সৌদিতে বিপুল পরিমাণ সোনা ও বৈদেশিক মুদ্রাসহ বাংলাদেশী কেবিন ক্রু আটক, চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস!

| আপডেট :  ২৭ জানুয়ারি ২০২২, ১১:৩১ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৭ জানুয়ারি ২০২২, ১১:৩১ পূর্বাহ্ণ

৩ কোটি টাকার সোনা ও বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রাসহ সৌদি আরবের জেদ্দায় আ’ট’ক হয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের এক কেবিন ক্রু। তার নাম রুহুল আমিন শুভ। বুধবার সকালে ফ্লাইটে উঠার আগ মুহুর্তে তিনি সৌদি আরবের জেদ্দা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আ’ট’ক হন। এরপরই বিমানের ফ্লাইট ঘিরে ঘটা বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে।

সৌদি পু’লিশ সূত্রে জানা গেছে, বিমানের ঢাকাগামী ফ্লাইট বিজি ৪০৩৬ এর ফ্লাইট স্টুয়ার্ড হিসেবে তার ডিউটি ছিল। বিমানে উঠার আগ মুহুর্তে তারা জানতে পারেন তার লাগেজে বিপুল পরিমাণ সোনা ও বৈদেশিক মুদ্রা আছে। এরপর পু’লিশ তার ব্যাগ তল্লা’শি করে প্রায় ৩ কোটি টাকা মূল্যের সোনা উ’দ্ধার করে। পু’লিশ এসব সোনার কাগজপত্র দেখতে চাইলে শুভ তা দেখাতে পারেননি। এরপর বিমানের ওই ফ্লাইটটি শুভকে ছাড়া ঢাকার উদ্দেশ্যে জেদ্দা বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

সিভিল এভিয়েশন আইন অনুযায়ী, বিমানের এ ধরনের ফ্লাইটে ১০ জন কেবিন ক্রু বাধ্যতামূলক থাকতে হবে। কিন্তু শুভ আ’ট’ক হওয়ায় পাইলট আইন লঙ্ঘন করে ৯ জন ক্রু নিয়ে ঢাকায় আসেন।এ ঘটনায় বিমান কর্তৃপক্ষ শুভকে চাকরিচ্যুত করেছে। তার বি’রুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানা গেছে।

অ’ভিযোগ আছে, দীর্ঘদিন ধরে শুভর নেতৃত্বে একটি গ্রুপ দেশ থেকে শত শত কোটি টাকা পাচার করে নিয়ে বিদেশ থেকে অ’বৈধভাবে সোনা আনতেন। বিমানে যোগদানের পর থেকে এভাবে তিনি কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান। অ’ভিযোগ আছে, বিমানের শিডিউলিং শাখার শাকিল নামের এক কর্মক’র্তার হাত ধরে শুভ একটি বাহিনী গড়ে তোলেন বিমানে।

এই বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরব, দুবাইসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে সোনা আনতেন বিমানের ফ্লাইট ব্যবহার করে। শাকিল শিডিউলিং শাখায় যোগদানের পর তিনি মোটা অংকের টাকা নিয়ে এই গ্রুপের সদস্যদের এসব ফ্লাইট ব্যবস্থা করে দিতেন।

জানা গেছে, প্রতি ফ্লাইটে শাকিল ১০ হাজার করে টাকা নিতেন ক্রুদের কাছ থেকে। তিনি নিজেকে বিমানের সাবেক একজন প্রভাবশালী পরিচালকের ভাই পরিচয় দিয়ে শিডিউলিং শাখায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। তার বি’রুদ্ধে এর আগে সোনা আম’দানি ও টাকা পাচারসহ অসংখ্য অ’ভিযোগ থাকলেও ওই পরিচালকের কারণে কোনো অ’ভিযোগই কর্তৃপক্ষ আমলে নিত না।

যার কারণে তিনি কাউকে পরোয়া করতেন না। শুভ ছাড়াও তার বাহিনীর অ’পর এক সদস্যের বি’রুদ্ধেও বিমান চাকরিচ্যুতিসহ বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে বলে জানা গেছে। তার নাম শেহ’জাদ। তিনিও সম্প্রতি সোনাসহ হাতেনাতে ধ’রা পড়েছিলেন। তবে শাকিলের বি’রুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে কিনা- তা জানা যায়নি।

তবে এই ঘটনার পর শুভর গডফাদার শাকিলকে খুঁজছে পু’লিশ। শাকিল বসুন্ধ’রা আবাসিক এলাকায় বিশাল আলিশান বাড়ির মালিক। এই বাড়ির কিস্তির টাকাও এই গোল্ড ক্রুরা সরবরাহ করতেন। অ’ভিযোগ উঠেছে, যে ফ্লাইটে রুহুল আমিন শুভ সোনা নিয়ে আ’ট’ক হয়েছেন ওই ফ্লাইটটিও শাকিল

দিয়েছিলেন মোটা অংকের টাকা নিয়ে।এ ব্যাপারে জানতে বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ১০টার দিকে যোগাযোগ করা হলে বিমানের উপমহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার যুগান্তরকে বলেন, আমি এ বিষয়টি জানি না। খোঁজ নিচ্ছি। সূত্রঃ যুগান্তর