ভোট চুরি করলে জনগণ তাদের ছেড়ে দেয় না: প্রধানমন্ত্রী

| আপডেট :  ১২ জানুয়ারি ২০২২, ০৯:৪০ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১২ জানুয়ারি ২০২২, ০৯:৪০ পূর্বাহ্ণ

ভোট চু’রি করলে জনগণ তাদের ছেড়ে দেয় না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে অতীতে যারা ছিনিমিনি খেলেছে, তারা তাদের শা’স্তি পেয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ তাদের ক্ষমতা থেকে হটিয়েছে।’ বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের এই আলোচনা সভায় শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত থেকে সভাপতিত্ব করেন।

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন মহলের বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে স’রকারপ্রধান শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে যারা নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, তাদের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ও খালেদা জিয়ার পদত্যাগের কথা স্মরণ করাতে চাই।’ ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন যারা করে তাদের আমরা জিজ্ঞাসা করি, ১৯৯৬ সালে খালেদা জিয়া কেমন ইলেকশন করেছিল? আজকে যারা নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, তারা ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ভু’লে যান কী করে? কয় পার্সেন্ট ভোট পড়েছিল? চার শতাংশ ভোটও পড়েনি। সব জায়গায় সে’নাবা’হিনী মোতায়েন করে ভোটের বাক্স সিল দিয়ে ভরে খালেদা জিয়া নাকি তৃতীয়বারের প্রধানমন্ত্রী। জনগণের ভোট চু’রি করেছিল বলে কী হয়েছিল তার পরিণতি! তাদের তৃতীয়বারের প্রধানমন্ত্রী তো তিন মাসও ক্ষমতায় থাকতে পারেননি। গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল। পদত্যাগে বা’ধ্য হয় গণআন্দোলনে। ভোট চু’রির অ’পরাধে নাকে খত দিয়ে তাকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল। রাষ্ট্রপতি ভবনে পদত্যাগ করতে যাওয়ার সময় আমাদের পারমিশন নিয়ে যেতে হয়েছিল। জনগণের পারমিশন নিয়ে তাকে যেতে হয়েছিল। ভোট চু’রি করলে জনগণ ছেড়ে দেয় না। এটা বাস্তবতা।’

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুকে হ’’ত্যার পর থেকে শুরু করে বিগত সময়কালে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘জাতির পিতাকে হ’’ত্যার পর হ’’ত্যা, ক্যু ষ’ড়যন্ত্রের মাধ্যমে যারা ক্ষমতায় এসেছিল, তারা দেশকে কী দিয়েছে? অনেকেই গালভরা বুলি দিয়েছে, তারা গণতন্ত্র দিয়েছে। কী গণতন্ত্র? আজকে নির্বাচন নিয়ে যারা কথা বলেন, প্রশ্ন তোলেন, তাদের কাছে আমার প্রশ্ন— পঁচাত্তরের পর সংবিধান ল’ঙ্ঘন করে মার্শাল ল জারি করে, ক্ষমতা দ’খল করা হয়েছিল। একটা নয়, বারবার ক্যু হয়েছে সে’নাবা’হিনীতে। ১৯ বার ক্যু হয়েছে। তার ফলটা হচ্ছে ‍মুক্তিযো’দ্ধাদের হ’’ত্যা করা হয়েছে। সে’নাবা’হিনীতে হ’’ত্যা করা হয়েছে। সৈনিকদের হ’’ত্যা করেছে। রাজনৈতিক নেতাদের হ’’ত্যা করা হয়েছে। গু’ম করা হয়েছে। এরপর রাজনীতি করার শখ। সেই রাজনীতির খায়েশ মেটাবার জন্য মিলিটারি ডিকটেটররা প্রথমে হ্যাঁ না ভোট। ৭৭ সালে জিয়াউর রহমানের ‘হ্যাঁ’ ‘না’ ভোটে কি ‘না’ পড়ার সুযোগ ছিল? সবই তো ‘হ্যাঁ’-ই পড়েছে। একজন সে’নাপ্রধান সে’নাবা’হিনীর রুলস ভঙ্গ করে ক্ষমতায় বসে উর্দি পরে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করেছে। অ’বৈধভাবে ক্ষমতা দ’খলকারী স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি। সে নির্বাচনে জনগণ কি ভোট দিতে পেরেছিল? সেখানে ভোট ছিল কোথায়? তারপর ক্ষমতায় বসে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে দল গঠন করা হলো। সেই দলেরই নাম হচ্ছে বিএনপি।’

