দক্ষিণ এশিয়ায় ই’সরাইলের আধিপত্য, অধ্যাপক কলিমুল্লাহ’র হুঁশিয়ারি

| আপডেট :  ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২:১৪ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২:১৪ অপরাহ্ণ

দক্ষিণ এশিয়ায় পৃথিবীর একমাত্র ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইলের আধিপত্য নিয়ে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে খুব কমই বিতর্ক হয়েছে। ভারত ও পাকিস্তানের থিংকট্যাঙ্কগুলো অল্পবিস্তর এ বি’ষয়ে তাদের পলিসি পেপারগুলোতে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। কিন্তু সাম্প্রতিক একটি আলোচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ দক্ষিণ এশিয়ায় ইসরাইলের সম্পৃক্ততার ইস্যুটি প্রকাশ্যেই সামনে নিয়ে এসেছেন। শুধু সামনে নিয়ে আসেননি বরং ইসরাইল, ভারত নাখোশ হলে সম্ভাব্য পরিণতির প্রতিও বাংলাদেশ স’রকারকে তিনি সতর্ক করেছেন।

বাংলাদেশের মতো ক্ষুদ্র রাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার আলোচনায় এটি নতুন সংযোজন বললেও ভু’ল হবে না। অনেকে অধ্যাপক কলিমুল্লাহর এহেন বক্তব্যে ক্ষু’ব্ধ হয়েছেন , তাকে ইসরাইলের দালাল বলেও চিহ্নিত করেছেন। আবার অনেকে বলবার চেষ্টা করেছেন এতে অধ্যাপক কলিমুল্লাহর নিজস্ব এজেন্ডা রয়েছে । সেটা আপনি আমি করতেই পারি।

কিন্তু যে বিতর্কটির তিনি সূত্রপাত করলেন তা আমরা এড়িয়ে যাই কি করে? এক্ষেত্রে একজন জাতীয় নিরাপত্তা বিভাগের ছাত্র হিসেবে আমার মতামত হচ্ছে, তাঁর এই বক্তব্যটিকে প্রকৃত সত্য/আধাসত্য কিংবা হাইপোথিসিস হিসেবে বিবেচনায় নিয়েই একবিংশ শতাব্দীতে আমাদেরকে বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তার আলোচনাটি চালাতে হবে, চলতে দিতে হবে এবং পলিসি নির্ধারণ করতে হবে।

দক্ষিণ এশিয়ায় ইসলরাইলের সম্পৃক্ততার বি’ষয়টি নতুন কোনো ঘটনা নয় । কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নের আগেই প্রতিরক্ষা ও সা’মরিক ক্ষেত্রে দেশটি ভারতের সাথে জড়িয়ে পড়ে। সেই ১৯৫৬ সাল থেকে ভারতের সাথে ইসরাইলের সম্পৃক্ততার সূত্রপাত ঘটে। মিশর কর্তৃক সুয়েজ খাল জাতীয়করণ নিয়ে সৃষ্ট সং’কটের প্রাক্কালে ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোসে সারেট প্রথমবারের মতো ১৯৫৬ সালে ভারত সফর করেন। উদ্দেশ্য ভারতকে মিশরের পক্ষাবলম্বন থেকে বিরত রাখা।

উল্লেখ্য, মিশরের প্রে’সিডেন্ট জামাল আবদুল নাসেরের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর একটি ব্যক্তিগত সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটে ”নন এলায়েন্স মুভমেন্ট” গঠনের সময় থেকে। কারণ তারা দু’জনই ছিলেন এ মুভমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা। এর পর ১৯৬২ ও ১৯৬৫ সালে চীনের সঙ্গে ভারতের যু’দ্ধ বেধে গেলে, ভারত অ’স্ত্র সরবরাহের জন্য ইসরাইলের দ্বারস্থ হয় এবং ইসরাইল এতে দারুণভাবে সাড়া দেয়।

