অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীদের হলে না থাকার নিয়ম বাতিলসহ ৪ দাবি

| আপডেট :  ১৫ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:২৩ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৫ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:২৩ অপরাহ্ণ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পাঁচটি ছাত্রী হলের আসন বণ্টন সম্পর্কিত এক নীতিমালায় বলা হয় কোনো অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রী থাকতে পারবে না। বিশেষে ক্ষেত্রে বিবাহিত ছাত্রীকে চলমান শিক্ষাবর্ষে হলে থেকে অধ্যয়নের সুযোগ দেওয়া হবে। তবে বিবাহিত হওয়ার বিষয়টি জানাতে হবে। না হলে নিয়মভঙ্গের দায়ে সিট বাতিল করা যাবে। এ নিয়ম বাতিলের

দাবিতে মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান বরাবর দেওয়া এক আবেদনে চার দফা দাবি জানিয়েছেন পাঁচ ছাত্রী হলের ছাত্রী প্রতিনিধিরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের অন্য তিন দাবি হলো, শিক্ষার্থীদের প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের মর্যাদা রক্ষায় সব ছাত্রী হলে ‘‘লোকাল গার্ডিয়ান’’ বা ‘‘স্থানীয় অভিভাবক’’-এর পরিবর্তে ‘‘ইমার্জেন্সি কন্টাক্ট’’ বা ‘‘জরুরি যোগাযোগ’’ শব্দটি রাখা, আবাসিক

শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্বারা যেকোনো ধরনের হ’য়রানি এবং অসহযোগিতামূলক আচরণ বন্ধ করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া এবং শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকা সাপেক্ষে অনাবাসিক ছাত্রীদের হলে প্রবেশের অধিকার পুনর্বহাল করা ও জরুরি প্রয়োজনে তাদের হলে অবস্থান করতে দেওয়া।

ছাত্রীদের চার দফা দাবিসহ আবেদনের বিষয়ে ঢাবি উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান তাদের জানান, হল কর্তৃপক্ষ ও ডিনস কমিটির সভায় আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কোনো পরিবর্তন না আসা পর্যন্ত এ নিয়মটিই বলবৎ থাকবে।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের জন্য থাকা

পাঁচটি হল হচ্ছে রোকেয়া হল, শামসুন নাহার হল, কবি সুফিয়া কামাল হল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ও বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল। প্রসঙ্গত, বিবাহিত হওয়ায় সম্প্রতি শামসুন নাহার হল ও বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের দুই ছাত্রীর সিট নিয়ে জ’টিলতা তৈরি হয়। সেই প্রেক্ষাপটে ছাত্রীরা বিবাহিত ছাত্রীদের ক্ষেত্রে থাকা নিয়মটি বাতিলের আবেদন নিয়ে উপাচার্যের কাছে যান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের জন্য থাকা অন্য তিনটি হল হচ্ছে রোকেয়া হল, কবি সুফিয়া

কামাল হল ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল।চার দফা দাবিসহ আবেদন নিয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে যাওয়া শামসুন নাহার হল সংসদের ভিপি শেখ তাসনীম আফরোজ জানান, উপাচার্য তাদের বলেছেন যে কিছু লোকের হঠকারী চিন্তায় কিছু করা যাবে না। হল কর্তৃপক্ষ ও ডিনস কমিটির সভায় আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কোনো পরিবর্তন না আসা পর্যন্ত এ নিয়মই বলবৎ থাকবে।