দুই নারী ফুটবলারের প্রেম, বিয়ে করতে না পেরে আয়েশা কবিতার কাণ্ড

| আপডেট :  ৩০ ডিসেম্বর ২০২১, ১০:৪৮ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৩০ ডিসেম্বর ২০২১, ১০:৪১ পূর্বাহ্ণ

প্রায় দুই মাসের আগের ঘটনা। ফুটবল খেলতে গিয়ে দুইজনের পরিচয় হয়। এরমধ্যে আয়েশার বাড়ি সিলেটে, কবিতার বাড়ি গাইবান্ধায়। দুইজনেই শা’রীরিকভাবে পরিপূর্ণ ত’রুণী। খেলেন জে’লার নারী ফুটবল দলে। প্রেমের টানে আয়েশা সিলেট থেকে চলে যান গাইবান্ধায়। কবিতার সঙ্গে রাত্রিযাপন করেন। সেই থেকে দুইজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা সৃষ্টি হয়। দুই নারী ফুটবলারের সমকামিতার বি’ষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, খেলার সুবাদে ঢাকায় আয়েশার সঙ্গে পরিচয় হয় কবিতার। পরিচয় থেকেই দুইজনের মধ্যে ভালো বন্ধুত্ব তৈরি হয়। এরপর আয়েশা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে খেলতে যান। ওঠেন কবিতার বাড়িতে। কবিতার সঙ্গে একই রুমে রাত্রিযাপন করেন।

এরপর একে অপরের প্রতি ভালো লাগা বেড়ে যায়। মোবাইল ফোনে নিয়মিত কথা বলেন। একজন না খেয়ে থাকলে আরেকজন না খেয়ে থাকেন। হররোজই চলে তাদের ভাবের আদান-প্রদান। কয়েকদিন আগে কবিতা আয়েশার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলা বন্ধ করে দেন।

এতে অস্থির হয়ে উঠেন আয়েশা। পরিবারের অগোচরে সিলেট থেকে চলে যান গাইবান্ধায়। ওঠেন আয়েশার বাড়িতে। কবিতাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু বা’ধা হয়ে দাঁড়ান কবিতার পরিবার। বি’ষয়টি স্থানীয় কোচ, জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়।

তারাও দুই ত’রুণীকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ব্যর্থ হন। একপর্যায়ে আত্মহননের চেষ্টা চালান দুই ত’রুণী। আয়েশা ধা’রালো ছু’রি দিয়ে দুই হাত কে’টে ফে’লেন। কবিতাও গ’লায় রশি পেঁ’চিয়ে আত্মহ’’ত্যার চেষ্টা চালান। পরিবারের সদস্যরা তাদের উ’দ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

খবর পেয়ে সিলেট থেকে আয়েশার মাসহ পরিবারের সদস্যরা গাইবান্ধায় চলে যান। তাকে বুঝিয়ে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে তাকে ঘুমের ই’নজেকশন পুশ করা হয়। তাতে কাজ হয়নি। একপর্যায়ের জো’র করে আয়েশাকে বাসে উঠান পরিবারের সদস্যরা।

এসময় আয়েশা চি’ৎকার বলেন, আমি কবিতার কাছে যাবো। আমি কবিতাকে ছাড়া বাঁচবো না। এ ঘটনা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।গাইবান্ধা পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড কমিশনার কামাল হোসেন বি’ষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, তারা দুজন দুজনকে ভালোবাসে বলে আমি শুনেছি। তাদের সম্পর্ক প্রায় দুই মাস ধরে। হাসপাতালে গিয়ে আয়েশাকে বাড়ি নিয়ে যেতে বলেছি তার পরিবারকে।