সব
২০১২ সালে প্রথম বিয়ের মাত্র দেড়বছর পরেই স্বামীকে তালাক দিয়ে ২০১৪ সালে দ্বিতীয় বিয়ে করেন তিনি। এর কিছুদিন পর দ্বিতীয় স্বামীকেও তালাক দিয়ে তৃতীয় বিয়ে করেন তিনি। কিন্তু এতকিছুর পরেও চাকরির ক্ষেত্রে তার পরিচয় তিনি অবিবাহিত। অভিযোগ রয়েছে একের পর এক বিয়ে করে ছেলেদের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎ করেন তিনি।
অভিযুক্ত এই নারীর নাম শাহনাজ পারভীন রূপা ওরফে রিপা। টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার অধিবাসী ২৩ বছর বয়সী এই নারীর বিরুদ্ধে একাধিক সম্পর্ক ছাড়াও মিথ্যা পরিচয়ে সরকারি চাকরি নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইতে রুপা চাকরির জন্য অনলাইনে আবেদন করেন। সেখানে নিজেকে অবিবাহিত উল্লেখ করে স্থানীয় ও বর্তমান ঠিকানার জায়গায় পিতার নাম শামছু উদ্দিন, মাতা হেলেনা খাতুন, গ্রাম দাত্তাপাকুটিয়া, উপজেলা ফুলবাড়িয়া, জেলা ময়মনসিংহ আবেদন করে তিনি। ২০১৮ ও ২০১৯ সালে পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তরে নিজেকে অবিবাহিত এবং বাবা-মায়ের নাম শামছু উদ্দিন, মা হেলেনা খাতুন, গ্রাম মমিনপুর, উপজেলা ধনবাড়ী উল্লেখ করে আবেদন করেন শাহনাজ পারভীন রূপা।
কিন্তু রূপার ২০১২ সালে রোকনুজ্জামান ও ২০১৪ সালে মনির হোসেনের সঙ্গে রুপার বিয়ের দুটি কাবিননামায় রূপার মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র শিউলি বেগম (৯৩২১২০৪৩৫৭৪০), স্বামী ইদ্রিস আলী মণ্ডল, মা কুলসুম বেগম। বাবা ইদ্রিস আলী মণ্ডল (৯৩২১২০৪৩৫৭৩৫), বাবা চান মিয়া মণ্ডল, মাতা ছাহেরা বেগম রয়েছে। তার এসএসসি ও এইচএসসি সনদপত্রেও রয়েচে একই নাম। কিন্তু বর্তমানে দেখা গেছে বাবা শামছ উদ্দিন ও মা হেলেনা খাতুন। কাবিননামা ও শিক্ষাগত সনদপত্রে এবং জাতীয় পরিচয়পত্রে বাবা-মায়ের নাম ভিন্নরকম রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে তিনি টাঙ্গাইলের স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক শরীফ নজরুল ইসলামকে পালক পিতা সাজিয়ে মেয়ে পরিচয় দেয়ায় ব্যবস্থা নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। এছাড়া স্থানীয় চেয়ারম্যানের সাথেও তার ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়েছে।
এদিকে, সত্য প্রকাশ হয়ে পড়ায় কাগজপত্র সংশোধনে ছুটোছুটি করছেন শাহনাজ পারভীন রূপা। ইতোমধ্যে তার শিক্ষাগত সনদপত্রে বাবা-মায়ের নাম পরিবর্তন করেছেন। জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করতে আবেদন দিয়েছেন জেলা নির্বাচন অফিসেও।
এ বিষয়ে সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, তার জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য আমাদের অফিসের আবেদন করেছেন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখে তার জাতীয় পরিচয় পত্রটি সংশোধন হওয়ার মতো হলে সংশোধন করা হবে।