বিয়ের তিনদিন পর নববধূকে রেখে নি’খোঁজ স্বামী

| আপডেট :  ১৬ জানুয়ারি ২০২২, ০১:৩৩ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৬ জানুয়ারি ২০২২, ০১:৩৩ অপরাহ্ণ

বিয়ের তিনদিন পর নববধূকে রেখে নি’খোঁজ হওয়া রুবেল মিয়ার (২৩) ম’রদেহ ১০ দিন পর উ’দ্ধার করেছে পুলিশ। ঢাকার একটি নবনির্মিত ১০ তলা ভবন থেকে ম’রদেহ উ’দ্ধার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। পরে পুলিশ বা’দী হয়ে একটি হ’’ত্যা মা’মলা দা’য়ের করেন।

নি’হত রুবেল লালমনিরহাট সদর উপজে’লার রাজপুর ইউনিয়নের খলাইঘাট গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে।গতকাল শনিবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে নিজ এলাকা লালমনিরহাট সদর উপজে’লার রাজপুর ইউনিয়নের একটি কবরস্থানে নি’হত রুবেল মিয়ার ম’রদেহ জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়।

নি’হতের পরিবার আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, চলতি মাসের ২ জানুয়ারি একই এলাকার আপিয়ার রহমানের মেয়ে সার্জিয়া খাতুনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে রুবেল মিয়ার বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের তিনদিন পর সকাল ১০টার দিকে হঠাৎ করে নি’খোঁজ হয় রুবেল। এরপরই তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে ওইদিনই রুবেল মিয়ার বাবা নুরুল আমিন লালমনিরহাট সদর থানায় ছেলে নি’খোঁজের একটি সাধারণ ডায়েরি (জি’ডি) করেন।

এদিকে স্থানীয় মাহফুজার রহমান নামে এক যুবক তার ফেসবুক আইডিতে রুবেল মিয়ার ছবিসহ নি’খোঁজের একটি স্ট্যাটাস দেন। অ’জ্ঞাত লা’শের পরিচয় পেতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃপক্ষ লালমনিরহাটের সেই যুবকের দেওয়া স্ট্যাটাসে উল্লিখিত মোবাইল নম্বরে ফোন দিয়ে নি’খোঁজ ব্যক্তির খোঁজখবর নেন এবং ম’রদেহের পরিচয় শনাক্ত করেন। লা’শের পরিচয় শনাক্ত হওয়ার পর শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ম’য়নাত’দন্ত শেষে নি’হত রুবেলের পরিবারের নিকট লা’শ হস্তান্তর করে পুলিশ।

রুবেল মিয়ার নববধূ সার্জিয়া খাতুন জানায়, বিয়ের তিনদিন পর অর্থাৎ ৫ জানুয়ারি আমার বাবার বাড়ি যাওয়ার কথা। তাই তার স্বামী তাকে বলেন আজ তো তোমাদের বাড়ি যেতে হবে তুমি সব গুছিয়ে নাও আমি বাজার থেকে দাড়ি কে’টে আসি। দুপুরের পর আমরা রওয়ানা দিব। এই কথা বলে সে বাহিরে যায় আর ফেরত আসেনি। আজ ১০ দিন পর তার লা’শ পেলাম।

নি’হত রুবেলের বাবা আরটিভি নিউজকে জানায়, রুবেল আমার একমাত্র ছেলে। তাই খুব ধুমধাম করে ছেলের বিয়ে দিয়েছি। এই বিয়ের কারণেই তার ছেলেকে অ’পহরণ করে ঢাকায় নিয়ে হ’’ত্যা করা হয়েছে। তিনি তার ছেলের বউ সার্জিয়া খাতুনের অন্য কোথাও সম্পর্ক থাকতে

পারে এবং সেই ব্যক্তিই এই হ’’ত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে দাবি করে পুলিশ প্রশাসনের নিকট তার ছেলে রুবেল হ’’ত্যার বিচার দাবি করেন।রাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন মোফা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, বিয়ে সম্পর্কিত ঘটনার কারণেই হয়তো এই হ’’ত্যাকাণ্ড হতে পারে।