ঢাবি ছাত্রলীগ নেত্রীদের নিয়ে যা বলেছিলেন ডা. মুরাদ

| আপডেট :  ৭ ডিসেম্বর ২০২১, ১০:৫২ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৭ ডিসেম্বর ২০২১, ১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ

একের পর এক বি’তর্কি’ত মন্তব্য করলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসা তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসানকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মূলত তারেক রহমানের কন্যা জাইমা রহমান, ঢাকার বিভিন্ন হলের নারী নেত্রীদের নিয়ে কু’রুচিপূর্ণ মন্তব্য করে আলোচনায় আসেন তিনি।

সর্বশেষ ৫ ডিসেম্বর নায়িকা মাহিয়া মাহির সাথে তার কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ড ফাঁ’স হয়। সেখানে তিনি মাহিকে ওইমুহুর্তে হোটেলে উপস্থিত গতে বলেন অন্যথায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে তুলে আনার হু’মকি দেন। এর পরপরই সোমবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে তাকে পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার বি’ষয়ে প্রতিমন্ত্রীকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।

এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে তার কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যও ভাইরাল হওয়ায় তার প্র’তিবাদ জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের নারী ছাত্রলীগ কর্মী ও নেত্রীরা। জানা গেছে, গত রোববার (৫ ডিসেম্বর) রাতে একটি ফেসবুক পেজে লাইভে এসে ডা. মুরাদ হাসান বলেন, ‘তারা শিষ্টাচারের সংজ্ঞাটা আমাদের শেখাতে চাচ্ছে।

তসলিমা নাসরিনের মতো অনেক তসলিমা নাসরিন বাংলাদেশ আছে, দুঃখ লাগে কোনটা জানেন? এরা আবার জয় বাংলার কথা বলে। এরা আবার ছাত্রলীগ করছে নাকি! এরা নাকি আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে। এরা নাকি আবার নেত্রী ছিল কোন কোন হলের। কেউ বলে শামসুন নাহার হল কেউ কেউ বলে রোকেয়া হল। বিভিন্ন হলের নাকি নেত্রী-টেত্রী ছিল।’

লাইভে তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু তারা রাতের বেলা নিজেদের হলে থাকতেন না। ঘুমাতেন হোটেলে হোটেলে। কারণ ফাইভ স্টার হোটেলে থাকার মজা, আর রোকেয়া হল শামসুন নাহার হলে থাকা’টা কি এক কথা? আমি এর চেয়ে বেশি বললে মিছিল শুরু হয়ে যেতে পারে। আমি আর বেশি কিছু বলব না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক ইউনিট খ ইউনিটের প্রথম ৩০০ জনের মধ্যে ছিলাম। ভর্তি হওয়ার সাত দিনের মাথায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুদের আমি বলতাম, তোদের ওইখানে (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে) প্রসাব করার টাইমও আমার নাই।’