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে শাওনের শ্বশুর তার বাড়িতে এসে তাকে খোঁজ করতে থাকেন। এ সময় শাওনের মা তাকে জানায় শাওন এখন ঘরে নেই। এক পর্যায়ে শাওন গোসল করে ঘরে এলে তার শ্বশুর তাকে বলে সুন্দর দেখে পাঞ্জাবি ও লুঙ্গি পরে নাও। সে ঘর থেকে বের হয়ে এলে তার শ্বশুর শাওনকে বলে তোমার মাকে একটু সালাম দিয়ে নাও, দোয়া নাও এবং মাফ চেয়ে নাও।

তিনি আরো জানান, রাতে শাওনের স্ত্রীকে জি’জ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় নিয়ে আসে। সে পুলিশকে জানায় শাওনকে বিকেলের তার বাবা তাদের সামনে মা’রধর করে। তারপর সেখান থেকে তাকে কোথায় নিয়ে যায়। এ বি’ষয়ে সে কিছু জানে না। নি’হতের মা শামসুন্নাহার অ’ভিযোগ করেন, দুপুরের দিকে মতিন আমার ছেলেকে তুলে নিয়ে যায়। সন্ধ্যার দিকে আমি ঘরে একা ছিলাম। ওই সময় মতিনের দোকানের দুইজন কর্মচারী কৌশলে আমার ছেলের লা’শ ঘরে দিয়ে দ্রুত চলে যায়।

তিনি আরো বলেন, মতিন গো’পনে তার পালক মেয়েকে আমার ছেলের কাছে বিয়ে দেয়। সে আমার ছেলেকে আমাদের কাছে আসতে দিতো না। আসলে সঙ্গে সঙ্গে লোক পাঠিয়ে, না হয় সে এসে নিয়ে যেতো। আমার ছেলে এ সব বি’ষয়ে কখনো আমার কাছে মুখ খুলতো না। আমার ছেলে কোরআনে হাফেজ ছিল। মনে হয় এ জন্য সে আমার ছেলেকে মে’রে ফে’লেছে।

এ বি’ষয়ে জানতে চাইলে বেগমগঞ্জ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এনামুল হক বলেন, খবর পেয়ে নি’হতের বাড়ি থেকে লা’শ উ’দ্ধার করে থানায় এনে রাখা হয়েছে। এর আগে লা’শের সু’রতহাল রিপোর্ট সম্পন্ন করা হয়। শরীরে বড় কোনো আ’ঘাতের চিহৃ নেই। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শ্বা’সরো’ধ করে তাকে হ’’ত্যা করা হয়েছে। নি’হতের পরিবারের অ’ভিযোগ দুপুরে শ্বশুর তাকে নিয়ে যায়। এরপর হ’’ত্যা করে সন্ধ্যায় লা’শ পাঠিয়ে দেয়।

এসআই এনামুল হক আরো বলেন, রোববার সকালে লা’শ ময়না ত’দন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে। ময়না ত’দন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে এ বি’ষয়ে আরো বিস্তারিত জানা যাবে। এ ঘটনায় লিখিত অ’ভিযোগ দা’য়েরের বি’ষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।