প্রত্যেক মাদ্রাসায় ছাত্রলীগের কমিটি করার আহ্বান নিক্সন চৌধুরীর

| আপডেট :  ১২ ডিসেম্বর ২০২০, ০১:৩৯ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১২ ডিসেম্বর ২০২০, ০১:৩৯ অপরাহ্ণ

মাদ্রাসার অর্থ কোথা থেকে আসে তা বের করতে দেশের প্রত্যেকটি মাদ্রাসায় ছাত্রলীগের কমিটি করতে স’রকারকে অনুরোধ জানিয়েছেন ফরিদপুর-৪ আসনের সং’সদ সদস্য এবং আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন চৌধুরী)। আজ শনিবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর শাহবাগে গৌরব একাত্তর নামের একটি সংগঠনের উদ্যোগে ‘মৌলবাদের বি’রুদ্ধে প্র’তিবাদ-প্রতিরোধে জাগরণ’ ব্যানারে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ আহ্বান জানান।

নিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘স’রকারকে অনুরোধ করবো, যেন প্রত্যেক ইউনিয়ন, ওয়ার্ড, থানা ও জে’লা পর্যায়ে যেসব মাদ্রাসা রয়েছে, প্রত্যেকটিতে যেন ছাত্রলীগের কমিটি করে দেন এবং মাদ্রাসার গভর্নিং বডিতে নির্বাচিত সদস্যদের দিয়ে দেন। মমিনুল হকদের মতো জ’ঙ্গিদের কাছে পাকিস্তানি অর্থ কোথা থেকে আসে? সেটা বের করেন? আমরা বারবার আন্দোলনে যাই, আবার থেমে যাই। এবার আমাদের শপথ নিতে হবে যে, চিরতরে এই জ’ঙ্গিবাদকে নির্মূল করবো।’

শাহবাগে একটি মঞ্চ তৈরি করে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার প্র’তিবাদে কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হওয়ার সময় মঞ্চের চারদিকে পুলিশ বাহিনী নিরাপত্তা দিয়ে ঘিরে রাখে। এ সময় মঞ্চের পাশে পুলিশি নিরাপত্তা থাকায় তিনি (নিক্সন) লজ্জা প্রকাশ করে বলেন, ‘আজ আমি এ মঞ্চে এসে লজ্জিত! পুলিশ বাহিনী দিয়ে আমাদের ঘিরে রাখা হয়েছে। কোনও প্রশাসন দরকার নেই। প্রশাসন দিয়ে আমাদের পাহারা দিতে হবে না। যদি পাহারা দিতে হয়, ওই জ’ঙ্গি মমিনুল হকদের পাহারা দেন। আমরা মুক্তিযু’দ্ধের প্রজন্ম, আমরা প্রস্তুত হচ্ছি এ মৌলবা’দীদের বিপক্ষে আরেকটি যু’দ্ধের জন্য।’

তিনি বলেন, ‘১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুই প্রথম মু’সলিম ভাইদের স’রকারিভাবে হজে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। আজ আমার নেত্রী শেখ হাসিনা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। সেই হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনে আমরা ছোট ছোট বাচ্চাদের দেখতে পেয়েছিলাম, যাদের বাবা-মা সুন্দর জীবনের জন্য মাদ্রাসায় ভর্তি করেন, যাতে তারা ইসলাম সম্পর্কে বেশি জানতে পারে। কিন্তু এই রাজাকার, যু’দ্ধাপরাধী মমিনুল হকরা তাদের ব্যবহার করে, ধর্মকে অ’পব্যবহারে করছে।’

যুবলীগের এই নেতা আরও বলেন, ‘জন্মের পর থেকে আমরা ভাস্কর্য দেখে আসছি। আমার প্রশ্ন একটাই। সেটা হলো এত বছর পর যখন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য তৈরি করতে স’রকার উদ্যোগ নিয়েছে, তখনি এই মৌলবা’দী যারা এক সময় জামায়াত নামে পরিচিত ছিল, এখন জামায়াত ভে’ঙে হেফাজত হয়ে গেছে, তারা আজ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের প্র’তিবাদ করছে। এতদিন ধরে জিয়াউর রহমান সাহেবের ভাস্কর্য নিয়ে কেউ কথা বলেনি। জিয়াউর রহমানের ভাস্কর্য চট্টগ্রামে আছে, সেটি নিয়ে কেউ কথা বলেনি। এখন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের বি’রোধিতা করার এই দুঃসাহস মমিনুল হকরা কোথায় পায়? এটি ষ’ড়যন্ত্র।

এই ষ’ড়যন্ত্রের সঙ্গে পাকিস্তানের যে পরাজিত শক্তি তারা আছে। আমরা সহজ কথায় বলতে পারি, মৌলবা’দী শক্তির বি’রুদ্ধে আমরা মাঠে নেমেছি। আমরা এ তরুণ প্রজন্ম যারা স্বাধীনতার যু’দ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারিনি, কিন্তু আমাদের বাবারা সৌভাগ্যমান, তারা স্বাধীনতার যু’দ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এই প্রজন্মেরও সময় আসছে আরেকটা যু’দ্ধে নামার। ৯ মাস না, ছয় মাসের মধ্যে এই মৌলবা’দীদের পরাজিত করে তাদের পাকিস্তানে পাঠাতে হবে।‘

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন সং’সদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, আওয়ামী যুবলীগের নির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক, সাবেক আইজিপি শহীদুল হক, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি কোহেলী কুদ্দুস মুক্তিসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বীর মুক্তিযেদ্ধাগণ, বিশিষ্ট রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গৌরব-৭১ এর সভাপতি এস এম মনিরুল ইসলাম মনি এবং সভা সঞ্চালনা করে সংগঠনের সভাপতি এফ এম শাহীন।

সূত্রঃ বাংলা ট্রিবিউন