র‌্যাব এখন আর স’ন্ত্রাসীদের নিয়ে অ’স্ত্র উদ্ধারে যাচ্ছে না’

| আপডেট :  ২৩ জানুয়ারি ২০২২, ০৭:০১ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৩ জানুয়ারি ২০২২, ০৭:০১ অপরাহ্ণ

বিএনপির সং’সদ সদস্য রুমিন ফারহা’না বলেছেন, জনগণের করের টাকায় চলা রাষ্ট্রীয় বাহিনী র‌্যা’ব দলীয় ক্যাডারের মতো ব্যবহার করায় নি’ষেধাজ্ঞা দিয়েছে আমেরিকা। নি’ষেধাজ্ঞার পর র‌্যা’ব এখন আর গভীর রাতে স’ন্ত্রাসীদের নিয়ে অ’স্ত্র উ’দ্ধারে যাচ্ছে না। গো’পন সংবাদের ভিত্তিতে ওত পেতে থাকা স’ন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে গু’লি ছুঁড়ছে না। রোববার (২৩ জানুয়ারি) জাতীয় সং’সদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ধন্যবাদ প্রস্তাবের ও’পর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমেরিকার নি’ষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর স’ন্ত্রাসীরা র‌্যা’বের কাছে সাধু হয়ে গেছে। র‌্যা’ব গু’লি করা বন্ধ করে দিয়েছে। র‌্যা’বকে দলীয় ক্যাডারের মতো ব্যবহার করে অনেক নিরপরাধ মানুষ এবং তাদের পরিবারের জীবনে সং’কট তৈরি করেছে স’রকার। এখন আমেরিকাকে নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কণ্ঠের স্বরও নত হয়ে গেছে। সব কিছু মিলিয়ে পরিষ্কার বোঝা যায়, স’রকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে। পতন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।

রুমিন ফারহা’না বলেন, আমেরিকার চা’পে স’রকার নানান দিকে তোরজোড় শুরু করেছে। গু’ম হওয়া বেশ কিছু মানুষের ব্যাপারে জাতিসংঘ তথ্য চেয়েছে, তাই স’রকার ব্যাপারটির সমাধান করতে চাইছে গু’ম হওয়া মানুষদের পরিবারের ও’পর নতুন করে নি’পীড়ন চা’লিয়ে। তাদের স্বজনকে কেউ তুলে নিয়ে যায়নি এমন কথা লিখিত বিবৃতি দিতে আর সাদা কাগজে সই দিতে বা’ধ্য করছে পুলিশ।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বং’স, গু’ম, বিচারবহির্ভূত হ’’ত্যা, হেফাজতে নি’র্যাতন ও মৃ’ত্যু, বি’রোধী দল-মত দ’মন, বিরাজনীতিকরণ, সেপারেশন অব পাওয়ার মুছে ফে’লে বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগের অধীনস্ত করা, বীভৎস দু’র্নীতি, সব কিছুর ফল হয়েছে এই যুক্তরাষ্ট্রের মিলেনিয়াম চ্যালেঞ্জ করপোরেশনের রিপোর্ট।

এছাড়াও গণতন্ত্রের সূচক প্রকাশকারী ইকোনোমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, ফ্রিডম হাউজ, বেরটেলসম্যান স্টিফ টুং, ভি-ডেম, ইন্সটিটিউট ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ইলেক্টোরাল অ্যাসিস্ট্যান্স, মা’নবাধিকার নিয়ে কাজ করা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, সিভিল লিবার্টি নিয়ে কাজ করা সিভিকাস, মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স, আইনের শাসনের সূচক প্রকাশকারী ওয়ার্ল্ড জাস্টিস রিপোর্ট, দু’র্নীতির সূচক প্রকাশকারী ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, নির্বাচনের মান নিয়ে সূচক প্রকাশ করা ইলেক্টোরাল ইন্টিগ্রিটি প্রজেক্টের গত কয়েক বছরের রিপোর্টে বাংলাদেশের দুরবস্থার চিত্র পরিষ্কার। এসবই স’রকারের বিদা’য়ের ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছে, স’রকারের পতন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।

স’রকার জনগণের করের কোটি কোটি টাকা খরচ করে দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট ফার্ম পুষছে দাবি করে রুমিন ফারহা’না বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ আর সব মন্ত্রী প্রথমে খুব কড়া ভাষায় আমেরিকাকে আ’ক্রমণ করলেও এখন গ’লার স্বর নিচু। এখন নিজেদের স’মস্যা খতিয়ে দেখার আলাপ হচ্ছে।

প্রয়োজনে লবিস্ট, ল ফার্ম নিয়োগের কথা হচ্ছে। একটি ফার্মকে গত বছর স’রকার ত্রৈমাসিক ৮০ হাজার ডলার করে দিয়েছে, বছরের যার পরিমাণ ৩ লাখ ২০ হাজার ডলার (আনুমানিক ২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা)। ওই ফার্ম বিজিআর ছাড়াও গত বছর সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রিডল্যান্ডার গ্রুপের সঙ্গে ৪০ হাজার ডলারে এক মাসের জন্য একটি চুক্তি করেন ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শহীদুল ইসলাম।

এছাড়া কোনওয়াগো কনসালটিংয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের (বিইআই) মাধ্যমে বাংলাদেশ স’রকার এক মাসের জন্য আরেকটি চুক্তি করে। ৩৫ হাজার ডলার অগ্রিম দেওয়ার শর্তে চুক্তিটি হয়, যাতে সই করেন প্রধানমন্ত্রীর বেস’রকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বি’ষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

২০০৫, ২০০৬ ও ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ অ্যালক্যাড অ্যান্ড ফে নামের লবিং প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ১২ লাখ ডলারের (১০ কোটি টাকার বেশি) বেশি দিয়েছে বলে দাবি বিএনপির এই সং’সদ সদস্যের।