প্রস্রাবে জ্বা’লাপোড়া, ঘনঘন প্র’স্রাব হওয়ার কারণ ও করণীয়

| আপডেট :  ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০২:০৪ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০১:১৮ অপরাহ্ণ

অনেকেই প্রস্রাবের জ্বালাপোড়ায় ভোগেন। ঘনঘন প্রস্রাব করেন। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে কেউ কেউ ফার্মেসি থেকে ওষুধ খান। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে এ সম্পর্কে জানব। এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান ডাক্তার আছেন

আপনার পাশে-র একটি পর্বে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া ও ঘনঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ এবং করণীয় সম্পর্কে বলেছেন আনোয়ার খান মর্ডান মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালে ইউরোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. আফজার উদ্দীন শেখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পুষ্টিবিদ নুসরাত জাহান।

সঞ্চালকের এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ডা. মো. আফজার উদ্দীন শেখ বলেন, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া খুব কমন বা সাধারণ প্রবলেম। আমার ধারণা, প্রত্যেকেই হয়তো তাঁদের জীবনে এক-দুবার ফেস করেছেন। প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হলেই যে ইনফেকশন, এটা কিন্তু না। একটা ধারণা আছে যে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হলেই ইনফেকশন হয়। ইনফেকশন ছাড়াও অনেক কারণে জ্বালাপোড়া হতে পারে।

অধ্যাপক ডা. মো. আফজার উদ্দীন শেখ আরও বলেন, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হলে প্রথমে যে জিনিসটি বলব, আপনারা অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া শুরু করবেন না। আগে পরীক্ষা করতে হবে, রুটিন এক্সামিনেশন করতে হয়। তার পর প্রয়োজন হলে কালচার করতে হবে। তার পরে অ্যান্টিবায়োটিক শুরু করতে হবে। তার আগে অ্যান্টিবায়োটিক শুরু করা ঠিক হবে না।

কারণ, ইনফেকশন ছাড়াও অনেক কারণে জ্বালাপোড়া হয় এবং এগুলো খুব কমন, বিশেষ করে ইয়াং ছেলেদের প্রস্টিটাইটিস হলে জ্বালাপোড়া হয়। মেয়েদের সিস্টাইটিস হয় অনেক সময়। প্রস্রাবের থলির টিউমারের কারণে হতে পারে। স্টোন হলে অনেক সময় হয়। কী কারণে হয়েছে, এটা জেনে তার পরে চিকিৎসা শুরু করতে হবে।