যেভাবে ব্যবহার করবেন ফাইভ জি

| আপডেট :  ১৭ ডিসেম্বর ২০২১, ০৪:২৫ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৭ ডিসেম্বর ২০২১, ০৪:২৫ অপরাহ্ণ

রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে ১২ ডিসেম্বর রাতে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে ফাইভ-জি উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
ফাইভ-জি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শিগগিরই বাণিজ্যিকভাবে সারাদেশে ফাইভ-জি সেবা চালু করা হবে।

অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশ প্রযুক্তি গ্রহণে আর কখনও পিছিয়ে থাকবে না। যখন যে প্রযুক্তি আসবে, হয়তো সবার আগে বাংলাদেশ সেই প্রযুক্তি গ্রহণ করবে। ফাইভ-জি গ্রহণের বাংলাদেশ খুব বেশি দেরি করেনি।

প্রাথমিকভাবে রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক টেলিটক সীমিত পরিসরে দেশের ছয়টি স্থানে চালু করা হয়েছে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক। ২০২২ সালে দেশের ২০০ জায়গায় ফাইভ-জি চালু করবে টেলিটক।

তবে পরীক্ষামূলক ফাইভ-জি চালু হলেও টেলিটকের সব ব্যবহারকারী প্রাথমিকভাবে তা ব্যবহার করতে পারছেন না। যেসব এলাকায় ফাইভ-জি চালু করা হয়েছে এবং যারা টেলিটক সিম ব্যবহার করেন তারা সেসব জায়গায় গিয়ে এই সেবা নিতে পারবেন।

জানা গেছে, রাজধানীর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ধানমন্ডি ৩২, বাংলাদেশ সচিবালয়, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ (সংসদ ভবন এলাকা) এবং ঢাকার বাইরে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকা ও টুঙ্গিপাড়ায় ফাইভ-জি চালু করা হয়েছে।

টেলিটক সূত্রে জানা গেছে, পাবলিক প্লেসে ফাইভ-জি এক্সপেরিয়েন্স করা যাবে। এ জন্য আলাদা করে ফাইভ-জি সিম প্রয়োজন হবে না। টেলিটকের ফোর-জি সিম দিয়েই ফাইভ-জি ব্যবহার করা সম্ভব। তবে স্মার্টফোনটি অবশ্যই ফাইভ-জি সাপোর্টেড হতে হবে।

ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক পরীক্ষামূলক চালুর মধ্য দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে আরও একধাপ অগ্রগতি হলো। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসে’ ফাইভ-জি যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ।

উল্লেখ্য, হুয়াওয়ে বাংলাদেশ লিমিটেডের সহযোগিতায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড এই সেবা চালু করেছে।