১৯৭৯ সালের সং’সদ নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘ওই নির্বাচনটি তো জনগণের ভোটে হয়নি। অ’বৈধভাবে ক্ষমতা দ’খল করে সেই অ’বৈধ ক্ষমতাকে বৈধ করতে দুই-তৃতীয়াংশ মেজরিটি পেতে জনগণের ভোট ও ভোটের অধিকার নিয়ে খেলা করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন এই খেলা চলছিল। এরপর ’৮১ ও ’৮৬ সালের নির্বাচন। ৪৮ ঘণ্টা ফলাফল বন্ধ রেখে ফল পাল্টে দেওয়া হলো। ’৯১ সালের নির্বাচনে কোনও দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলো না। তখনকার রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন সাহেব আমাকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। জামায়াত আর জাতীয় পার্টিকে নিয়ে আমরা স’রকার গঠন করতে পারি। আমরা মেজরিটি পাইনি বলে সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি। বললাম, এই দুর্বল অবস্থা নিয়ে আমরা স’রকার গঠন করতে পারি না। কারণ, আমার ক্ষমতার প্রয়োজন দেশের উন্নয়ন করা। ওই সময় জামায়াতের সমর্থন নিয়ে বিএনপি স’রকার গঠন করে।’

গ্যাস বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায় ২০০১ সালে ষ’ড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হয়নি দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০১ সালের নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছিল, ভোটের পারসেন্টে আওয়ামী লীগ অনেক বেশি ভোট পেয়েছিল। কিন্তু সেদিন সেখানে বড় চ’ক্রান্ত হয়েছিল। সেই চ’ক্রান্তের ফলে আমাদের সিট পেতে দেওয়া হয়নি। পরবর্তী সময়ে আমরা যেসব তথ্য সংগ্রহ করেছি, তাতে একেবারে চিহ্নিত করা ছিল কোন কোন সিট আমরা পাবো। কোন কোন সিট আমাদের দেওয়া হবে, আর কোনটা দেওয়া হবে না। এর কারণ ছিল গ্যাস বিক্রি করতে রাজি না হওয়া। দেশের সম্পদ জনগণের কাজে না লাগিয়ে অন্যের কাছে বিক্রি করবো, এটা আমার নীতির বি’রুদ্ধে। এই শিক্ষা আমার বাবা আমাকে দেননি। মা’র্কিন রাষ্ট্রপতি বিল ক্লিনটন এলেন একই প্রস্তাব নিয়ে। তাকে আমি একই উত্তর দেই। আমাদের দাওয়াত দিয়ে আমেরিকায় একই প্রস্তাব দিলেও আমার উত্তর ছিল একই। হ্যাঁ, আমি ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় আসতে পারিনি, কিন্তু ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে জো’র করে হা’রানোর জন্য যেসব ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছিল, সেটা কি কারও মনে আছে? আমাদের দেশের মানুষ যারা নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, তারা ভু’লে যান কেন? আমার নির্বাচনি এলাকা বরগুনার ইউপি চেয়ারম্যানকে সে’নাবা’হিনীর জিপে বেঁ’ধে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ঘোরানো হয়। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী সারা দেশে কেউ ঘরে থাকতে পারেনি। পি’টিয়ে ঘরছাড়া করা হয়। তাদের ও’পর অকথ্য অ’ত্যাচার করা হয়। আওয়ামী লীগের ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে দেওয়া হয়নি। এভাবে নি’র্যাতন করা হয়েছিল। আর ওই নির্বাচনের দিন থেকেই আওয়ামী লীগের ও’পর অ’ত্যাচার নি’র্যাতন করা হয়। হা’তুড়ি দিয়ে পি’টিয়ে পি’টিয়ে হাত ভে’ঙে দেওয়া হয়। চোখ তুলে নেওয়া হয়। ঘরবাড়ি দ’খল করে সেখানে পুকুর কা’টা হয়। বিএনপি পুরো ক্ষমতায় থাকাকালে এটা করেছে।’

বিএনপি দু’র্নীতিতে দেশকে চ্যাম্পিয়ান করেছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা আজকে দু’র্নীতি খোঁজেন, তাদের বলবো—২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত যে দু’র্নীতি হয়েছে, যারা ঋ’ণখেলাপির কথা বলেন, তাদের বলবো— জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় থাকতে এলিট শ্রেণি তৈরি করার জন্য যে ঋ’ণখেলাপির কালচারটা দেশে শুরু করেছে, সেই খবরটা আগে নিন।’

আওয়ামী লীগ ভালো কাজ করলেই তার বি’রুদ্ধে লেগে থাকা, এটা একশ্রেণির মানুষের অভ্যাস অ’ভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা দেশের স্বাধীনতা চায়নি, যারা খু’নি ও স’ন্ত্রাসীদের নিয়ে স’রকার গঠন করে, রাষ্ট্র পরিচালনা করে, বাংলাদেশ ও দেশের উন্নয়নকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বং’স করতে চেয়েছিল, তাদের কিছু প্রেতাত্মা এখনও সমাজে আছে। রাজনৈতিক অঙ্গনে আছে। তারাই এগুলো করে বেড়াচ্ছে। শুধু এখানে নয়, বিদেশের কাছে নালিশ করে বেড়াচ্ছে। তাদের কাছে তথ্য দিচ্ছে। যেসব যু’দ্ধাপরাধীর বিচার ও সাজা হয়েছে, তাদের ছেলেপেলে এবং যারা পা’লিয়ে গেছে তারা। আর সেই সঙ্গে এতিমের অর্থ আ’ত্মসাৎ করে জে’লে, দয়া করে আমরা তাকে বাসায় থাকতে দিয়েছি। বাংলাদেশের সব থেকে বড় ও ব্যয়বহুল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। আর তার ছেলে একজন ১০ ট্রাক অ’স্ত্র মা’মলা ও দু’র্নীতির মা’মলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বিদেশে পা’লিয়ে ফিউজিটিভ হয়ে গেছে। কিন্তু ষ’ড়যন্ত্র বাংলাদেশের বি’রুদ্ধে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নে কোথায় কম আছে? যারা শুধু এ দেশের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, আর উন্নয়নে নাকি হাজার হাজার কোটি টাকা ধ্বং’স হয়েছে? যদি ধ্বং’সই হয়ে থাকে, তাহলে আজকে সারা বাংলাদেশের মানুষ শতভাগ বিদ্যুৎ পাচ্ছে। ব্যাপকভাবে রাস্তাঘাট, স্কুল কলেজ, মেডিক্যাল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়, টেকনিক্যাল কলেজ, ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার—প্রণোদনা দিয়ে অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছি। মাথাপিছু আয় বৃ’দ্ধি করেছি। ক’রোনাভা’ইরাসে অনেক উন্নত ও অর্থশালী দেশ বিনা পয়সায় টিকা দেয় না ও পরীক্ষা করে না। আমরা সেটা বিনা পয়সায় করছি। যদি অর্থ ব্যয় না হয় তাহলে এত কাজ হয় কীভাবে? এগুলো যারা দেখে না তাদের চোখে হচ্ছে সেই ঠুলি পরা। খু’নিদের ঠুলি-যু’দ্ধাপরাধীদের ঠুলি। এরা দেশের উন্নয়ন দেখে না। লু’টে খেতে পারছে না, সেটাই তাদের বড় কথা। তারা গরিবের হাড্ডিসার, কঙ্কালসার দেখিয়ে দেখিয়ে বিদেশ থেকে অর্থ এনে খাবে, আর লু’টপাট করে খাবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক মহল বলে— উন্নয়নের রোল মডেল, আর আমাদের দেশের কিছু লোক আছে, তারা তো ঘেউ ঘেউ করেই যাচ্ছে। এই ঘেউ ঘেউ করতে থাকুক। এতে আমাদের কিছু এসে যায় না। