সব
নিজের কেন্দ্রেও হার, জামানত খুইয়েছেন সেই ঝুমন দাস
হেফাজত ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হককে নিয়ে গতবছর ফেসবুকে ‘কুরুচিপূর্ণ’ স্ট্যাটাস দেয়ায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মা’মলায় ৬ মাস জে’ল খাটা সেই ঝুমন দাস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে জামানত খুইয়েছেন। এমনকি নিজের কেন্দ্রেও হেরেছেন তিনি।
পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজে’লার হবিবপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্ব’ন্দ্বীতা করেন তিনি। ভোটের লড়াইয়ে ঝুমন হেরেছেন বড় ব্যবধানে। বিজয়ী প্রার্থী থেকে ৬ হাজার ৫৯০ ভোট কম পেয়েছেন ঝুমন।
সেখানে জিতেছেন আওয়ামী লীগের বি’দ্রোহী প্রার্থী সুবল চন্দ্র দাস। আনারস প্রতীকে ৭ হাজার ৫৫৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। নিকটতম প্রতিদ্ব’ন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত রঞ্জিত দাস পেয়েছেন ৭ হাজার ১৪৩ ভোট।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, বিধি অনুযায়ী মোট কাস্টিং ভোটের আটভাগের একভাগ কোনো প্রার্থী না পেলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়। শাল্লা নির্বাচন অফিস থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায় হবিবপুর ইউনিয়নে মোট প্রাপ্ত ভোট ১৬ হাজার ৪২৬। এরমধ্যে ঝুমন পেয়েছেন ৯৬৮ ভোট। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়েন মোট চার জন। অপর প্রার্থী রাজিব কান্তি দাস ঢোল প্রতীকে পেয়েছেন ৪৮৩ ভোট।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৫ই মার্চ সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে হেফাজতের ‘শানে রিসালাত’ সমাবেশে তৎকালীন আমির জুনায়েদ বাবুনগরী ও যুগ্ম মহাস’চিব মামুনুল হক বক্তব্য দেন। পরদিন মামুনুল হকের সমালোচনা করে ফেসবুকে ‘উ’স্কানিমূলক’ স্ট্যাটাস দেন শাল্লার নোয়াগাঁওয়ের যুবক ঝুমন দাস।
এ ঘটনায় উত্তেজিত স্থানীয় মু’সলিমরা নোয়াগাঁওয়ে শতাধিক হিন্দু বাড়িতে হা’মলা ও ভাং’চুর চা’লায়। ঝুমনের বি’রুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মা’মলার পাশাপাশি নোয়াগাঁওয়ে হা’মলার ঘটনায় পৃথক তিনটি মা’মলা হয়। প্রায় ছয় মাস পর হাইকোর্ট থেকে জা’মিনে মুক্তি পান ঝুমন।