শহীদ আসাদ দেশের গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষের মধ্যে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন

| আপডেট :  ২০ জানুয়ারি ২০২২, ১২:০৪ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২০ জানুয়ারি ২০২২, ১২:০৪ অপরাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানে আত্মত্যাগকারী শহীদ আসাদ এদেশের গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।তিনি বলেন, ‘১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে আত্মত্যাগকারী শহীদ আসাদ এদেশের গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তাঁর আত্মত্যাগ সবসময় আমাদের অধিকার আদা’য়ের আন্দোলনে প্রেরণা যোগাবে। এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে যারা আত্মহুতি দিয়েছেন তাঁদের অবদান আমরা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি এবং শহীদের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না।’

আজ বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) শহীদ আসাদ দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি শহীদ আসাদসহ বাঙালির মুক্তির সংগ্রামে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০ জানুয়ারি শহীদ আসাদ দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এই দিনটি একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। ১৯৬৯ সালের এ দিনে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনের রাস্তায় চলমান মিছিলে পুলিশ গু’লি চা’লায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের ছাত্র মোহাম্ম’দ আসাদুজ্জামান পুলিশের গু’লিতে নি’হত হয়। এভাবে আরো অনেক প্রা’ণ ঝরে পড়ে এবং আ’হত হয়।’

তিনি বলেন, পাকিস্তানি শাসকদের বৈষম্যমূলক আচরণ, নি’র্যাতন এবং দ’মন-পীড়নে বাংলার মানুষ যখন দিশেহারা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ছয় দফা তখন বাঙালির মুক্তির দিশারি হিসেবে আবির্ভূত হয়। ছয়-দফা হয়ে ওঠে বাঙালির প্রা’ণের দাবি। ছয় দফার পক্ষে প্রবল জনমতের জোয়ার দেখে আ’তঙ্কিত সা’মরিক জান্তা আইয়ুব খান বঙ্গবন্ধুর বি’রুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মা’মলা দা’য়ের করে, যা আগরতলা ষ’ড়যন্ত্র মা’মলা নামে সমধিক পরিচিত। বৈষম্য ও নি’পীড়নের বি’রুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঘোষিত ছয়-দফা আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালি জাতির স্বাধীনতা আন্দোলন নতুন মাত্রা পায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব পরিণত হন নিপীড়িত ও নি’র্যাতিত বাঙালির মুক্তির মূর্ত প্রতীকে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কা’রাগারে আ’টক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মুক্তির দাবিতে গর্জে উঠে সারা বাংলার মানুষ। ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনের রাস্তায় ছাত্র-জনতার চলমান মিছিলে পুলিশ গু’লি চা’লায়। এতে আসাদুজ্জামান শহীদ হন এবং অনেকে আ’হত হন। শহীদ আসাদের এই আত্মত্যাগ চলমান আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করে। স্বাধিকারের দাবিতে সোচ্চার সব শ্রেণি- পেশার মানুষ জে’ল-জু’লুম উপেক্ষা করে রাজপথে নেমে আসে। পর্যায়ক্রমে আন্দোলন তীব্রতর আকার ধারণ করে। সেদিনের সেই আন্দোলন পরবর্তী গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। পাকিস্তানি স্বৈরস’রকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বি’রুদ্ধে দা’য়ের করা আগরতলা ষ’ড়যন্ত্র মা’মলা প্রত্যাহারে বা’ধ্য হয়। এরই ধারাবাহিকতায় পতন হয় স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের।