বাপ-মায়ের অমতে বিয়ে করা মেয়েদের দেহব্যবসায় নামতে হয়, দাবি বিহারের শীর্ষ পুলিশকর্তার

| আপডেট :  ১ জানুয়ারি ২০২২, ০১:১৯ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১ জানুয়ারি ২০২২, ০১:১৯ অপরাহ্ণ

বাড়ির অমতে যে মেয়েরা (girls) বিয়ে (marriage) করবে বলে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যায়, তাদের বা’ধ্য হয়ে দেহব্যবসায় (flesh trade) নামতে হয়, অনেকে খু’ন হয় (get killed), বিহার পুলিশের (bihar top cop) ডিরেক্টর জেনারেল এস কে সিঙ্ঘলের এহেন অবাক করা মন্তব্য ঘিরে শোরগোল ছড়িয়েছে।

সমস্তিপুরে ‘সমাজ সুধার অ’ভিযান’ অনুষ্ঠানের মঞ্চে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, আমরা এমন অনেক ঘটনা দেখেছি যে, মেয়েরা অভিভাবকের সম্মতি না নিয়ে বিয়ে করার জন্য বাড়ি ছাড়ে। বিয়ের পর অনেকে খু’ন হয়ে যায়, অন্যেরা দেহ ব্যবসায় নামতে বা’ধ্য হয়। বাবা-মা ওদের হঠকারিতার মূল্য দেয়।

বাবা-মায়েদের ডিজিপির পরামর্শ, নিয়মিত ঘরের স’ন্তানদের সঙ্গে মিশুন, ওদের সঙ্গে কথাবার্তা বলুন, ওদের সুস্থ মূল্যবোধ, সংস্কার শেখান। ওদের ভাবনাকে স্বীকার করে বোঝার চেষ্টা করুন, ওরা কী চায়। এভাবে নিজের পরিবারকে দৃঢ় বন্ধনে বেঁ’ধে রাখু’ন।

ডিজিপি যে মঞ্চে কথাগু’লি বলেন, সেই উদ্যোগ শুরু করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তিনি ট্যুইট করেন, সমস্তিপুরে অ্যালকোহলের নে’শামুক্তি, পণপ্রথা পুরোপুরি নির্মূল করা, শি’শুবিবাহ বন্ধের মতো সামাজিক সংস্কারমূলক প্রচারে অংশগ্রহণ করেছি।

সোস্যাল মিডিয়ায় অনেকে ডিজিপির বক্তব্যের নি’ন্দা করে বলেছেন, তাহলে উনি বলতে চাইছেন, মেয়েদের শুধু বাবা-মায়ের ইচ্ছে মেনেই বিয়ে করা উচিত। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে ট্যাগ করে একজন লিখেছেন, বিহার ডিজিপি মেয়েদের নিজেদের পছন্দমতো নয়, বাবা, মায়েদের কথা শুনে বিয়ে করতে বলছেন, পণপ্রথায় উত্সাহ দিচ্ছেন, ওদের আজীবন পরিবারের দাসী হয়ে থাকতে বলছেন! এসব জোকার আমাদের ডিজিপি! বিহার কোনদিকে যাচ্ছে, মনে হয় সপ্তদশ শতকে!

গত জুনেই ১৭ বছরের মেয়ে সন্ধ্যা কুমারীকে বিহারের বাগাহা জে’লার গ্রামে পরিবারের লোকজন মে’রে ফে’লে বলে অভিযোগ। মেয়েটি পরিবারের অমতে বিকাশ কুশওয়াহাকে বিয়ে করেছিল। বিকাশ ছিল মেয়েটির ভাইয়ের হেল্পার। সূত্রঃ দ্যা ওয়াল