সব
মাত্র ১৫ বছর বয়সে পারিবারিক অশান্তির কারণে ৩০০ টাকা, এক জোড়া জুতা আর দুটো জামা নিয়ে বাড়ি ছেড়েছিলেন চিনু কালা। কিন্তু কয়েক বছরের ব্যবধানে কঠোর পরিশ্রমে তিনিই হয়ে উঠেছেন কোটিপতি। বর্তমানে তিনি রুবানস অ্যাকসেসরিজের মালিক।
১৯৮১ সালে ১০ অক্টোবর রাজস্থানে জন্ম নেয়া এই নারী প্রথাগত শিক্ষার সুযোগ তিনি পাননি। ঘর ছাড়ার পর প্রথম দিকের দিনগুলো ছিলো খুব কঠিন। দু’দিন কাটিয়েছেন রাস্তায়। এরপর প্রতি রাতে ২০ টাকার বিনিময়ে একটি ডর্মিটরিতে তিনি থাকার ব্যবস্থা করে ফেলেন এআং কয়েক দিনের মধ্যে একটা কাজও জুটিয়ে নিলেন। কিন্তু দরজার দরজায় ঘুরে ছুরির সেট, কোস্টার ইত্যাদি বিক্রি করার কাজ। সারাদিন ঘুরে কয়েকটাই মাত্র বিক্রি করতে পারতেন। বেশিরভাগ বাড়িতেই তাঁর মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দেওয়া হত। এ সব নিয়ে প্রথম প্রথম খুব ভেঙেও পড়তেন তিনি। তবে হাল ছাড়েননি। মাত্র এক বছরের মধ্যে তিনিই আবার এই পেশায় এতটাই দক্ষ হয়ে ওঠেন যে, তাঁকে ওই সেলস কোম্পানি সুপারভাইজারের পদে উত্তীর্ণ করে।
এরপর রেস্তরাঁয় ওয়েট্রেস-এর কাজ সহ নানা রকমের কাজ করেছেন চিনু কালা। কখনও কখনও সারাদিন সেলস-এর কাজ করার পর সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত রেস্তোরায় খাবার পরিবেশন করে উপার্জন করেছেন।
পরবর্তীতে ২০০৪ সালে বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা অমিত কালার সঙ্গে বিয়ে হয় চিনুর। এরপর ২০০৮ এ চিনুর জীবনে টার্নিং পয়েন্ট আসে। বন্ধুদের কথা মেনে অংশ নেন মিসেস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায়। প্রতিযোগিতার ফাইনালেও পৌঁছন। কিন্তু ইংরাজিতে ঠিক মতো উত্তর দিতে না পারায় প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন। তারপরই তার মডেলিংয়ে আসা।
আর মডেলিংয়ে আসার পরই চিনুর আগ্রহ তৈরি হয় ফ্যাশন জুয়েলারিতে। তত দিনে আর্থিক ভাবে অনেকটা সাবলীল হয়ে উঠেছিলেন। তাই নিজেই ব্যবসা শুরু করার পরিকল্পনা করে ফেলেন এবং ২০১৪ সালে শুরু করে দেন অনলাইন জুয়েলারি ব্যবসা। নাম দেন রুবানস অ্যাকসেসরিজ। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতো হয় নি চিনুকে। অনলাইনের পাশাপাশি বেঙ্গালুরুর ফোরাম মলেও রুবান অ্যাকসেসরিজের আউটলেট রয়েছে তার এবং সব মিলিয়ে চিনুর টার্নওভার এখন সাড়ে ৭ কোটি টাকা।
