মা-বোনদের কাছে ক্ষমা চাইলেন ডা. মুরাদ হাসান

| আপডেট :  ৭ ডিসেম্বর ২০২১, ০১:৩৭ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৭ ডিসেম্বর ২০২১, ০১:২৯ অপরাহ্ণ

অশালীন ও শিষ্টাচারবহির্ভূত বক্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর অবশেষে ‘ব্যক্তিগত কারণ’ দেখিয়ে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। মঙ্গলবার দুপুরে ১টার দিকে ইমেইলের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠানোর তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন।

সেখানে লিখেছেন, ‘আমি যদি কোন ভুল করে থাকি অথবা আমার কথায় মা-বোনদের মনে কষ্ট দিয়ে থাকি তাহলে আমাকে ক্ষমা করে দেবেন।’ পোস্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাক ‘মমতাময়ী মা’ উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, ‘দেশরত্ন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সকল সিদ্ধান্ত মেনে নিবো আজীবন। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’

মুরাদ হাসানকে আওয়ামী লীগ থেকেও বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত
অশালীন মন্তব্যের জেরে সমালোচনার মুখে পড়েছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। এ কারণে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে তাকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার আওয়ামী লীগ থেকেও মুরাদকে ব’হিষ্কারের সিদ্ধান্ত দলের আগামী কার্যনির্বাহী সভায় হবে বলে জানিয়েছেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।

মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান তিনি। এর আগে গতকাল বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন হানিফ। তিনি বলেন, রাজনীতির মধ্যে শিষ্টাচার থাকা বাঞ্ছনীয়। যারা সবসময় জনগণকে নিয়ে ভাববে, কথা বলবে তাদের মধ্যে শিষ্টাচার না থাকলে তাদের দিয়ে জনগণের কোনো কল্যাণ আসতে পারে না।

হানিফ বলেন, রাজনৈতিক মত-পার্থক্য থাকতে পারে, চেতনার পার্থক্য থাকতে পারে, তাই বলে কারো বি’ষয়ে অশালীন কথাবার্তা বলা, কুৎসিত কোন আচরণ করা- এগুলো গ্রহণযোগ্য নয়। ডা. মুরাদ হাসান এমপি পদে আছেন, কেন্দ্রীয় ও জে’লা পর্যায়ে দলীয় পদে আছেন, তাহলে তার কি হবে এমন প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে তাকে সর্বোচ্চ শান্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত থাকবে।