তেল কাণ্ডে ‘১৫ দিনে এক হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে’

| আপডেট :  ১০ মার্চ ২০২২, ০৯:১৫ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১০ মার্চ ২০২২, ০৯:১৫ অপরাহ্ণ

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযোগ, সয়াবিন তেলের বাড়তি দাম আদায় করে ১৫ দিনে আনুমানিক প্রায় ১০০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে।বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামানের নেতৃত্বে ভোজ্য তেল মিল মালিক ও ডিলারদের নিয়ে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে সফিকুজ্জামান তথ্য দেন, তেলের বাড়তি দাম নিয়ে গত ১৫ দিনে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে।তিনি বলেন, প্রতিদিন যদি ৫০০০ টন ভোজ্য তেলের চাহিদা থাকে, তাতে লিটারে ১০ টাকা করে বাড়লে মোট অংকটা অনেক বড় হয়। এভাবে আনুমানিক একটা পরিসংখ্যান আমরা দিয়েছি।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সফিকুজ্জামান বলেন, অসাধু চক্র এটা করেছে। কয়েকটা পর্যায় থেকে এই পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে যারা ডিলার, তাদেরও কেউ কেউ এখানে জড়িত। আবার পাইকারি পর্যায়ে জড়িত। আমরা আগে মিলগুলোর সরবরাহের তথ্য যাচাই করে তারপর সুনির্দিষ্ট ডিলারদের চিহ্নিত করব। এরপর সরবরাহের তেল কোথায় গেছে-তাও বের করব।

বৈঠক থেকে বলা হয়, তেলের দাম বৃদ্ধি এবং সরবরাহের সংকট সৃষ্টিতে জড়িতদের চিহ্নিত করা হবে।এ ছাড়া কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের টিম বৃহস্পতিবার থেকে তেল মিলগুলোতে গিয়ে সয়াবিন তেলের সরবরাহ নিশ্চিত করবে। মিল মালিকদের দেয়া তিন মাসের সরবরাহের তথ্য ওই টিম যাচাই করে দেখবে।

সফিকুজ্জামান বলেন, দেশে বছরে ভোজ্য তেলের চাহিদা ২০ লাখ মেট্রিক টন। সে অনুযায়ী তিন মাসের চাহিদা এক লাখ ৫০ হাজার টনের মতো। মিল মালিকরা যে তথ্য বা তালিকা আমাদের দিয়েছে, তাতে তারা চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহের কথা বলেছে।

তিনি বলেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যদের সমন্বয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরের যৌথ টিম বৃহস্পতিবার থেকে মিলগুলোতে গিয়ে সরবরাহের তথ্য যাচাই করবে।

মিল মালিকদের প্রতিনিধি হিসেবে বৈঠকে উপস্থিত মেঘনা গ্রুপের উপ-উপদেষ্টা মোহাম্মদ শফিউর রহমান বলেন, তেল সরবরাহে সংকটের সঙ্গে মিলগুলো জড়িত নয়। আমাদের সরবরাহ কখনই বন্ধ নাই। আমাদের সয়াবিন তেলের একটু সমস্যা হয়েছিল। কারণ তেল নিয়ে একটা জাহাজ একটু দেরিতে এসেছিল।

তিনি বলেন, কিন্তু পামওয়েল ভোজ্য তেলে ৭০ শতাংশ চাহিদা পূরণ করে থাকে। এবং আমাদের পামওয়েল সরবরাহ কখনও বন্ধ হয়নি বা কখনো এর সংকট হয়নি। ডিলাররাও সরকারের সঙ্গে বৈঠকে এটা স্বীকার করেছে।তিনি জানান, তারা গত তিন মাসের তেল সরবরাহের যে তথ্য সরকারকে দিয়েছেন, তা সরকার যাচাই করে দেখবে। তাতে তাদের আপত্তি নেই। সূত্রঃ দেশ রুপান্তর