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করেছি। সেই ডিজিটাল বাংলাদেশ ব্যবহার করে আমাদের বি’রুদ্ধে বদনাম করে বেড়াচ্ছে দেশে বিদেশে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়নটা যারা সহ্য করতে পারে না, তাদের ‍মুখে কিছুই হলো না, কিছুই হলো না কথা। তাদের বলবো—নিজেরা আয়নায় চেহারা দেখেন। অতীতে কী করেছেন সেটা দেখেন। ‍দু’র্নীতি সাজাপ্রাপ্ত আর খু’নির জন্য যে মায়াকা’ন্না, একুশে আগস্ট গ্রে’নেড হা’মলা করে যারা আমাকে হ’’ত্যা করতে চেয়েছিল, আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল, আইভী রহমানের হ’’ত্যাকারী—সেই হ’’ত্যাকারীরা আজকে সব থেকে বেশি সোচ্চার।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের আমি এইটুকু বলবো, অনেক ঘাত-প্রতিঘাত সয়ে আমরা এই সংগঠনকে আবার সুসংগঠিত করেছি। আওয়ামী লীগ থাকলে এই দেশ অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি করে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের মানুষ মর্যাদা পায়। আজকে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের মানুষ মর্যাদা নিয়ে চলে। মাথা উঁচু করে চলে। আজকে আর বিদেশে গেলে শুনতে হয় না, ও বাংলাদেশ কোথায় যেন? আচ্ছা, বাংলাদেশের মানুষ, ঝড়, বৃষ্টি, দুর্ভিক্ষ লেগেই থাকে। সে কথা আর শুনতে হয় না। এটা জিয়ার আমলে শুনতে হয়েছে, খালেদা জিয়ার আমলে শুনতে হয়েছে, এরশাদের আমলে শুনতে হয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ পর পর তিনবার স’রকারে আসতে পেরেছে, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে। জনগণের ভোটে যদি নির্বাচিত না হতাম, তাহলে এই তিন-তিনবার আমরা স’রকারে আসতে পারতাম না। আর আজকে ১৩ বছর পূরণ করতে পারতাম না। এটা হলো বাস্তবতা। এই বাস্তবতা স্বীকার করতে হবে। আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে এই দেশের উন্নয়নের চাকা’টা গতিশীল থাকবে। যে উন্নয়নটা আমরা করেছি, তার গতিধারা আমাদের অব্যাহত রাখতে হবে।’

স’রকার প্রধান বলেন, ‘যারা এই দেশকে খু’নির রাজত্ব করেছিল, যু’দ্ধাপরাধীদের রাজত্ব করেছিল, দু’র্নীতির রাজত্ব করেছিল, তাদের স্থান বাংলার মাটিতে হবে না। এই কথাটা স্পষ্ট জানাতে হবে এদের। পাশাপাশি জনগণের অধিকার নিয়ে আমরা কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেবো না। জাতির পিতার ১০ জানুয়ারি যখন ফিরে আসে—একটা স্বাধীন রাষ্ট্র পরিচালনার সেই নীতিনির্ধারণী বক্তৃতা তিনি দিয়েছিলেন। দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন—যে আদর্শ নিয়ে বাংলাদেশ চলবে, সেই আদর্শ তিনি ব্যক্ত করেছিলেন। আর সেই আদর্শ নিয়েই আমাদের চলতে হবে। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশের উন্নয়নের এই অগ্রযাত্রা যেন কোনও মতে ব্যাহত না হয়। আমাদের প্রতিজ্ঞা হবে—জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ ইনশাআল্লাহ আমরা গড়ে তুলবো।’