ঘটনার ‘মাস্টারমাইন্ড’ কথিত বড়ভাইদের জাজমেন্টে আনা হয়নি: আসামিপক্ষ

| আপডেট :  ৮ ডিসেম্বর ২০২১, ০২:৩৮ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৮ ডিসেম্বর ২০২১, ০২:৩৮ অপরাহ্ণ

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হ’’ত্যা মা’মলার আ’সামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহমেদ বলেছেন, ‘ঘটনার মাস্টারমাইন্ড কথিত বড়ভাইদের জাজমেন্টে আনা হয়নি।’ বুধবার (৮ ডিসেম্বর) মা’মলার রায়ের তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, এছাড়া বুয়েট কর্তৃপক্ষের নেগলেন্সির বি’ষয়টিও উল্লেখ করা হয়নি। তাই এই রায়ে জাজমেন্ট সঠিক হয়নি। এ সময় উচ্চ আ’দালতে যাওয়ার কথাও জানান তিনি।

ফারুক আহমেদ বলেন, আমরা মনে করেছিলাম, যে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছি আ’দালত সেগুলো জাজমেন্টে আনবেন। কিন্তু আ’দালত কোনো কিছু বিবেচনায় না নিয়ে ২০ জনকে মৃ’ত্যুদ’ণ্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন সাজার রায় দিয়েছেন। আ’সামি প্যানেল থেকে যে বি’ষয়গুলো আমরা উপস্থাপন করেছিলাম, একটিও বিজ্ঞ আ’দালত জাজমেন্টে আনেননি। আমাদের জেরাগুলো খণ্ডন করেননি বলে মনে করছি। পুর্নাঙ্গ রায় পেলে বুঝা যাবে। জাজমেন্ট সঠিক হয়নি, আমরা উচ্চ আ’দালতে যাব।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বড় ভাইদের নির্দেশে কাজটি করা হয়েছিল বলে মা’মলায় উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু বড়ভাই কারা ছিল, তাদের ত’দন্তে আনা হয়নি। রাত ৮টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ঘটনা অথচ কর্তৃপক্ষ কিছুই জানে না। বুয়েট কর্তৃপক্ষের যে নিরাপত্তার বি’ষয়ে নেগলেন্সি ছিল তাদেরও জাজমেন্টে আনা হয়নি। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হ’’ত্যা মা’মলায় ২০ জনের মৃ’ত্যুদ’ণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবনের আদেশ দিয়েছেন আ’দালত।

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আ’দালত এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে সকালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কা’রাগার থেকে ২২ আ’সামিকে আ’দালতে হাজির করা হয়। মা’মলার বাকি তিন আ’সামি প’লাতক। এরপর বেলা পৌনে ১২টায় তাদের এজলাসে তোলা হয়। গত ২৮ নভেম্বর রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। তবে রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান রায় ঘোষণার জন্য ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন। ওইদিনও আ’দালতে আ’সামিদের হাজির করা হয়।

গত ১৪ নভেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আ’দালত উভ’য় পক্ষের শুনানি শেষে মা’মলার রায় ঘোষণার জন্য প্রথমে ২৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। এ মা’মলায় মোট ৪৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আ’সামিদের বি’রুদ্ধে অ’ভিযোগ গঠন করেন আ’দালত। ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর গো’য়েন্দা পুলিশের (ডি’বি) পরিদর্শক ও মা’মলার ত’দন্ত কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ জনকে অ’ভিযুক্ত করে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যা’জিস্ট্রেট আ’দালতে অ’ভিযোগপত্র জমা দেন।

২৫ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৯ জন এবং এর বাইরে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আরও ছয় জন জ’ড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে অ’ভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৭ জন ও এজাহারের বাইরে থাকা ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনসহ মোট ২২ আ’সামিকে গ্রে’ফতার করা হয়েছে। প’লাতক রয়েছেন তিনজন। অ’ভিযোগপত্রে ৬০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। ২১টি আলামত ও আটটি জ’ব্দ তালিকা আ’দালতে জমা দেওয়া হয়েছে।

আবরার হ’’ত্যা মা’মলায় গ্রে’ফতার ২২ আ’সামি হলেন- মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক স’রকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মেহেদী হাসান রবিন, মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মনিরুজ্জামান মনির, আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্ম’দ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম ও এস এম মাহমুদ সেতু। সুত্রঃ ঢাকা পোস্ট