কে খু’নি, চিৎকার করে কাঁ’দলেন মালেক আফসারী (ভিডিও)

| আপডেট :  ১৯ জানুয়ারি ২০২২, ০৭:০৫ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৯ জানুয়ারি ২০২২, ০৭:০৫ অপরাহ্ণ

দেশীয় ছবির অন্যতম সফল পরিচালক মালেক আফসারী। বিভিন্ন সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় নানান বি’ষয়ে আলোচনা, তীব্র সমালোচনা ও ক্ষো’ভ প্রকাশ করে ভিডিওবার্তা দেন তিনি। অভিনেত্রী শিমু হ’’ত্যার খবর শুনে ব্যথিত এই নির্মাতা। নিজের ফেসবুক পেজে শিমু হ’’ত্যার বিচার চেয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন তিনি। সেখানে শিমুর হ’’ত্যাকারীর শা’স্তির দাবির পাশাপাশি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি, বিশেষ করে জায়েদ খানের প্রসঙ্গে নানা কথা বলেছেন। মালেক আফসারীর সেই কথাগুলো হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘মনটা ভালো নাই। চিত্রনায়িকা শিমু, প্রায় ২০-২২টা সিনেমায় অভিনয় করেছে। এই শিল্পীটা প্রতিবা’দী কণ্ঠ ছিল। প্রতিবা’দী হওয়ার কারণ, শিল্পী সমিতির সদস্য পদ হা’রানো ১৮৪ জনের মধ্যে একজন সে। ২০-২২টা সিনেমা করার পর বাদ পড়লে প্রতিবা’দী তো হবেই। তার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল ছিল, সেখান থেকেও প্র’তিবাদ করতো। আসলে পা’গল কিন্তু আমরা সবাই হয়ে যাচ্ছি সিনেমা জগতের।

২০১৭ সালের কথা। সে সময় ১৭টা সমিতি মিলে একটা আন্দোলন করে। সেই আন্দোলনে মিশা-জায়েদের পদত্যাগ চায়। কিন্তু সেই আন্দোলনের কোনো সুফল আসেনি। তারপর আস্তে আস্তে সেই আন্দোলন নিস্তেজ হয়ে যায়। যেভাবে এখন নীরব, নিস্তেজ হয়ে গেল আমাদের শিমু।

আমার মনে আছে, শিমু একটা জায়গায় বলেছিল- আমি একজন শিল্পী। শিল্পী হয়েই মরতে চাই। সে (শিমু) চাচ্ছিল, তার সেই আইডেন্টি ছি’নিয়ে নেওয়া হবে কেন? আমার মনে হয়, সিনেমাকে যারা ফলো করেন তারা সিনেমার সব খবর জানতে পারছেন। কালকে রাতে যখন শিমু হ’’ত্যার খবর পাই, তখন আর ঘুমাতে পারি নাই। আমরা না জেনে, না বুঝে কারও ও’পর আঙুল তুলতে পারি না। এটা উচিত হবে না। এটা আইনের ব্যপার।

আমার সাথে হয়তো কারও ঝ’গড়া হয়েছে, আমি তাকে বলছি দেখে নেব। এখন তারপর দিন যদি সে খু’ন হয়ে যায়, সেই খু’ন আমি করছি কি না সেটা পুলিশ বের করবে। আমাদের বলা উচিত হবে না।

শিমুর এই যাওয়াটা কেউ মেনে নিতে পারছে না। একটু আগে এফডিসি থেকে একটা ফোন পেলাম। ওখানে একটা হাহাকার, কা’ন্নাকাটি চলছে। স্বজন হা’রানোর কা’ন্না। এভাবে কারও মৃ’ত্যু কেউ মেনে নিতে পারে? স্বাভাবিক মৃ’ত্যু তো সবাই মেনে নেয়, কিন্তু কাউকে জ’বাই করে দেবে, টুকরো করে ফেলবে, বস্তায় ভরে ফে’লে দেবে- এটা তো মানা যায় না।

প্রশাসনের কাছে আমার দাবি- আপনারা বের করুণ কে খু’নি, কে এই অ’পকর্ম করল। খুঁজে বের করুন প্লিজ। আমার বিশ্বাস ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বেরিয়ে যাবে। কারণ এর পেছনে র‍্যা’ব আছে, পুলিশ আছে। সবাই ত’দন্ত করছে। আমরা চাই, সত্যিকারের অ’পরাধী সামনে আসুক। কিন্তু না জেনে, না বুঝে কেউ কারও দিকে আঙুল তুলবেন না। এতে সম্পর্কের আরও অ’বনতি হবে।

একটা জায়গায় শিমু বলতেছিল- জায়েদ খানের যেকোনো পোস্টের কমেন্টে গিয়ে দেখেন তাকে মানুষ ভালোবাসে না। কথা কিন্তু সত্যি। কমেন্ট বক্সে গেলে বুঝা যায়, এই মানুষটার প্রতি কারও ভালোবাসা নাই। মানুষের ভালোবাসা থাকুক না থাকুক সে যদি কেয়ার না করে তাহলে আমাদের তো কিছু করার নাই।

আমার কথা হলো- ১৭টা সংগঠন যখন আজ থেকে দুই বছর আগে একটা আন্দোলন করল, তখনই তার (জায়েদ খান) বুঝে নেওয়া উচিত ছিল আমার ভাই ব্রা-দারের সাথে বি’বাদ করে কেন আমি এই চেয়ারটা দ’খল করে থাকবো। এই যে সামনে নির্বাচন, এই নির্বাচনে যদি কাঞ্চন সাহেবকে সসম্মানে চেয়ারটা ছেড়ে দিতো তাহলে আমার মনে হয় তার সম্মানটা আরও বেড়ে যেত। আমি তার জায়গায় হলে ছেড়ে দিতাম।

ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন