ইংরেজিতে এম এ পাশ চোর ধরে অবাক পুলিশই!

| আপডেট :  ১১ জানুয়ারি ২০২২, ১২:০০ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১১ জানুয়ারি ২০২২, ১২:০০ অপরাহ্ণ

বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীর বাড়িতে চু’রি হয়েছিল৷ চু’রির ত’দন্তে নেমে চোরকে গ্রে’ফতারও করে পুলিশ (Crime news in Bengali)৷ এ পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল৷ পুলিশ অফিসাররাও ভেবেছিলেন, আর পাঁচটি চু’রির ঘটনার মতোই চোরকে কোর্টে চালান করবেন৷ কিন্তু চোরকে জেরা করতে গিয়েই রীতিমতো চক্ষুচড়কগাছ পুলিশ অফিসারদের (MA Pass Thief Arrested in Ghatal)।কারণ কথায় কথায় পুলিশকর্মীরা জানতে পারলেন, চু’রির অ’ভিযোগে ধৃত যুবক ইংরেজিতে এমএ পাশ!

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত চোরের নাম সৌমাল্য চৌধুরী ৷ সে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে এম এ পাশ, সেই সঙ্গে ওই যুবক নাকি আবার খড়গপুরে দক্ষিণ পূর্ব রেলে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে চাকরিও করে। তাঁর বাবা পূর্ত দফতরের একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মী৷

জেরায় সৌমাল্য জানিয়েছে, আগে তারা থাকত আসানসোলে। সেখান থেকেই তার বাবা বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করে রেলের অস্থায়ী কর্মী হিসেবে তার কাজের জোগাড় করে দেন, কিন্তু সেই কাজ নাকি তার ভাল লাগছিল না। আসানসোলে থাকতে থাকতে স্থানীয় কয়েকজন দু’ষ্কৃতীর সঙ্গে মিশে চু’রিতে হাত পাকায় সৌমাল্য৷ চু’রি বিদ্যায় নিজের দক্ষ’তার কথা বোঝাতে গিয়ে সৌমাল্য নিজেই পুলিশকর্মীদের জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত সে ১৭০টি চু’রি করেছে।

এমন কি, কয়েক মাস আগে হাওড়া আন্দুলের একটি ফ্ল্যাট থেকে ১০ লক্ষ টাকা সোনার গয়না চু’রি করায় সৌমাল্যকে পাঁশকুড়া থেকে গ্রে’ফতার করে সাঁকরাইল থানার পুলিশ।পুলিশ সূত্রে খবর, মা’নসিক স’মস্যা থেকেই সম্ভবত চু’রির দিকে ঝুঁকে পড়েছে সৌমাল্য।এ দিন ঘাটাল আ’দালতে তোলা হলে সৌমাল্যকে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। ঘাটাল থানার পুলিশ জেরা করে জানতে চাইছে, এই ঘটনায় আরও কে কে জড়িত আছে।

উল্লেখ্য, দিনেদুপুরে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীর ভাড়া বাড়ির একাধিক তালা ভে’ঙে লক্ষাধিক টাকার সোনার গয়না চু’রি হয়েছিল। চু’রির অ’ভিযোগ দায়ের করা হয় ঘাটাল থানায়৷ সিসিটিভি ক্যামেরার ছবি দেখে চু’রির ত’দন্ত শুরু করে ঘাটাল থানার পুলিশ।

ঘাটাল পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে কোন্নগরে এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন ঘাটাল বিদ্যুৎ দফতরের কর্মী মহাশ্বেতা দে। ঘাটাল থানায় লিখিত অ’ভিযোগ করেন মহাশ্বেতা দেবী। মহিলার অ’ভিযোগ পেয়ে ঘাটাল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অগ্নিশ্বর চৌধুরী ও ঘাটাল থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার দেবাংশু ভৌমিক পৌঁছে যান মহিলার বাড়িতে। ওই বাড়ির সামনে থাকা সসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পুলিশ ত’দন্ত শুরু করে। রবিবার পূর্ব মেদিনীপুর মেচগ্রাম থেকে গ্রে’ফতার করা হয় সৌমাল্যকে।