ভিডিও দেখিয়ে টানা দুই বছর তরুণীকে ২৫ বার ধ’র্ষ’ণ, বিয়ের দাবিতে বাড়িতে হাজির

| আপডেট :  ১ জানুয়ারি ২০২২, ১২:১২ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১ জানুয়ারি ২০২২, ১২:১২ অপরাহ্ণ

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় প্রেমিকার সঙ্গে শা’রীরিক সম্পর্কের ভিডিও ধারণ করে সেই ভিডিও দেখিয়ে টানা দুই বছর ধ”ণের অ’ভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বি’রুদ্ধে।দীর্ঘ এই সময়ে অন্তত ২৫ তাকে ধ”ণ করা হয়েছে। অ’ভিযুক্ত ওই যুবক উপজে’লার গজারমা’রা গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে বুলবুল আহমেদ বিপুল (৩০)। আর মেয়েটির বাড়ি পার্শ্ববর্তী জে’লা সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায়। বিয়ের দাবিতে ওই ত’রুণী গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে বিপুলের বাড়িতে অবস্থান করছেন।

তবে শুক্রবার সকালে বিপুলের বাড়ির লোকজন মা’রধর করে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিলে ঘটনাটি জানাজানি হয়। ত’রুণী জানান, প্রায় চার বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে বিপুলের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এর পর তাদের মধ্যে প্রেম হয়। এর কিছু দিন পর বিপুল তাকে দেখা করার জন্য চা’প দিলে মেয়েটি তার সঙ্গে দেখা করে। ওই সময় বিপুল তার বোনের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে মেয়েটির সঙ্গে শা’রীরিক সম্পর্ক করে এবং কৌশলে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করেন।

পরে সেই ভিডিও দেখিয়ে অন্তত ২৫ বার বিভিন্ন স্থানে নিয়ে তাকে ধ”ণ করে বলে অ’ভিযোগ ত’রুণীর। একপর্যায়ে মেয়েটি অ’ন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তার গর্ভের বাচ্চা ন’ষ্ট করতে বা’ধ্য করেন বিপুল। এর পর তিনি বিপুলকে বিয়ের জন্য চা’প দেন। কিন্তু বিপুল বি’ষয়টি এড়িয়ে যেতে শুরু করেন। পরে ২৮ ডিসেম্বর বিয়ের দাবিতে বিপুলের বাড়িতে উপস্থিত হন মেয়েটি।

বি’ষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান আফসার আলী জানতে পেরে মেয়েটির নিরাপত্তায় একজন গ্রামপুলিশ নিয়োজিত করেন। গ্রামপুলিশের পাহারায় গত দুদিন সেখানে থাকলেও শুক্রবার সকালে ওই ত’রুণীকে বিপুলের পরিবারের লোকজন মা’রধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এ বি’ষয়ে বিপুলের বাবা ইসমাইল হোসেন জানান, উচ্চমহলের নির্দেশেই তিনি ওই মেয়েকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন।

ঘটনা শুনে চেয়ারম্যান আফসার আলী সেখানে যান এবং বিপুলের বাবাকে তার ছেলেকে হাজির করতে চা’প দেন। এ বি’ষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আফসার আলী সাংবাদিকদের বলেন, শুধু প্রেমের সম্পর্কের কারণে সম্মান বিসর্জন দিয়ে সাধারণত কোনো মেয়ে অন্যের বাড়িতে চলে আসতে পারে না।

মেয়ের অ’ভিযোগ— তাকে ভিডিও দেখিয়ে ধ”ণ করা হয়েছে, আমিও সেটি বিশ্বাস করি। বিপুলকে হাজির করতে বলা হয়েছে। মেয়ের পরিবারকে সংবাদ পাঠানো হয়েছে। তারা এলে বিয়ে দেওয়া হবে।ভাঙ্গুড়া থানার ওসি ফয়সাল বিন আহসান বলেন, বি’ষয়টি ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের মাধ্যমে অবগত হয়েছি। শুনেছি বি’ষয়টি সামাজিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। সেখানের বিট কর্মকর্তাকে বি’ষয়টি দেখতে বলা হয়েছে।