সব
শুধুমাত্র সে’ক্স চ্যাটিং এর জন্যই কি কলকাতার বাংলাদেশ মিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি মোহাম্ম’দ সানিউল কাদেরকে ফিরিয়ে নিলো ঢাকা? এই কূটনীতিক যেমন আলিশা মেহমুদ নামে এক ভারতীয় ত’রুণীর সঙ্গে সে’ক্স চ্যাট এবং সে’ক্স ভিডিও কাণ্ডে জড়িয়েছিলেন ঠিক তেমনই কলকাতায় বসে তিনি কি বিদেশি কোনো রাষ্ট্রের কাছে তথ্য পা’চার করার কাজে নিযুক্ত ছিলেন?
ভারতীয় গো’য়েন্দা বিভাগ সূত্রে খবর, বাংলাদেশি ইন্টেলিজেন্স বিভাগ গত নভেম্বর থেকে সানিউল কাদেরকে মনিটরিং করছিলেন। তাদের মনিটরিংয়েই নাকি সে’ক্স চ্যাট এবং সে’ক্স ভিডিও ফাঁ’স হয়। এরপরই ২৫শে জানুয়ারি এই ভিডিও বাংলাদেশের কলকাতা কর্তৃপক্ষের কাছে জমা পড়ার পরই ২৬শে জানুয়ারি সানিউল কাদেরকে তড়িঘড়ি সড়কপথে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়।
এতটাই মন্ত্রগুপ্তি নেয়া হয় এই বি’ষয়ে যে, বিমানে সানিউল কাদেরকে ঢাকা পাঠানোর কোনো ঝুঁ’কি নেয়া হয়নি। এমনকি নয়া দিল্লিকে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় দূ’তাবাস দু’লাইনের একটি বার্তা পাঠায়- একান্ত ব্যক্তিগত কারণে কলকাতার বাংলাদেশ উপ-দূ’তাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি, পলিটিক্যাল সানিউল কাদেরকে ঢাকায় ফেরত পাঠানো হয়েছে।
প্রথম সে’ক্স চ্যাট এবং সে’ক্স ভিডিও ফাঁ’স হওয়ার খবর প্রকাশ করার পর থেকেই কলকাতার বাংলাদেশ মিশন এ ব্যাপারে সঙ্গত কারণেই মুখে কুলুপ দিলেও বাংলাদেশের কলকাতা মিশন প্রধান ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হোসেন গতকাল রোববার সানিউল কাদেরের সে’ক্স চ্যাট ফাঁ’স হওয়ার খবরটি স্বীকার করেন। তবে সানিউল কাদের সম্পর্কে কড়া ত’দন্ত চলছে- তাই এই বি’ষয়ে আর কিছু তার পক্ষে বলা সম্ভব নয়। ঢাকায় সানিউল কাদেরকে বেশ কয়েকপ্রস্থ জি’জ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সানিউল কাদের কি হানি ট্র্যাপ এর শি’কার?
আলিশা মেহমুদ নামের ত’রুণী, যে ন’গ্ন নাচের দৃশ্যে ছিল সানিউল কাদেরের সঙ্গে রাতারাতি যেন সে উবে গেছে। প্রচুর চেষ্টা করেও রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত আলিশা মেহমুদের কোনো সন্ধান মেলেনি। এরকম একজন ত’রুণীর সোশ্যাল মিডিয়াতে অত্যন্ত অ্যাক্টিভ থাকা’টাই স্বাভাবিক।
কিন্তু ফেসবুকে, ইনস্টাগ্রামে কিংবা টুইটারে, মেসেঞ্জারে কলকাতার কোনো আলিশা মেহমুদের হদিস মেলেনি। এমনকি কোনো সূত্রই আলিশা মেহমুদ সম্পর্কে তথ্য জানাতে পারেনি। এখন মনে হচ্ছে আলিশা মেহমুদ কি নাম ভাড়িয়ে সানিউল কাদেরের সঙ্গে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন? তাহলে তিনি কি প্ল্যান্টেড ছিলেন? থাকলে কাদের দ্বারা? প্রশ্ন অনেক। উত্তর মিলছে না। সূত্রঃ মানবজমিন