পরবর্তী বছরগুলোতে ইসরাইলের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা সময়ে সময়ে ভারত সফর করেন। উদাহরণস্বরুপ ১৯৬৫ সালে ইসরাইলি মন্ত্রিসভার সদস্য ইগাল অ্যালোন ১৯৭৭ সালে মোশে দায়ান ভারতে সফর করেন। এছাড়া ভারতের গো’য়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস ( র) এবং ইসরাইলি গো’য়েন্দা সংস্থা মোসাদ এর মধ্যে দীর্ঘায়িত সহযোগিতাও বিরাজমান ছিল। ইন্দিরা গান্ধী (১৯৬৬-৭৭ এবং ১৯৮০-৮৪) এবং রাজীব গান্ধী (১৯৮৪-১৯৮৯) এর প্রধানমন্ত্রীত্বের সময়ও এই ধরনের সহযোগিতা বিদ্যমান ছিল। ইসরাইলের পক্ষ থেকে ভারতের জন্য সবচেয়ে বড় সহযোগিতা আসে ১৯৭১-এর মুক্তিযু’দ্ধের সময়।

যা এতদিন ঐতিহাসিক আলোচনায় ছিল একেবারেই অনুপস্থিত । ২০১৩ সালে বিশিষ্ট স্কলার শ্রীনাথ রাগাবান তাঁর লিখিত ১৯৭১: A Global History of the Creation of Bangladesh বইতে প্রথমবারের মতো এটি সামনে নিয়ে আসেন। তিনি তাঁর ওই গবেষণাধর্মী বইতে দেখিয়েছেন কীভাবে ভারত তার ফ্রান্সে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ডি এন চ্যাটার্জির মাধ্যমে ইসরাইল থেকে অ’স্ত্রসস্ত্র ভারতে আনার ক্ষেত্রে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ৬ই জুলাই ১৯৭১ রাষ্ট্রদূত চ্যাটার্জি এক নোটে লেখেন ইসরাইল “ প্রপাগান্ডা , অর্থনৈতিক সহযোগিতা , অ’স্ত্র ক্রয় এবং তেল সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছে । যা ভারতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ”। কাল বিলম্ব না করে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ইসরাইলের এ প্রস্তাব গ্রহণ করেন এবং গো’য়েন্দা সংস্থা র’ কে অ’স্ত্র আমাদানি তত্ত্বাবধানের জন্য নিযুক্ত করেন। র’ -এর তত্ত্বাবধানে ইসরাইলি অ’স্ত্রের বহর অনায়াসে পৌঁছে যায় ভারত-বাংলাদেশ সী’মান্তে।

সেই সাথে র’ এর প্রধান মি. কাও ইসরাইলী অ’স্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে ইসরাইলী সা’মরিক পরামর্শক দলকে তেলআবিব থেকে ভারত -বাংলাদেশ সী’মান্তে উড়িয়ে নিয়ে আসেন। আগষ্ট ৪, ১৯৭১ র’ এর প্রধান মি. কাও , পি এন হ্যাকসার (ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা) এর প্রতি লিখিত এক নোট থেকে বি’ষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। আর সেই ৭১ সাল থেকে ভারত- বাংলাদেশ ও ভারত-পাকিস্তান সী’মান্তে ইসরাইলী সা’মরিক বাহিনীর অব্যাহত তৎপরতা বিদ্যমান রয়েছে এমন একটি কথা সা’মরিক বিশেষজ্ঞদের মধ্যে চাউড় থাকলেও রাজনৈতিক আলোচনায় অধ্যাপক কলিমুল্লাহই প্রথমবারের মতো বি’ষয়টি সামনে নিয়ে এসেছেন। শুধু তাই নয়, ১৯৯৯ সালে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার কারগিল যু’দ্ধে ইসরাইল , ভারতের ওই বিজয়ে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করে বলে মনে করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। তাদের অন্যতম একজন হলেন নিকোলাস ব্লারেল।

নিকোলাস ব্লারেল তাঁর The Evolution of India’s Israel Policy শীর্ষক বইয়ে এ বি’ষয়ে বিস্তারিত উপস্থাপন করেছেন । ব্লারেল তাঁর ওই বইতে দেখিয়েছেন , কারগিলে পাকিস্তান সে’নাবা’হিনীর উঁচুস্থানে কৌশলী অবস্থানে যখন ভারত দিশেহারা ঠিক তখনই সরাসরি ত্রাণকর্তার ভূমিকায় আবির্ভূত হয় ইসরাইল। আন্তর্জাতিক নি’ষেধাজ্ঞা স্বত্বেও ইসরাইল প্রতিটি ভারতীয় মিরাজ ২০০০ যু’দ্ধবিমান এর জন্য লেজার গাইডেড মি’সাইল সরবরাহ করে। এছাড়াও ইসরাইলের পক্ষ থেকে সরবরাহ করা হয় ড্রো’ন ও মনুষ্যবিহীন যু’দ্ধবিমান (ইউএবি) । এছাড়া যু’দ্ধক্ষেত্রে ইসরাইলের সা’মরিক বাহিনীর সদস্যরা সরাসরি টেকনিক্যাল সহযোগিতা করে ভারতীয় বাহিনীকে।

