হিলিতে বেড়েছে পেঁয়াজ আমদানি, কমেছে দাম

| আপডেট :  ৭ মার্চ ২০২২, ০৭:১২ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৭ মার্চ ২০২২, ০৭:১২ অপরাহ্ণ

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে আমদানি বাড়ায় একদিনের ব্যবধানে পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৪ টাকা কমেছে। এতে স্বস্তি ফিরেছে বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকারসহ নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে। আগামীদে দাম আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছেন বন্দরের ব্যবসায়ীরা।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, নাসিক ও ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে আগের চেয়ে আমদানি কিছুটা বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। একদিন আগেও নাসিক জাতের পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল, বর্তমানে তা কমে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও, বর্তমানে ৩২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

হিলি স্থলবন্দরে পেয়াজ কিনতে আসা সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমায় ও দাম বৃদ্ধির কারণে মোকামগুলোতে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা বেড়েছে। এ কারণে গত দুই সপ্তাহ থেকে হিলি স্থলবন্দর থেকে পেঁয়াজ কিনে ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছিলাম।

কিন্তু গত সপ্তাহ থেকে পেঁয়াজের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। প্রতিদিনই দাম বাড়ছিল। আমরা যে দামে বন্দর থেকে পেয়াজ কিনে মোকামে পাঠাচ্ছিলাম, পরের দিন সেই দামে পাচ্ছিলাম না। তবে বন্দর দিয়ে আমদানি বাড়ায় দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। একদিনেই কেজিপ্রতি ৪ টাকা করে কমেছে।

ব্যবসায়ী তোজাম হোসেন বলেন, বাজারে দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজের ভালো সরবরাহ থাকায় ও দাম কমায় আমদানিকৃত পেঁয়াজের চাহিদা কমে গিয়েছিল। এ কারণে লোকসান গুনতে হওয়ায় পেঁয়াজের আমদানি কমিয়ে দিয়েছিলেন বন্দরের আমদানিকারকরা। সম্প্রতি মাঘের হঠাৎ বৃষ্টিতে পাবনা ও মেহেরপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পেঁয়াজের ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে।

এতে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় বাজারে সরবরাহ কমতে শুরু করে। সম্প্রতি পেঁয়াজের মৌসুম শেষ হওয়ায় বাজারে সরবরাহ কমেছে। এতে দাম বাড়তির দিকে ছিল। সম্প্রতি বাজারে বাড়তি চাহিদা ও ভালো দামকে ঘিরে হিলিসহ সবগুলো বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বেড়েছে। এতে পেঁয়াজের দামও কমতে শুরু করেছে।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ জানান, দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের দাম নিশ্চিতে সরকার গত ডিসেম্বর মাস থেকে ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) প্রদান বন্ধ করে রেখেছে। আগের নেওয়া অবশিষ্ট আইপির মাধ্যমে আমদানি অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে এসব আইপি শেষের দিকে। যেহেতু প্রতিবছর রমজানে দেশে পেঁয়াজের বাড়তি চাহিদা থাকে, তাই দামও বাড়ে।

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বেড়েছে। গত সপ্তাহে ১৮ থেকে ২০ ট্রাক আমদানি হয়। চলতি সপ্তাহের প্রথম দিন থেকেই পেঁয়াজের আমদানি ২৫ থেকে ৩০ ট্রাকে দাঁড়িয়েছে। বন্দর দিয়ে গত শনিবার ৩৫টি ট্রাকে ৯৮১ টন ও রবিবার ৩৪টি ট্রাকে ৯৪৮ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।