বিশ বছর ধরে বয়ে বেড়ানো নারীর পেট থেকে বের করা হল কাঁচি

| আপডেট :  ১০ জানুয়ারি ২০২২, ০৪:৩৩ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১০ জানুয়ারি ২০২২, ০৪:৩৩ অপরাহ্ণ

২০ বছর ধরে পেটে কাঁচি বয়ে বেড়ানো সেই বাচেনা খাতুনের অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার দুপুরে তার অ’স্ত্রোপচারের তার পেট থেকে ওই কাঁচিটি বের করা হয়। বেলা ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত আড়াই ঘণ্টা ধরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে তার এ অপারেশন সম্পন্ন করা হয়।

এর আগে গত ৫ জানুয়ারি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি হন বাচেনা খাতুন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকায় এতদনি চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে ছিলেন তিনি। এরপর সোমবার তার শরীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

অ’স্ত্রোপচারের পর চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সার্জারী কনসালটেন্ট ডা. ওয়ালিউর রহমান নয়ন বলেন, রো’গীটির শা’রীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর অপারেশন করা হয়েছে। পেট থেকে বের করা হয়েছে সেই কাঁচিটি। বর্তমানে রো’গী সুস্থ্য আছে। তিনি সদর হাসপাতালেই ভর্তি রয়েছে।

এদিকে, ডাক্তারের ভু’লের খেসারত দেয়া বাচেনা খাতুনের ক্ষ’তিপূরণসহ অ’ভিযুক্তদের শা’স্তির দাবী জানিয়েছেন স্বজনরা। উল্লেখ্য, পিত্তথলিতে পাথর অপারেশনের জন্য মেহেরপুরের গাংনীর রাজা ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছিল চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজে’লার চিৎলা ইউনিয়নের হাপানিয়া গ্রামের বাচেনা খাতুন।

২০০২ সালের ২৫ মার্চ ওই ক্লিনিকে তার অপারেশেন করে ক্লিনিক মালিক ডা. পারভিয়াস হোসেন রাজা। সেসময় পেটের মধ্যে একটি ৯ ইি র কাঁচি রেখেই সম্পন্ন করা হয় অপারেশন। এরপর কে’টে গেছে ২০টি বছর। ২০ বছর ধরেই ডাক্তারের ভু’লের খেসারত দিচ্ছে বাচেনা খাতুন।