স্ত্রীসহ গ্রেফতার হলেন সেই চিটার বাবুল

| আপডেট :  ৬ ডিসেম্বর ২০২০, ০৪:৩০ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৬ ডিসেম্বর ২০২০, ০৪:৩০ পূর্বাহ্ণ

অবশেষে মালয়েশিয়ার এসপিআরএম বা দুর্নীতি দমন কমিশনের বিশেষ ব্র্যাঞ্চ পুলিশের হাতে আটক হয়েছে শ্রমিকদের ভুয়া ভিসা করিয়ে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অভিযুক্ত শহীদুল ইসলাম বাবুল ওরফে চিটার বাবুল নামের এক বাংলাদেশি ও তাঁর স্ত্রী। এক বিশেষ অভিযানে কুয়ালালামপুরের নিজ বাসা থেকে বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে স্ত্রীসহ তাঁকে আটক করা হয়।

তার বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার কয়েকজন দুর্নীতিপরায়ণ ইমিগ্রেশন কর্মকর্তার সহযোগিতায় হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে রিপ্লেসমেন্ট ভিসা করে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে জানা গেছে, তিনি প্রতিটি ভিসার জন্য বাংলাদেশি টাকায় ১ লাখ ৬০ হাজর থেকে ২ লাখ টাকা এবং মালয়েশিয়ার টাকায় ৮ থেকে ১০ হাজার রিঙ্গিত পর্যন্ত নিতেন। আর ভিসা করার পর ইনডোর্জ করার কথা বলে নিতেন আরো ৩০ হাজার টাকা বা দেড় হাজার রিঙ্গিত।

আর এভাবেই শহীদুল ইসলাম বাবুল ও তাঁর স্ত্রী নিলিমা ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিকদের সঙ্গে প্রতারণা করে বিশাল অর্থের মালিক হয়ে কুয়ালালামপুরে বিলাশবহুল জীবনযাপনে করতেন।

পরে ২০১৯ সালে দেশের একটি পত্রিকার প্রতিনিধি কুয়ালালামপুর ঘুরে সরেজমিনে বাবুলের প্রতারণার অভিযোগ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।এছাড়া বাবুলের বিরুদ্ধে সাধারণ প্রবসীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও মারধরের একটি ভিডিও গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়। এর প্রেক্ষিতে ওই সময়কার প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণের নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে কালো তালিকাভুক্ত করে বাবুলকে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এর আগে ২০০৭ এও একবার আটক হয়েছিলেন বাবুল। কিন্তু তবে বারবার আটক ও কালো তালিকভুক্ত হলেও অর্থের বিনিময়ে সবকিছু ম্যানেজ করে নেন এই দম্পতি।