দিনে রাজা, রাতে নৈশপ্রহরী (ভিডিও)

| আপডেট :  ১৮ ডিসেম্বর ২০২১, ০৪:৪৬ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৮ ডিসেম্বর ২০২১, ০৪:৪৬ অপরাহ্ণ

বহু যুগ আগে রাজতন্ত্র বিলুপ্ত হয়ে গেলেও এবার রাজশাহীর দুর্গাপুরে পাওয়া গেলো স্বঘোষিত এক রাজার সন্ধান। বাস্তব জীবনে নৈশপ্রহরী হলেও সৌখিন ওই ব্যক্তি নিজেকে রাজা ভাবতে পছন্দ করেন।নিজেকে স্বঘোষিত রাজা দাবি করা ওই ব্যক্তির নাম আব্দুল কাদের। তিনি রাজশাহী দুর্গাপুর উপজেলার চৌপুকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

প্রায় প্রতিদিন সকালে পরনে রাজার পোশাক, মাথায় বর্ণিল তাজ, হাতে তলোয়ার নিয়ে ঘোড়া চড়ে রাজার বেশে ছুটেন ৭০ বছর বয়সী এই বৃদ্ধ। প্রথমে দেখে যে কারও মনে হতে পারে তিনি সত্যিকারের রাজা। তবে গ্রামের মানুষজন তাকে রাজা হিসেবেই চেনেন ও জানেন।

জানা গেছে, স্বঘোষিত রাজা আব্দুল কাদের পরিবারে স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। আব্দুল কাদের ৫০ বছর আগে বাংলা ছায়াছবি আর যাত্রা পালায় রাজার দৃশ্য দেখতে দেখতে তার ইচ্ছে হয় রাজা হওয়ার। এরপর তিনি রাজার পোশাক ও নানান সাজ-সরঞ্জাম কিনে রাজা সেজে ঘুরতে থাকে গ্রামে গ্রামে।

শুধু তাই নয় স্বঘোষিত এই রাজার ছিলো নিজস্ব একজন সেনাপতি ও উজির। তারা আব্দুল কাদেরের বিভিন্ন হুকুম ও গ্রাম ঘুরে ঘুরে দেখাতো। বর্তমানে তারা কেউ বেঁচে না থাকলেও ৫০ বছর তিনিই একাই রাজার বেশে ঘুরে বেড়াছেন। আব্দুল কাদেরর রাজার বেশে চলাফেরাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখেন গ্রামের মানুষেরা। বর্তমান যুগে অনেকে সত্যিকারের রাজা দেখতে না পারলেও রাজার বেশে আব্দুল কাদেরকে দেখতে পেয়ে দারুণ খুশি সব বয়সের মানুষেরা।

চৌপুকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা শাহাজান আলী আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, আব্দুল কাদের দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি রাজার পোশাকে এ গ্রামে চলাফেরা করেন। তিনি এই গ্রামের সব থেকে সৌখিন একজন ব্যক্তি।

মাতব্বর হোসেন নামে অপর এক গ্রামের বাসিন্দা বলেন, বাস্তব জীবনে তিনি নৈশপ্রহরী হলেও যেহেতু তিনি নিজেকে স্বঘোষিত রাজা দাবি করেন তাই মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা জানেন। তার সাধ্যমত চেষ্টা করেন সাহায্য সহযোগিতা করার।এদিকে, পরিবারের সদস্যরা জানান, আব্দুল কাদের সত্যিকারের রাজা না হলেও গ্রামের মানুষ তাকে রাজা হিসেবে চেনেন। তারাও তার পরিবারের সকলে তাকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করেন এবং তারা এতে গর্বিত।

এ বিষয়ে স্বঘোষিত রাজা আব্দুল কাদের আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, সখের বশেই দীর্ঘদিন ধরে রাজা সেজে চলাফেরা করেন। সখ পূরণে পরিবারের সদস্যদের কাছে পান আন্তরিক সহযোগিতা ও সমর্থন।তিনি আরও জানান, জীবনের শেষদিন পর্যন্ত মানুষকে তিনি তার এই কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দিয়ে যেতে চান আনন্দ বিনোদন।