এক বছর ধরে গৃহবধূকে ধ’র্ষ’ণ করে আসছে ৯-১০ জন!

| আপডেট :  ২ জানুয়ারি ২০২২, ১২:৩৯ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২ জানুয়ারি ২০২২, ১২:১৭ অপরাহ্ণ

নোয়াখালীর সদরে চ’রমটুয়া ইউনিয়নের পশ্চিম মহতাপুর গ্রামে এক গৃ’হবধূকে সংঘবদ্ধভাবে অনেক বার ধ”ণের অ’ভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সুধারাম মডেল থানায় চারজনের বি’রুদ্ধে ধ”ণের মা’মলা দা’য়ের করেছেন ভি’কটিম। পুলিশ শনিবার (১ জানুয়ারি) দাউদ নামে একজন গ্রে’ফতার করেছে। ভি’কটিমকে স্বা’স্থ্য পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ভি’কটিম জানান, গত এক বছর থেকে ৯/১০ জন বি’বাদি বিভিন্ন সময়ে তাকে একা পেয়ে ঘরে ঢুকে জো’রপূর্বক পালাক্রমে ধ”ণ ও নি’র্যাতন করে আসছে। এ ব্যাপারে কাউকে জানালে প্রা’ণে হ’’ত্যা করবে বলে হু’মকি দেয়। সবশেষ গত বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় জসিম (মেম্বার প্রার্থী), হাসান, হৃদয়, মুন্সীয়াসহ চারজন ঘরে ঢুকে তাকে পালাক্রমে ধ”ণ করে। পরে তিনি বি’ষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বাবলুকে খুলে জানান। চেয়ারম্যান বি’ষয়টি শুনে তাকে থানায় পাঠান।

ভি’কটিম আরো জানান, তার স্বামী ঢাকায় একটি প্রতিষ্ঠানে বাবুর্চির চাকরি করেন। সেই সুবাধে তাকে ঘরে একা পেয়ে এ ঘটনা ঘটায় অ’ভিযুক্তরা। তারা তাকে দীর্ঘদিন অ’ত্যাচার, পাশবিক নি’র্যাতন ও পালাক্রমে ধ”ণ করে আসছে।

এ ঘটনার সাথে জ’ড়িত চারজন ছাড়াও আরো কয়েকজন বিভিন্ন সময়ে জ’ড়িত থাকার কথা উল্লেখ করেন তিনি। তার অ’ভিযোগ, এর আগে ঘটনাটি স্থানীয় মেম্বার রিয়াজ ও মসজিদ কমিটির নেতা ফয়েজসহ কয়েকজনকে জানানোর পরও তারা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেননি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি মেম্বার রিয়াজ উদ্দিন ভূঁইয়া অ’ভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এ ঘটনা আমাদেরকে আগে জানানো হয়নি, বরং অন্য সমাজকে জানানো হয়েছে। আমরা পরে শুনে চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি এবং চৌকিদার দিয়ে মেয়েকে থানায় পাঠিয়েছি।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চ’রমটুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন বাবলু সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘মহিলাটি আমার ইউপি অফিসে এসে আমাকে ঘটনার লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন। পরে আমি অ’সহায় মহিলাটিকে থানায় আইনগত ব্যবস্থার আশ্রয় নিতে বলি।’সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহিদ উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় চারজনের বি’রুদ্ধে মা’মলা হয়েছে এবং পুলিশ দাউদ নামে একজনকে গ্রে’ফতার করেছে। সূত্রঃ নয়া দিগন্ত