প্রার্থীতা বাতিলের ভয় দেখিয়ে টাকা নেন রিটার্নিং কর্মকর্তা!

| আপডেট :  ১০ জানুয়ারি ২০২২, ১২:৫৯ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১০ জানুয়ারি ২০২২, ১২:৫৯ পূর্বাহ্ণ

কুমিল্লার মুরাদনগরে প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অ’ভিযোগ উঠেছে উপজে’লার তিন ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং কর্মকর্তা বিল্লাল মেহেদীর বি’রুদ্ধে। এ বি’ষয়ে গত ৩ দিনেও ওই কর্মকর্তার বি’রুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা বিল্লাল মেহেদী গত বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) উপজে’লা পরিষদ মিলনায়তন ত্যাগ করে ব্যক্তিগত রুমে গিয়ে প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা গ্রহণ করছেন এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও চিত্র এসেছে গণমাধ্যম কর্মীদের হাতে। ভিডিওতে দেখা গেছে, যাচাই-বাছাইয়ের সময় প্রার্থীতা বাতিলের ভ’য় দেখিয়ে ওই কর্মকর্তা ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা করে নিয়েছেন।

জানা যায়, ষষ্ঠ ধাপের ইউপি নির্বাচনে মুরাদনগর উপজে’লার ২১ ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ হবে ৩১ জানুয়ারি। গত বৃহস্পতিবার ছিল প্রার্থীতা যাচাই-বাছাইয়ে দিন। ওই দিন ২১ ইউনিয়নের বিপরীতে ৭টি বুথ তৈরি করা হয় বাছাইয়ের জন্য। সেই সুবাধে হোমনা উপজে’লা নির্বাচন কর্মকর্তা বিল্লাল মেহেদী উপজে’লার যাত্রাপুর, বাঙ্গরা পূর্ব ও বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে রয়েছেন।

উপজে’লা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, যাত্রাপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৬, সাধারণ সদস্য পদে ৩৯ ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৪, বাঙ্গরা পূর্ব ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৬, সাধারণ সদস্য পদে ৩১ ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১২, বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ১৩, সাধারণ সদস্য পদে ৭ ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৪১ জন প্রার্থী রয়েছেন। ওই তিন ইউনিয়নে মোট প্রার্থী রয়েছেন ১৪৪ জন। রিটার্নিং অফিসার বিল্লাল মেহেদী প্রার্থী ভেদে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা করে নিয়েছেন বলে প্রার্থীরা জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ও সাধারণ সদস্য প্রার্থী বলেন, ‘দরজা বন্ধ করে রিটার্নিং কর্মকর্তা বিল্লাল মেহেদী একেকজনকে রুমে নিয়ে সরাসরি টাকা চান। টাকা না দিতে চাইলে বিভিন্ন অজুহাতে তালবাহা’না করেন। এক সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থী টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে রুম থেকে বের করে দেন তিনি। ঝামেলা এড়াতে আমরা তাকে টাকা দিয়ে চলে আসি।’

অ’ভিযুক্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা বিল্লাল মেহেদী বলেন, ‘টাকা নেওয়ার কোনো প্রমাণ থাকলে আপনি আমাকে দেখাবেন। আমি হল রুমে সবার সামনে যাচাই-বাছাই করেছি।’ কিছুক্ষণ হলরুমে থেকে পরে আপনি নিজস্ব কক্ষে যাচাই-বাছাই করেছেন, এমন প্রশ্নে করলে তিনি মুঠোফোনের লাইন কে’টে দেন। পরে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ বি’ষয়ে কুমিল্লা জে’লা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্ম’দ মুঞ্জুরুল আলম বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট অ’ভিযোগ পেলে তার বি’রুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’