যে কারণে ভাইরাল শামীম পাটোয়ারী

| আপডেট :  ৩১ জানুয়ারি ২০২২, ১২:০৫ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৩১ জানুয়ারি ২০২২, ১২:০৫ পূর্বাহ্ণ

জাতীয় পার্টির সং’সদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। সং’সদের সর্বশেষ অধিবেশনে তার দেওয়া একটি বক্তব্য রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। লাখ লাখ মানুষ তার বক্তব্য শুনছেন। বহু মানুষ তার বক্তব্যের প্রশংসা করেছেন। তারা বলেছেন, সং’সদে বক্তব্য এমনই হওয়া উচিত। সং’সদে আইনজীবীদের সংখ্যা কেন বাড়া উচিত সে ব্যাপারেও কথা বলছেন সাধারণ মানুষ।

বক্তব্যে কী বলেছেন ব্যারিস্টার শামীম পাটোয়ারী। মোটাদাগে তিনি কথা বলেছেন র‌্যা’ব এবং প্রতিষ্ঠানটির ও’পর মা’র্কিন নি’ষেধাজ্ঞার প্রভাব নিয়ে।

তিনি গুরুত্বারোপ করেছেন রাজনৈতিক ঐক্যমতের ও’পর। শামীম পাটোয়ারী বলেন, আমরা এখন সং’কটে। এতে কোনো স’ন্দেহ নেই। যতই হম্বি-তম্বি করি না কেন, যতই যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির সঙ্গে আমাদের তুলনা করি না কেন, গু’মের সঙ্গে তুলনা করি না কেন? তথাকথিত লবিস্ট তত্ত্ব কিংবা পিআর নিয়ে আলোচনা করি না কেন এতে স’মস্যার সমাধান আসবে না।

স’মস্যাটির সমাধান করার জন্য অবশ্যই আমাদের জাতীয় ঐকমত্য লাগবে। ভু’লে গেলে হবে না, ভেনিজুয়েলা একটা সময় পৃথিবীর চতুর্থ বড় অর্থনীতির দেশ ছিল। তাদের মাথাপিছু আয় ছিল বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ সর্বোচ্চ। আজকে সেখানে ৯৭ ভাগ মানুষ দরিদ্র। শুধু যুক্তরাষ্ট্রের নি’ষেধাজ্ঞার কারণে।

ব্যারিস্টার শামীম হায়দার বলেন, কাশ্মীর ইস্যুতে যখন জেনেভাতে ভারতের ও’পর নি’ষেধাজ্ঞা দেওয়ার চেষ্টা চলছিল, তখন বি’রোধী দলীয় নেতা অটল বিহারী বাজপেয়ীকে পাঠিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরসীমা রাও। এজন্যই ভারত এখনো টিকে আছে। ১৯৬৫ সালে যখন (পাকিস্তানের সঙ্গে) যু’দ্ধ হলো তখন যুক্তরাষ্ট্র বললো, যু’দ্ধবিরতি না করলে খাদ্যশস্য দেবো না ভারতকে।

তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী তার জনগণকে বললেন, আমরা যদি সবাই সপ্তাহে একবেলা খাদ্য কম খাই, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য সহায়তা লাগবে না। তাদের সেই ঐক্যের ডাকে সবাই সাড়া দিয়েছিল। কিন্তু আমাদের ঐকমত্যের ডাকে সবাই সাড়া দেবে না, এটাই রাজনৈতিক বাস্তবতা।

তিনি বলেন, খুব দুঃখের সঙ্গে বলবো এই বিশাল অত্যাসন্ন এবং অবশ্যম্ভাবী সং’কটে স’রকারের শীর্ষ ব্যক্তিদের কেউ কেউ আমার ব্যক্তিগত মতে অর্বাচীন ও বালখিল্যসুলভ আচরণ করছেন। লবিস্ট ও পিআর নিয়ে যা বলেছেন তা সত্যিই হাস্যকর। পিআর-লবিস্ট আলোচনা নিয়ে এই স’মস্যার সমাধান হবে না। অবশ্যই আমরা এই ব্যাপারে প্রফেশনালিজম চাই। রাষ্ট্রীয় নির্বুদ্ধিতা, রাষ্ট্রীয় অহমিকা চাই না।