‘১০টা মার্ডারের’ সেই হুমকিদাতা নিজেই জিডি করলেন থানায়

| আপডেট :  ২ জানুয়ারি ২০২২, ১২:৪৬ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২ জানুয়ারি ২০২২, ১২:৪২ অপরাহ্ণ

সম্প্রতি কুমিল্লার চান্দিনায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের উঠান বৈঠকে ‘১০টা মার্ডারের’ হু’মকি দিয়ে আলোচনায় আসেন চেয়ারম্যান প্রার্থীর ছেলে মিজানুর রহমান। তবে তার বি’রুদ্ধে আশানুরূপ ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। বরং তিনি ওই ভিডিও ফুটেজর বি’রুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।

গত বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে হুনকির ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরদিন (৩১ ডিসেম্বর) শুক্রবার বিকেলে ওই প্রার্থীকে শো’কজসহ প্রার্থীর ছেলে মিজানুর রহমানকে ডেকে এনে মুচলেকা নেন তিনি। তার পরদিন শনিবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে ওই শো’কজের জবাব দেন চেয়ারম্যান প্রার্থী ইঞ্জি. আব্দুল আউয়াল খান।

শুক্রবার সন্ধ্যার পর প্রার্থীর ছেলে হু’মকিদাতা মিজানুর রহমান ওই ভিডিও ক্লিপটির বি’রুদ্ধে উল্টো থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। তাতে তিনি উল্লেখ করেন, আমার বক্তব্য এডিটিং করে সোশ্যাল মিডিয়াতে অ’পপ্রচার করে ব্যক্তিগত সুনাম ক্ষুন্ন করা হয়েছে এবং ভবি’ষ্যত নিরাপত্তার জন্য সাধারণ ডায়েরি করা প্রয়োজন।

এর আগে, যদি ১০টা মার্ডার করা লাগে, তা-ই করবেন, বাকিটা আমি দেখবো- প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য করে নিজের কর্মী-সমর্থকদের প্রতি এমন কথা বলেন নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর ছেলে মিজানুর রহমান। তার এই বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার ঘটনায় শুধুমাত্র মুচলেকা ও শো’কজে সীমাবদ্ধ থেকে উল্টো থানায় জি’ডি করার বি’ষয়ে ক্ষু’ব্ধ এলাকাবাসী।

ওই ইউনিয়নের একাধিক বাসিন্দা ক্ষু’ব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন। নাম প্রকাশ না করা শর্তে একাধিক বাসিন্দা জানান, এটা কোনো কথা হলো! একটা উঠান বৈঠকে প্রকাশ্যে মার্ডারের হু’মকি দিলো, আর প্রশাসন শুধু মুচলেকা নিলো!

রিটার্নিং অফিসার মাসুদ আলম সিকদার জানান, নির্বাচনী আইন অনুযায়ী আমরা প্রার্থীকে ডেকে শো’কজ করেছি। শনিবার তিনি শো’কজের লিখিত জবাব দিয়েছেন। তাতে তিনি উল্লেখ করেছেন, বি’ষয়টি অত্যন্ত দুঃ’খজনক। ভবি’ষ্যতে এমনটি ঘটবে না। এ মর্মে নিশ্চয়তা প্রদান করেন। এছাড়া প্রার্থীর ছেলে হু’মকিদাতাও মুচলেকায় উল্লেখ করেন, তিনি ভু’ল করেছেন। আর কখনও এমন বক্তব্য দিবেন না এবং ভবি’ষ্যতে তার দ্বারা কেউ ক্ষ’তিগ্রস্ত হবে না।

উপজে’লা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আশরাফুন নাহার জানান, আমরা তাকে (মিজান) ডেকেছি। তিনি বলেছেন বক্তব্যটি তার না। এ সংক্রান্ত তিনি একটি জি’ডিও করেছেন। যে কারণে আমরা তার বি’রুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারি না। তারপরও আমরা ওই নির্বাচনী এলাকায় যাবো, যদি স্বাক্ষী-প্রমাণ পাই ভ্রাম্যমাণ আ’দালতে ব্যবস্থা নেবো।