৩৫ বছর ধরে বিনা পারিশ্রমিকে মানুষকে কোরআন শিক্ষা দিচ্ছেন তিনি

| আপডেট :  ৭ ডিসেম্বর ২০২০, ০৬:৩৬ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৭ ডিসেম্বর ২০২০, ০৬:৩৬ অপরাহ্ণ

মানুষকে কোরআন শিক্ষা দেওয়াই তার ধ্যান, জ্ঞান ও পেশা। এ জন্য কোনো পারিশ্রমিক নেন না তিনি। উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত এক কাঠা জমির ওপর নিজের অর্থেই গড়ে তুলেছেন মক্তব ঘর। প্রভাতের আলো ফুটতেই প্রতিদিন সেখানে কোরআন শিক্ষা দেন তিনি। বলছিলাম কুষ্টিয়ার মিরপুর পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের সুলতানপুর গ্রামের হাফেজ আবদুল হান্নানের কথা।

নীরবে-নিভৃতে দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে মানুষকে কোরআন শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। হফেজ আবদুল হান্নান বলেন, ১৯৮৪ সালে বাড়ির উঠানে গ্রামের ছেলেমে’য়েদের কোরআন শেখানো শুরু করি। পড়ে শিক্ষার্থী বেড়ে যাওয়ায় ১৯৮৬ সালে বাড়ির পাশে রাস্তার ধারে একটি মাটির ছাপড়া ঘর তৈরি করে শিক্ষাদান অব্যাহত রাখি। উত্তরাধিকার সূত্রে ১৯৯৫ সালে এক কাঠা জমি পান।

এ জমিতে একটি ঘর নির্মাণ করে কোরআন শিক্ষা দিয়ে চলেছেন আজও। তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত নিজের গ্রামসহ আশেপাশের বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থীকে বিনা পারিশ্রমিকে কোরআন শিখিয়েছি। হাফেজ আবদুল হান্নান বলেন, আমি নিজে কোরআন শিক্ষা গ্রহণ করেছি। আমাদের শিক্ষক শিখিয়েছিলেন, ‘যে নিজে কোরআন শিক্ষা গ্রহণ করে এবং অন্যকে শিক্ষা

দেয় সে রাসুলের (সা.) কাছে উত্তম ব্যক্তি’। আমি তখন সিদ্ধান্ত নেই, মানুষকে বিনা খরচে কোরআন শিক্ষা দেব। তাই অব্যাহত রেখেছি। যত দিন বেঁচে থাকব তত দিন কোরআন শিক্ষা দানের এ মহৎ কাজটি করে যাব। আমার মক্তবে বিভিন্ন বয়সের মানুষ কোরআন শিক্ষা নেন।অনেক শিক্ষার্থীর কোরআন শরিফ কেনার সামর্থ্য নেই।

তাদের বিনা মূল্যে কোরআন দান করেন হাফেজ হান্নান। নিজের উপার্জন সম্পর্কে তিনি জানিয়েছেন, আয় বলতে স্থানীয় একটি মসজিদের ইমামতি করে বছরে ২০ মণ ধান পান। এছাড়া দুই বিঘা জমিতে চাষাবাদ করে সংসার চালান তিনি।