মন্ত্রিত্ব হারিয়ে মাথা নিচু করে যেভাবে দেশ ছাড়লেন ডা: মুরাদ (ভিডিও)

| আপডেট :  ১০ ডিসেম্বর ২০২১, ০৮:৪১ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১০ ডিসেম্বর ২০২১, ০৮:৩৭ পূর্বাহ্ণ

বিভিন্ন সময় বি’তর্কি’ত বক্তব্য ও নারী নিয়ে অ’শ্লীল মন্তব্য করে ব্যাপক সমালোচনার মুখে ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ হা’রানো ডা. মুরাদ হাসান। শেষপর্যন্ত অ’ভিযোগ-বিতর্ক মাথায় নিয়ে দেশ ছাড়লেন তিনি। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টা ২১ মিনিটের দিকে এমিরেটস এয়ারলাইনসের ইকে-৮৫৮৫ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কানাডার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন তিনি।

পুলিশ ও বিমানবন্দরের দুটি সূত্র জাগো নিউজকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। এর আগে মুরাদ হাসান রাত ৯টার পর বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে প্রবেশ করেন। তার ফ্লাইটটি রাত ১১টা ২০ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও তা বিলম্ব হয়। শুধু মুরাদের ফ্লাইট না, রাত ১০টার পর আরও কয়েকটি ফ্লাইট এমন বিলম্ব হয়।

দেশ ছাড়ার সময় মুরাদ হাসানের পরনে ছিল কালো রঙের ব্লেজার, টি–শার্ট, মাথায় কালো ক্যাপ, মুখে কালো মাস্ক ও জিনস প্যান্ট। তবে তার কোনো সফরসঙ্গী ছিল না। এদিকে মুরাদ হাসানের বিদেশে যাওয়ার বি’ষয়ে স’চিবালয়ে সাংবাদিকদের স্ব’রা’ষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, মুরাদ বিদেশে যাবেন না দেশে থাকবেন, সেটা তার ব্যাপার। এ ব্যাপারে আমাদের কিছু বলার নেই।

সম্প্রতি নারীর প্রতি অ’শ্লীল মন্তব্য করে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ হা’রান ক্ষমতাসীন দলের সং’সদ সদস্য মুরাদ হাসান। ফেসবুকে এক লাইভ অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মেয়েকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ও ছাত্রলীগ নেত্রীদের নিয়ে বিভিন্ন আ’পত্তিকর মন্তব্য করেন তিনি।

এরপরই চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে তার একটি ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফাঁ’স হয়। সেখানে মাহির সঙ্গে অ’শ্লীল ভাষায় কথা বলেন তিনি। এমনকি মাহিকে ধ”ণ এবং উঠিয়ে আনার হু’মকি দেন। সে সময় চিত্রনায়িকাকে দেখা করার জন্য তাগাদা দিতে থাকেন মুরাদ। তখন ফোনে চিত্রনায়ক ইমনকে প্রতিমন্ত্রী বলছিলেন, ঘাড় ধরে যেন মাহিকে তার কাছে নিয়ে যান।

সেই অডিও ভাইরাল হলে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন মুরাদ হাসান। পরে তাকে ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে ৭ ডিসেম্বর মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন মুরাদ হাসান। ওইদিন রাতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন।

একই দিন সন্ধ্যায় জামালপুর জে’লা আওয়ামী লীগের স্বা’স্থ্য ও জনসংখ্যাবি’ষয়ক সম্পাদকের পদ থেকেও মুরাদ হাসানকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করে জে’লা আওয়ামী লীগ। ওই সুপারিশ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সং’সদে পাঠানো হয়। এসব ঘটনার পর ক্ষমা চান মুরাদ হাসান। তিনি ফেসবুকে লিখেন, ‘আমি যদি কোনো ভু’ল করে থাকি অথবা আমার কথায় মা-বোনদের মনে ক’ষ্ট দিয়ে থাকি তাহলে ক্ষমা করে দেবেন।’ ভিডিও