ফের লোকে-লোকারণ্য কক্সবাজার

| আপডেট :  ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৩:২৭ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৩:২৭ অপরাহ্ণ

ক’রো’নার সংক্রমণ কমে আসায় ফের বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে ঢল নেমেছে পর্যট’কের। দীর্ঘ ২ কিলোমিটার সাগরতীর জুড়ে লোকে-লোকারণ্য। আনন্দ আর হই-হুল্লোড়ে ভুলে গেছে ক’রো’নার স্বাস্থ্যবিধি মানার নিয়ম। তবে সাগর উত্তাল হওয়ায় সমুদ্রস্নানে নিয়ম মেনে চলার পরাম’র্শ লাইফ গার্ড কর্মীদের। আর নিরাপত্তা জো’রদারের

পাশাপাশি পর্যট’কদের স্বাস্থ্যবিধি মানাতে মাইকিং করছে টুরিস্ট পু’লিশ।ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে পাল্টাচ্ছে সমুদ্রের রূপ। শীতল সাগরে ফিরেছে ঢেউয়ের উ’ত্তা’প। বেড়েছে সূর্যের তাপও। ক’রো’নার সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে গত ২ মাস সৈকত শহর কক্সবাজারে কমেছিল পর্যট’কের আগমন। কিন্তু এখন সংক্রমণ কমতে থাকায় ফের সৈকতে বেড়েছে

পর্যট’ক। সাগরতীর জুড়ে পর্যট’কের ঢল। আনন্দ আর হই-হুল্লোড়ে মেতেছে ভ্রমণপিপাসু।নারাণগঞ্জ থেকে আসা পর্যট’ক রহিম উদ্দিন বলেন, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে কক্সবাজারে বেড়াতে আসার কথা ছিল। কিন্তু ক’রো’নার কারণে আসতে পারিনি। এখন একটু কমা’র কারণে পরিবার নিয়ে ৩ দিনের জন্য ঘুরতে আসলাম। বেশ মজা হচ্ছে।আরেক পর্যট’ক হু’মায়ুন কবির বলেন, সা’প্তাহিক ছুটির দিনে কক্সবাজারে বেশ আনন্দ করছি। তবে মানুষের চাপ বেশি আর সূর্যের তাপও বেড়েছে।রিয়াজ উদ্দিন নামে অ’পর

একজন বলেন, পর্যট’কের চাপ বাড়লে এখানকার ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে উঠে। যেমন এখন টিউব ব্যবসায়ী ও জেড স্কি ব্যবসায়ীরা অ’তিরিক্ত টাকা আদায় করছে।সা’প্তাহিক ছুটির দিনে পর্যট’কের চাপ বাড়ায় ব্যস্ততা বেড়েছে লাইফ গার্ড কর্মীদের। তবে সমুদ্রস্নানে নিয়ম মেনে চলার পরাম’র্শ তাদের।সি সেইফ লাইফ গার্ডের ইনচার্জ মো: ওম’র ফারুক বলেন, আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়েছে; যা বোঝা যায় সমুদ্রের ঢেউ দেখে। এখন সাগর উত্তাল তাই পর্যট’কদের নিয়ম মেনে গোসল করা প্রয়োজন দু’র্ঘ’ট’না এড়াতে।

বিশেষ করে যেখানে পতাকা রয়েছে এবং লাইফ গার্ড কর্মীরা দায়িত্ব পালন করছে সেখানে গোসল করলে নিরাপদ।আর টুরিস্ট পু’লিশ বলছে, পর্যট’কদের নিরাপত্তা জো’রদারের পাশাপাশি ক’রো’নার স্বাস্থ্যবিধি মানতে মাইকিং করছেন তারা।সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে দায়িত্বপালনরত টুরিস্ট পু’লিশের উপপরিদর্শক মিঠুন দত্ত বলেন, পর্যটন স্পট ও সৈকতে নিরাপত্তা জো’রদার করা হয়েছে।

কারণ, এখন পর্যট’কের চাপ বেড়েছে।প্রসঙ্গত, সৈকত শহর কক্সবাজারে পর্যট’কদের রাতযাপনের জন্য রয়েছে সাড়ে ৪ শতাধিক হোটেল-মোটেল রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস। পর্যট’কদের চাপ বাড়ার সময় প্রায়ই এসব হোটেলে স্থান সঙ্কুলান না হওয়ার বিষয়টি প্রকট হয়ে পড়ে।