নারায়ণগঞ্জে ট্রলারডুবি : ভেসে উঠেছে চার মরদেহ

| আপডেট :  ৯ জানুয়ারি ২০২২, ১০:১৫ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৯ জানুয়ারি ২০২২, ১০:১৫ পূর্বাহ্ণ

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ধলেশ্বরী নদীতে গত ৫ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টার দিকে লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলার ডুবে ১০ জন নিখোঁজ হন। প্রায় ৩০ জন যাত্রী বহনকারী ট্রলারটি এমভি ফারহান-৬ নামের লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে যায় নদীতে। বেশির ভাগ যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও ওই ১০ জনকে পাওয়া যায়নি। সেদিন থেকেই তাদের খোঁজ পেতে নদীর তীরে অপেক্ষায় আছেন স্বজনরা।

এ ঘটনার চারদিন পর চারজনের মরদেহ নদীতে ভেসে উঠেছে। এরইমধ্যে এক পরিবারের চারজন নিখোঁজ হওয়া জেসমিন আক্তার নামে এক নারী ও তার মেয়ের মরদেহ রয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারি পরিচালক আব্দুল্লা আল আরেফিন জানিয়েছেন, রোববার (৯ জানুয়ারি) সকালে ধর্মগঞ্জ ঘাটের অদূরে ৪টি মরদেহ ভেসে উঠে। এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে আরও ছয়জন। তিনি জানান, ডুবে যাওয়া ট্রলারটি এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

তিনি বলেন, স্থানীয় লোকজন আমাদের খবর দেয় যেখানে ট্রলার ডুবেছে, সেখান থেকে কিছুটা দূরে চারটি মরদেহ ভেসে উঠতে দেখে। আমরা গিয়ে উদ্ধার করি। মরদেহ শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

এদিকে,জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ জানিয়েছেন ট্রলারডুবির ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। ১০ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

এরই মধ্যে এমভি ফারহান-৬ লঞ্চের মাস্টার কামরুল হাসান, চালক জসিমউদ্দিন ভূঁইয়া ও সুকানি জসিম মোল্লাকে আসামি করে ফতুল্লা থানায় মামলা করেছেন বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক (নৌ নিরাপত্তা বিভাগ) বাবু লাল বৈদ্য। তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, জব্দ করা হয়েছে লঞ্চটিও।