বাতিল হচ্ছে বুকিং, হোটেল মালিকদের প্রতিদিন লোকসান প্রায় ৮০ লাখ টাকা

| আপডেট :  ২৩ জানুয়ারি ২০২২, ০৩:২১ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৩ জানুয়ারি ২০২২, ০৩:২১ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশে গত ২ বছরের করো’নার বিধিনিষেধের ক্ষতি কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছিল পটুয়াখালীর কুয়াকা’টা সমুদ্র সৈকতকে ঘিরে গড়ে উঠা পর্যটন শিল্প। কিন্তু নতুন করে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় পর্যটন এলাকাটির হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরা আবারও লোকসানের মুখে পড়েছেন। দেশে দ্রুত সংক্রমণ বৃদ্ধির ফলে চলতি পর্যটন মৌসুমে একের পর এক বুকিং বাতিল হচ্ছে।

এদিকে হোটেল-মোটেল মালিকদের দেওয়া তথ্যমতে, সব মিলিয়ে কুয়াকা’টায় প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৮০ লাখ টাকার আর্থিক লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের। পরিস্থিতি এতোটাই খা’রাপ অবস্থায় গেছে যে কয়েকজন হোটেল মালিক তাদের ব্যবসা গুটিয়ে ফেলার চেষ্টা করছেন।

এ বিষয়ে কুয়াকা’টা হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি মো. শফিকুর রহমান চাঁন মিয়ার মালিকানাধীন আবাসিক হোটেল বনানী প্যালেসের ম্যানেজার মো. সাহিন বলেন, ‘আজ (শনিবার) পটুয়াখালীর একটি অফিসের কর্মক’র্তা-কর্মচারীদের বার্ষিক বনভোজনের জন্য ২৫০ জনের বুকিং ছিল। কিন্তু ২ দিন আগে তারা বুকিং বাতিল করেছেন।’

এদিকে হোটেলটির ৩২টি ডাবল রুমের মধ্যে গতকাল শুক্রবার মাত্র ২টি রুমে পর্যট’ক ছিলেন। বাকি ৩০টি রুম খালি থাকায় তাদের ৪৫ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে জানিয়ে মো. সাহিন বলেন, ‘এখন স্টাফদের বেতন-ভাতা পরিশোধই আমাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে।’

এ ব্যাপারে কুয়াকা’টা হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোতা’লেব শরীফ বলেন, ‘কুয়াকা’টায় ১৩০টি মানসম্মত আবাসিক হোটেল রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৭০টি হোটেলের মালিক আমাদের সমিতির সদস্যভুক্ত। এসব হোটেলে ১০ হাজার পর্যট’কের আবাসন সুবিধা রয়েছে। সপ্তাহের শুক্র ও শনিবার পর্যট’কের সংখ্যা সাধারণত বেশি থাকে। কিন্তু গতকাল শুক্রবার মাত্র ৩৩ জন পর্যট’ক কুয়াকা’টায় ছিলেন। বাকি প্রায় ৯ হাজার ৭০০ পর্যট’কের আবাসন খালি থাকায় হোটেলেগুলোর কমপক্ষে ৭৫ লাখ থেকে ৮০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’

এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘করো’নার কারণে গত ২ বছরে এখানকার হোটেলে মালিকসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের অন্তত ৫ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এখন আবার নতুন করে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় আমাদের আরও লোকসান গুনতে হচ্ছে। অনেক হোটেল মালিক ব্যবসা বন্ধের পরিকল্পনা করছেন।’