সব
মাগুরায় প্রেমিকের আত্মহ’’ত্যার খবরে প্রেমিকাও আত্মহ’’ত্যা করেছে। মাগুরা পৌর এলাকার বরুনাতৈল ও সদরের বারাশিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। প্রেমিক সুমন (১৭)। বরুণাতৈল গ্রামের মহম্ম’দ আলীর ছেলে। তিনি মাগুরা টেকনিক্যাল স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র। প্রেমিকা অ্যানী খাতুন (১৬) বারাশিয়া গ্রামের হিরোক বিশ্বাসের মেয়ে। সে মাগুরা দুধমল্লিক বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শেণির ছাত্রী।
পুলিশ ও প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, সুমনকে গতকাল মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) সকাল থেকে কিছুটা বি’ষণ্ন দেখা যাচ্ছিল। সন্ধ্যায় সে তার শয়নকক্ষের দরজা বন্ধ করে দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করায় তার মায়ের স’ন্দেহ হয়।
আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে অনেক ডাকাডাকির পর ভেতর থেকে কোনো সাড়া পায় না। এ সময় সুমনের মা রুপালী বেগম অন্যদের সহযোগিতায় ঘরের দরজা ভে’ঙে ভিতরে প্রবেশ করে কক্ষের আড়ালের সঙ্গে সুমনের নিথর দেহ ঝু’লন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। বুধবার (৫ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় জানাজা শেষে সুমনকে বরুণাতৈল কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এদিকে সুমনের এ আত্মহ’’ত্যার ঘটনা আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে প্রতিবেশীদের কাছে জানতে পেরে এ্যানি। তাৎক্ষণিকভাবে সে নিজঘরে গিয়ে আড়াল সঙ্গে রশি ঝু’লিয়ে আত্মহ’’ত্যার চেষ্টা করে। এ সময় স্বজনরা তাকে উ’দ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিসৎক এ্যানীকে মৃ’ত ঘোষণা করেন। বুধবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জানাজা শেষে এ্যানীকে বারাশিয়া কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ্যানী বাবা-মায়ের একমাত্র স’ন্তান।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান জানিয়েছেন, দুজনই অপ্রাপ্ত বয়স্ক। প্রেম ও আবেগের বশবর্তী হয়ে তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিক ত’দন্তে জানা গেছে। তবে তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অ’ভিযোগ করেনি। এ ধরনের প্রবণতা রুখতে পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতা প্রয়োজন।