আবরারকে হত্যার সময় যাবজ্জীবন প্রাপ্ত মুন্না ছিলেন ‘হবিগঞ্জে বিয়ের অনুষ্ঠানে’

| আপডেট :  ৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১০:০০ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১০:০০ পূর্বাহ্ণ

বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে আদালতের রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ইশতিয়াক আহমেদ মুন্নার শাস্তি মেনে নিতে পারেননি তার মা কুলসুমা খাতুন (শেলী)। তার দাবি, মুন্না হত্যাকাণ্ডের সময় বাড়িতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে ছিলেন।

তিনি বলেন, আবরার হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকলে আমি নিজেই তার ফাঁসি দাবি করতাম।

চুনারুঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঘরগাও গ্রামের আব্দুল আহাদ ও কুলসুমা খাতুন দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান মুন্না।

বাবা আহাদ ছিলেন ইউপি মেম্বার। ২০০৯ সালে ২৬ জানুয়ারি তিনি মারা যান। রেখে যান তিন পুত্র সন্তান। বড় ছেলে ক্যাপ্টেন আশফাক আহমেদ মনির বর্তমানে সিলেট সেনানিবাসে কর্মরত। ছোট ছেলে ইফতেখার আহমেদ রানা সিলেট শাহজালাল বিঞ্জান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিইসি তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।

কুলসুমা খাতুন জানান, স্বামীর মৃত্যুর কিছুদিন পর তিনি বিবাড়িয়া জেলার সাতবর্গ গ্রামে বাবার বাড়ি চলে যান। সেখানে মাহবুবুর রশীদ জহির নামে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। ওই ঘরে উম্মে হাবিবা রাহা নামে এক কন্যা রয়েছে। সে ক্লাস ওয়ানের ছাত্রী।

তিনি আরো জানান, বিবাড়িয়ার অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৩ সালে মুন্না ‘এ প্লাস’ পেয়ে এসএসসি পাশ করে। এরপর সে ঢাকা ক্যামব্রিয়ান কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে। সেই পরীক্ষায়ও সে ‘এ প্লাস’ পেয়েছিল।

বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র মুন্না ঘটনার সময় উপস্থিত ছিল না জানিয়ে তিনি বলেন, ওইদিন প্রতিবেশী রাসেল নামে এক ব্যাংকারের বিয়ে অনুষ্ঠানের জন্য বাড়িতে ছিল। ৬ অক্টোবর রাত ১২টার দিকে বাড়ি থেকে এনা বাসে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। ভোর সোয়া চারটার দিকে শেরেবাংলা হলে পৌঁছে। সকাল ১০টার দিকে মুন্নাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ছেলে শান্তশিষ্ট প্রকৃতির উল্লেখ করে তিনি বলেন, রায় শুনার পর মুন্নার সঙ্গে আধামিনিট আলাপ করতে পেরেছি। নিজেকে নির্দোষ দাবি করে শুধু দোয়া করতে বলেছে।এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান কুলসুমা খাতুন।

মুন্নার চাচা মোস্তফা আলী বলেন, সে যে এই ঘটনায় জড়িত ছিল না এর প্রমাণ হিসেবে বহু কিছু আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। এরপরও এতো বড় শাস্তি মেনে নেয়া কঠিন।

বুয়েটের শেরেবাংলা হলের আবাসিক ছাত্র আবরারকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়। ওই দিন রাত ৩টার পরে তার মৃত্যু হয় বলে তখন জানা গিয়েছিল।

আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সূত্র : দেশ রূপান্তর