কারগিল যু’দ্ধেও ২২ বছর পর ইসরাইলের পক্ষ থেকে এটি প্রচার করা হলে ভারতের পক্ষ থেকে এ বি’ষয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের দুই দু’টি বিজয় ছি’নিয়ে আনার পেছনে ইসরাইলের হাত থাকার পর আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা প্রায়শই মন্তব্য করে থাকেন ভারত- ইসরাইল সম্পর্ক যতটা না অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক তারচেয়েও বেশি আদর্শিক। কারণ ইসরাইল ও ভারতকে সবসময় ইসলাম ও মু’সলমানকে মোকাবেলা করতে হচ্ছে। কারণ একদিকে পাকিস্তান ও কাশ্মীর অপরদিকে মু’সলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশ। আর এই কারণে ইসরাইলের ধর্মীয় আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে ভারত কাশ্মীরে ইসরাইলের পলিসি গ্রহণ করেছে।

এখানে বলে রাখা ভালো, ইসরাইলের সাথে ভারতের সম্পর্ক উন্নয়নের বি’ষয়টি সহজসাধ্য কোনো বি’ষয় ছিল না। এক্ষেত্রে তিনটি চ্যালেঞ্জ ভারতের সামনে এসে দাঁড়ায় ।

প্রথমত, ভারতে মধ্যপ্রাচ্যের জ্বা’লানি তেল সরবরাহ নিশ্চিত রাখা। দ্বিতীয়ত, মধ্যপ্রাচ্য থেকে প্রবাসীদের অর্জিত বৈদিশিক মুদ্রার রিজার্ভ অব্যাহত রাখা এবং তৃতীয়ত, ভারতে বসবাসরত ২০ কোটি মু’সলমান , যারা ফিলিস্তিনের বি’রোধিতাকে কেন্দ্র করে নিজ রাষ্ট্রের বি’রুদ্ধেও দাঁড়িয়ে যেতে পারে। আর এসব কারণে ভারত ১৯৯২ সাল পর্যন্ত অনেকটা গো’পনেই ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখে আসছিল। ১৯৯২ সালে ইসরাইলের সাথে ভারতে অফিসিয়ালি কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা হবার আগে কমপক্ষে ৫০ বার সা’মরিক কর্তাব্যক্তিদের উভ’য় দেশ ভ্রমণ ,যোগাযোগ ও আলাপ আলোচনা হয়েছে। রাজনৈতিক কারণেই ভারত তাদের এসব তৎপরতা জনসমক্ষে প্রচার থেকে বিরত থাকে। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শারদ পাওয়ার ১৯৯২ সালে স্বীকার করেছেন যে, ভারত ও ইসরাইলের মধ্যে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক যাত্রা দেশটির স’ন্ত্রাস দ’মনে সফল অভিজ্ঞতার উপর অনেকটাই নির্ভর করেছে(The Times of India, February 22, 1992)।

এখানে শারদ পাওয়ার স’ন্ত্রাস দ’মন বলতে ইসরাইল কর্তৃক ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী আন্দোলনকে প্রতিহত করার টেকনিককে বুঝিয়েছেন। ১৯৯২ সালের পর থেকেই ভারত ইসরাইলের সহযোগিতায় পাকিস্তান , কাশ্মীর ও বাংলাদেশ সী’মান্তে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে নজরদারির কাজ চা’লিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সী’মান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ কাজটি ভারত সম্পাদন করে নজরদারির ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার জো’রদার করতে। খবর বেরিয়েছে, বাংলাদেশ সী’মান্তে ড্রো’নের সাহায্যে নজরদারি করছে ভারত। আর এতে কারিগরি সহযোগিতা দিচ্ছে ইসরাইল। সী’মান্তে নজরদারি , স’ন্ত্রাস দ’মনের জন্য ভারত ও ইসরাইল বেশ কয়েকটি প্রকল্পে যৌথভাবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে। যে নজরদারির বি’ষয়টিই নতুন করে সামনে নিয়ে আসলেন অধ্যাপক কলিমুল্লাহ। সী’মান্তে নজরদারির পাশাপাশি ভারত বিগত ১২ বছরে বাংলাদেশে ”হিউম্যান ইন্টেলিজেন্টস” নেটওয়ার্ক অনেক শক্তিশালী করেছে।

ওদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের বি’ষয়টি মাথায় রেখে অনেকটা চ্যালেঞ্জ নিয়েই চীনমুখী হয়েছেন। চীন থেকে দুই দু’টি সাবমেরিন গ্রহণ, বড় বড় প্রকল্পগুলো চীনের মাধ্যমে বাস্তবায়ন, কোয়াডে অংশগ্রহণ না করা তারই ইঙ্গিত বহন করে। আর এতেই নাখোশ ভারত। আর স্বাভাবিক কারণেই এতে বিচলিত আমেরিকা। দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের প্রভাব কমাতে যেখানে যুক্তরাষ্ট্র মরিয়া, সেখানে চীনের প্রতি বাংলাদেশের এই ঝুঁকে যাওয়া ওয়াশিংটনকে ভাবিয়ে তুলেছে।

ওয়াশিংটনের এই ভাবনায় শেখ হাসিনা স’রকারের তেমন কিছুই হতো না যদি তিনি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতেন। স’রকারের শীর্ষ কর্তাদের নি’ষেধাজ্ঞার আওতায় নিয়ে আসার মাধ্যমে সেই সুযোগটিই কাজে লাগিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নি’ষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মা’নবাধিকার সংগঠনগুলোর ভূমিকা অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে। প্রে’সিডেন্ট জো বাইডেনের বৈদেশিক নীতিতে গণতন্ত্র ও মা’নবাধিকার প্রতিষ্ঠার বি’ষয়টি অগ্রাধিকার পাওয়ায় আগামী দুই বছর স’রকারকে আবশ্যিকভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে চা’প সইতে হবে। সেই সাথে প্রফেসর কলিমুল্লাহর তথ্য অনুযায়ী সেভেন সিস্টারেও যদি বাংলাদেশ হয়ে অ’স্ত্রের যোগান যাওয়ার খবরটি সত্য হয় তাহলে ভারতের সমর্থন আওয়ামী লীগ স’রকার থেকে উঠে যাবে এমনটাই কেউ কেউ মনে করছেন।

কারণ ভারতের স্বার্থের বি’রুদ্ধে বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহৃত হবে না -এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্তেই আওয়ামী লীগকে তিন টার্ম সমর্থন যুগিয়ে আসছে ভারত । বিএনপি স’রকারের আমলে জ’ব্দ হওয়া ১০ ট্রাক অ’স্ত্র ও তার পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ আমাদের সকলের কাছেই পরিস্কার । প্রফেসর কলিমুল্লাহ স’রকারকে যে সতর্ক বার্তা দিলেন এটি বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি হু’মকি বলে আমি মনে করি। এ থেকে উত্তরণে প্রধানমন্ত্রীর সামনে একমাত্র পথ জাতীয় স্বার্থে “জাতীয় ঐক্যমত প্রতিষ্ঠা” করা।

জাতীয় ঐক্যমত প্রতিষ্ঠাকল্পে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে অবাধ , সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ক্ষেত্র তৈরি করতে আলোচনার সূত্রপাত করাই হবে সময়োপযোগি উদ্যোগ। প্রয়োজনে অন্তত দুই বছরের জন্য ২০০৮ সালে জাতীয় সং’সদে প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি জাতীয় স’রকার গঠন করা যেতে পারে। এ জাতীয় স’রকারে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরাও থাকতে পারেন। যাদের প্রধান কাজ হবে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করা ও একটি সমন্বিত জাতীয় নিরাপত্তা পলিসি গ্রহণ করা।

লেখক: আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও শিক্ষক , স্টেইট ইউনিভার্সিটি অব নিউ ইয়র্ক
ই-মেইল:[email protected]
সূত্রঃ মানবজমিন