চিকিৎসা নিতে আসা রোগী পছন্দ হলে যৌ’নতায় মেতে উঠতেন মা’দক নিরাময় কেন্দ্রের মালিক বাঁধন!

| আপডেট :  ৬ জানুয়ারি ২০২২, ১২:৩৪ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৫ জানুয়ারি ২০২২, ১০:১১ অপরাহ্ণ

মা’দকাসক্তদের পুনর্বাসনের জন্য নিরাময় কেন্দ্র খোলা হলেও সেখানে চলতো শা’রীরিক ও মা’নসিক নি’র্যাতন। এমনকি রো’গীকে পছন্দ হলে তার ও’পর যৌ’ন নি’র্যাতন চালাতেন নিরাময় কেন্দ্রটির মালিক ফিরোজা নাজনীন বাঁধন। ওই কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসা রো’গীদের কাছে থেকে হাতিয়ে নেওয়া হতো লাখ লাখ টাকা। কোনো রো’গী তাদের অভিভাবকদের কাছে অ’ভিযোগ করলে নি’র্যাতনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেওয়া হতো। র‌্যা’ব বলছে, ওই কেন্দ্রটির সব কর্মকর্তা-কর্মচারী ছিলেন মা’দকাসক্ত!

গতকাল মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গাজীপুর জে’লা শহরের ভুরুলিয়া কালাসিকদারের ঘাট এলাকায় ‘ভাওয়াল মা’দকাসক্ত পুনর্বাসন কেন্দ্র’ নামক একটি প্রতিষ্ঠানে র‌্যা’ব ও মা’দকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অ’ভিযানে এসব তথ্য বেরিয়ে আসে।এ ঘটনায় ওই পুনর্বাসন কেন্দ্রের মালিক ফিরোজা নাজনীন বাঁধনসহ ৫ জনকে গ্রে’প্তার করেছে র‌্যা’ব। ওই কেন্দ্র থেকে ৪২০ পিস ইয়াবা উ’দ্ধার করা হয়। কেন্দ্রটি মা’দকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সিলগালা করে দিয়েছে।

র‌্যা’বের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, সুনির্দিষ্ট অ’ভিযোগের ভিত্তিতে গো’পন সূত্রে খবর পেয়ে নগরীর ভাওয়াল মা’দকাসক্ত পুনর্বাসন কেন্দ্র নামক একটি প্রতিষ্ঠানে অ’ভিযান চা’লানো হয়। যেভাবে নিরাময় কেন্দ্র পরিচালনা, চিকিৎসা দেওয়া ও রো’গীদের সেবা দেওয়ার কথা তা সেখানে দেওয়া হতো না। এ কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসা রো’গীদের মা’নসিক, শা’রীরিক ও যৌ’ন নি’র্যাতন করা হতো বলে কেন্দ্রের মালিক ফিরোজা নাজনীন বাঁধনের বি’রুদ্ধে অ’ভিযোগ করেছেন রো’গীরা।

তিনি আরও জানান, এখান থেকে শা’রীরিক নি’র্যাতনের ফুট প্রিন্ট পাওয়া গেছে। বিশেষ করে রো’গীদের ঝুঁলিয়ে পে’টানো এবং শা’রীরিক নি’র্যাতনের প্রমাণ হিসেবে রশি উ’দ্ধার করা হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের নি’র্যাতনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

একটি নিরাময় কেন্দ্র পরিচালনার জন্য যে নিয়ম-কানুন আছে তার অধিকাংশই এখানে মানা হতো না। এ কেন্দ্রে নিম্নমানের খাবার সরবরাহসহ ভর্তিকৃত রো’গীদের জন্য কোনো চিকিৎসক ছিল না। এ কেন্দ্রে যে পরিমাণ রো’গী থাকার কথা তার চেয়ে বেশি রো’গী ছিল।২০০৯ সালে কেন্দ্রটি অনুমোদনহীনভাবে শুরু করলেও পরে তার অনুমোদন নেওয়া হয়। পরে মালিক ফিরোজা নাজনীন বাঁধন কোনো প্রকার নিয়ম-কানুন না মেনে কেন্দ্রটি পরিচালনা করতে থাকেন।

এ কেন্দ্র চিকিৎসার নামে জো’রপূর্বক রো’গীদের আ’টকে রাখা হতো। এমনও রো’গী রয়েছেন যিনি ৩ বছর ধরে এ কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। রো’গীরা কোনো প্রকার অনিয়মের বি’রুদ্ধে প্র’তিবাদ করলে তাদের ও’পর নি’র্যাতন চালাতেন মালিকের পালিত কর্মচারীরা। এরকম ৫-৭ জন রো’গী পাওয়া গেছে যাদের ও’পর শা’রীরিক নি’র্যাতনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রো’গী জানান, কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসা রো’গীকে কেন্দ্রের মালিক ফিরোজা নাজনীন বাঁধনের পছন্দ হলে তার ও’পর যৌ’ন নি’র্যাতন চা’লানো হতো।

অন্য এক রো’গীর মা জানান, তার ১৬ বছরের একমাত্র ছেলে ৭ মাস ধরে এ কেন্দ্রে অবস্থান করছিল। এ জন্য তার কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা নেওয়া হয়েছে।ওই কেন্দ্রে থাকা ২৮ জন রো’গীকে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে তাদের পরিবারের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সূত্রঃ আরটিভি নিউজ